ইনসাইড গ্রাউন্ড

বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড কে কোথায় এগিয়ে


প্রকাশ: 01/03/2023


Thumbnail

বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের আক্রমণাত্মক ক্রিকেট ব্র‍্যান্ডকে আমলে না নিয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে থ্রি লায়ন্সের বিপক্ষে মাঠে নামতে প্রস্তুত বাংলাদেশ। প্রায় অর্ধযুগ পর দ্বিপাক্ষিক সিরিজে মুখোমুখি হচ্ছে দুই দল। সবশেষ ২০১৬ সালে টাইগার ডেরায় এসেছিলো ইংল্যান্ড দল। সেবার টাইগারদের ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজ জিতে নিয়েছিলো ইংলিশরা। ক্রিকেট পরাশক্তির সব দেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের রেকর্ড থাকলেও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের কীর্তি নেই টাইগারদের। তাই ঘরের মাঠে ইংলিশদের হারিয়ে প্রথমবারের মতো অধরা সিরিজ জয়ের স্বপ্ন পূরণ করতে চাইবে বাংলাদেশ। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচটি শুরু হবে আজ দুপুর ১২ টায়।

বাংলাদেশ এমন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজটি শুরু করতে যাচ্ছে যাদের নামের পাশে রয়েছে তিনটি বিশ্বকাপ ট্রফি, একটি ওয়ানডে বিশ্বকাপ ও দুটি টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তার উপরে ২০১৫ সালের পর থেকে যে কোন ফরম্যাটের ক্রিকেটে আগ্রাসী খেলছে দলটি। আর এসব কারনে সারা বিশ্বের ফ্র‍্যাঞ্চাইজি লিগ খেলা খেলোয়াড়ে পরিপূর্ণ ইংলিশ দলকে সমীহ করতে বাধ্য যে কোন দেশ। মারকুটে ব্যাটসম্যান জস বাটলারের সাথে দলে আছে ব্যাটিং অলরাউন্ডার মইন আলি। ব্যাটিংয়ে আরও শক্তি যোগাতে জেসন রয়, ডেভিড মালানরাতো রয়েছেই। বল হাতে বিরোধী শিবিরকে দমন করতে আছে গতি আর বাউন্সের ঝড় তোলা জোফরা আর্চার, মার্ক উড ও স্যাম কারেনের মতো পেসাররা। এরপরেও ইংলিশদের ভয়ের কারণ তামিম-মুশফিকরা। কারণ বর্তমান ইংল্যান্ড দলটির চেয়েও অভিজ্ঞতার দিক দিয়ে বেশ এগিয়ে বাংলাদেশ।

তার উপরে ঘরের মাঠে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা যে কতটা হিংস্র ও কতটা ভয়ংকর সেটি পরিসংখ্যানেই প্রমাণ দেয়। নিজেদের মাটিতে টানা সাত সিরিজ জয়ের রেকর্ড রয়েছে বাংলাদেশের। ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও সিরিজ জয়ের আশা নিয়েই মাঠে নামবে লিটন-মিরাজরা। অন্যদিকে ইংলিশরা মাঠে নামবে নিজেদের সবশেষ চার ওয়ানডে সিরিজ হারের দুঃখ মাথায় নিয়ে। তাই সাম্প্রতিক সময়ে একদিনের ম্যাচে মাঠের পারফরম্যান্সে ইংলিশদের চেয়েও বেশ এগিয়ে বাংলাদেশ।

মিরপুরের সবুজ গালিচার সাথে নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে টাইগার শিবিরের চার সিনিয়র ক্রিকেটাররের। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা ২১ টি ওয়ানডে ম্যাচের ১৫টি ম্যাচেই উপস্থিত ছিলেন সাকিব, তামিম, মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহরা। ব্যাট হাতেও ইংলিশদের বিপক্ষে এগিয়ে এ চার পান্ডব। তাদের সাথে আছেন ক্যারিয়ারের সেরা সময় পার করা লিটন কুমার দাসও। আজ বাংলাদেশের হয়ে টপ অর্ডার সামলাবেন এনারাই। অন্যদিকে অপরিচিত কন্ডিশনে ইংল্যান্ডের টপ অর্ডার সামলানোর দায়িত্বে থাকবেন জেসন রয়, ডেভিড মালান, জেমস ভিন্স ও ফিল সল্টরা। আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্রিকেটে সাকিব-তামিমদের চেয়েও অনেক কম ম্যাচ খেলা ইংল্যান্ডের টপ অর্ডাররা যে পিছিয়ে থাকবেন বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে মিডল অর্ডারে জস বাটলারের উপস্থিতি  আর মইন আলির মারকাটারি ব্যাটিংয়ে শক্তি বাড়াবে ইংলিশদের।

বল হাতে জোফরা আর্চার, মার্ক উড ও স্যাম কারেন যে বিশ্বমানের সেটি স্বীকার করেছেন খোদ টাইগার দলের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। তবে মিরপুরের উইকেট থেকে তারা কতটুকু সুবিধা আদায় করতে পারে সেটি দেখার অপেক্ষায়। ইংল্যান্ড বোলারদের তুলনায় মুস্তাফিজ, তাসকিন ও ইবাদতরা যে কিছুটা পিছিয়ে সেটা অনুমেয়। তবে হোম কন্ডিশন কাজে লাগিয়ে শতভাগ আদায় করে নিতে চাইবেন টাইগার বোলাররা। স্পিন বিভাগে ইংল্যান্ডের লেগ স্পিনার আদিল রশিদ ও রেহান আহমেদ মিরপুরের ২২ গজে হয়ে উঠতে পারেন ভয়ংকর। তাদের কাছ থেকে সতর্ক থাকতে হবে টাইগার মিডল অর্ডারকে। তবে স্পিন শক্তির দিক দিয়েও এগিয়ে বাংলাদেশ। আশার আলো হয়ে ঘরের  মাঠে বল হাতে ঘূর্ণি তুলবেন সাকিব-মিরাজরা।

সাম্প্রতিক সময়ে দুই দলের ওয়ানডে জয়ের রেকর্ড, খেলোয়াড়দের অভিজ্ঞতা এবং হোম কন্ডিশন সব মিলিয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অন্যতম হট ফেভারট বাংলাদেশ। এখন দেখার বিষয় মাঠের লড়াইয়ে নিজেদের কতটুকু এগিয়ে রাখতে পারেন টাইগাররা।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭