ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বিশ্ব সেরা ১০ গ্রন্থাগার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 19/02/2018


Thumbnail

পাঠক তৈরিতে কিংবা জ্ঞানের অতল সাগরে ডুব দিতে গ্রন্থাগারের বিকল্প নেই। বই পোকাদের কাছে দর্শণীয় স্থানগুলোর মধ্যে গ্রন্থাগার তালিকায় শীর্ষে থাকে। এটাই স্বাভাবিক। আমরা পৃথিবীর চমৎকার এবং গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থাগারগুলোর কথা তুরে ধরলাম:

১. অ্যাডমন্ট লাইব্রেরি- অ্যাডমন্ট, অস্ট্রিয়া



অ্যাডমন্ট লাইব্রেরি আল্পস পর্বতমালার ফুটহিলে অবস্থিত। এটি পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম লাইব্রেরি এবং একই সঙ্গে আশ্রম। জোসেফ হিউবার ১৭৭৬ সালে গ্রন্থাগারটির নকশা করেছিলেন। এর ২৩ ফুট দীর্ঘ হল রুমে দুই লাখ বই রয়েছে। বার্টলোমো আলটোমোমনেট এই রুমের ছাদ পেইন্ট করেছেন। সেখানে তিনি মানুষের জ্ঞান অর্জনের বিভিন্ন ধাপ দেখানো হয়েছে। মানুষের মোক্ষ লাভের কল্পিত ঐশ্বরিক দৃশ্যও আঁকা আছে ছাদে।

২. জর্জ পিবডি লাইব্রেরি- বাল্টিমোর, ম্যারিল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র



জর্জ পিবডি বাল্টিমোরের মানুষের আচরণ ও আতিথেয়তায় মুগ্ধ হয়ে এই গ্রন্থাগার তাদের উপহার দিয়েছিলেন। উনিশ শতকের স্থপতি এডমন্ড লিন্ড এর নকশা করেছিলেন। এর পাঁচ তলার প্রতিটি তলার বারান্দাতে বই বোঝাই করা। আর দিনের বেলাতে ছাদের স্বচ্ছ কাঁচ গলে সোনালি আলোয় আলোকিত থাকে এই গ্রন্থাগার।

৩. কোপেনহেগেন রয়াল লাইব্রেরি- কোপেনহেগেন, ডেনমার্ক



কোপেনহেগেন রয়াল লাইব্রারি ১৯৯৯ সালে তৈরি সম্পন্ন হয়। ডেনমার্কের জাতীয় গ্রন্থাগারের বর্ধিত অংশ হিসেবে তৈরি করা হয়েছিল এই গ্রন্থাগার। কালো গ্রানাইট ব্যবহার এবং অনিয়মিত কোনের বৈচিত্র্যের জন্য একে ব্ল্যাক ডায়মন্ডও বলা হয়ে থাকে।

৪. ট্রিনিটি কলেজ লাইব্রেরি, ডাবলিন, আয়ারল্যান্ড



অসাধারণ এ দ্বিতল বিশিষ্ট লাইব্রেরিটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১৮ শতকে। এটাকে বলা আয়ারল্যান্ডের কপিরাইট লাইব্রেরি। আয়ারল্যান্ডে যত বই প্রকাশিত হয় তার প্রত্যেকটির কপি এখানে পাওয়া যায়। পৃথিবীর সেরা সেরা এমন কোন বই নেই যা লাইব্রেরি পাওয়া যাবে না।

৫. হার্স্ট ক্যাসল গোথিক স্টাডি, ক্যালিফোর্নিয়া, যুক্তরাষ্ট্র



উইলিয়াম নডলফ হার্স্ট ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের একজন ধনকুবের। সংবাদপত্রের মাধ্যমেই তিনি তার ভাগ্যকে পরিবর্তন করেছেন। এই লাইব্রেরিটি ছিল উইলিয়াম হার্স্টের একটি গবেষণা কক্ষ। প্রচুর বইপত্রের মাধ্যমে তিনি এখানে কঠিন কঠিন গবেষণা চালাতেন। তাঁর এ গবেষণা কক্ষটিই পরবর্তীতে বিরাট এক লাইব্রেরিতে রূপ নেয়।

৬. ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব ব্রাজিল, রিও, ব্রাজিল



লিসবনে ধংসাত্মক এক ঘূর্ণিঝড়ের পর স্থাপন করা হয়েছিল ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব ব্রাজিল। পর্তুগিজ সাহিত্য যখন বিরাট ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যায় ঠিক তখনই এগুলোকে ব্রাজিলে এনে রক্ষার ব্যবস্থা করা হয়। এই লাইব্রেরিটি দক্ষিণ আমেরিকার সবচেয়ে বড় লাইব্রেরি এবং আয়তনের দিক থেকে পৃথিবীর সপ্তম লাইব্রেরি।

৭. স্টুটগার্ট সিটি লাইব্রেরি- স্টুটগার্ট, জার্মানি



এই গ্রন্থাগারটি ঘনকের মত। এর নয় তলা প্রতি তলায় প্রাচীন রোমের প্যান্থিয়নের আদলে গড়া। প্রতিটি কক্ষই একদম সাদা রং করা হয়েছে। এখানে শুধ বই থেকেই বিভিন্ন রং দেখা যায়।

৮. মুসাশিনো আর্ট ইউনিভার্সিটি লাইব্রেরি- টোকিও, জাপান



জাপানের স্থপতি সউ ফুজিমোটো এই গ্রন্থাগারের নকশা করেছেন। এটিই পৃথিবীর সবচেয়ে সাধারণ গ্রন্থাগার। এর ভেতরে অনেক বই এর সেলফ আর কাঁচের আয়না দিয়ে সাজানো। এর ২০ ফুট লম্বা দেওয়ালগুলো বুকশেলফ দিয়েই তৈরি।

৯. বোস্টন পাবলিক লাইব্রেরি- বোস্টন, ম্যাসাচুসেটস, যুক্তরাষ্ট্র



এখানে ২ কোটি ৩০ লাখ বই আছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় বৃহত্তম গ্রন্থাগার। ইতালীয় স্থাপত্যের অনুসারে এর নকশা করা হয়েছে। এর হল রুমের নাম বেটস হল। ১৮৫২ সালে জশুয়া বেটস শহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও গনগণের জন্য বিনামূল্যে উন্মুক্ত করে দেওয়ার শর্তে একটি বড় অঙ্কের অর্থ প্রদান করেছিলেন।

১০. বেনিকা রেয়ার বুক লাইব্রেরি- নিউ হেভেন, কানেকটিকাট, যুক্তরাষ্ট্র



এই গ্রন্থাগারে রয়েছে বিশ্বের বিরল সকল বই ও পাণ্ডুলিপির সর্ববৃহৎ সংকলন। এটি যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ব বিদ্যালয়ের একটি গ্রন্থাগার। এর দেয়ালে ভারমন্ট মার্বেল, গ্রানাইট, ব্রোঞ্জ ব্যবহার করা হয়েছে। আর স্বচ্ছ কাঁচের জানলা থেকে সর্ব ক্ষণ আলো ঠিকরে পড়ছে।


বাংলা ইনসাইডার/ডিজি/জেডএ



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭