ইনসাইড হেলথ

অন্যের ধূমপানে আপনার যেসব ক্ষতি হচ্ছে


প্রকাশ: 04/03/2023


Thumbnail

ধুমপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর-সকলেরই জানা। তবুও দেশের জনসংখ্যার একটা বড় অংশের নেশা এই ধূমপান। নিজের ক্ষতি নিয়ে তো তারা চিন্তিত নয়ই, তবে তারা হয়তো জানে না তাদের এই বদ-অভ্যাসের প্রভাব পড়ে তাঁর আশেপাশে থাকা ভালোবাসার মানুষগুলোর উপরও। 

দেশে ধূমপান সংক্রান্ত আইন থাকলেও প্রয়োগ নেই। তাই গণপরিবহন বা জমায়েতের স্থানে হারমেশাই চলে ধূমপান।
বাড়িতে ধূমপান করলে বাড়ির সদস্যরাও স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েন। ফ্যান-এসি চালিয়ে বা অন্য কোনো উপায়ে এই বাতাস বিশুদ্ধ করা যায় না। এমনকি বারান্দা কিংবা পৃথক ঘরে ধূমপান করলেও অন্যরা ঝুঁকিমুক্ত থাকেন না। সিগারেটের ধোঁয়ায় থাকে চার হাজারের বেশি রাসায়নিক উপাদান, যার অন্তত ২৫০টিই ক্ষতিকর। 

পরোক্ষ ধূমপান কেবল স্বাস্থ্যগত বিষয় নয়, বরং এর সঙ্গে অন্যের ঝুঁকিও জড়িত বলে এটি নৈতিক এবং সামাজিক সমস্যা হিসেবেও ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।

পরোক্ষ ধুমপানে ক্ষতি কতটুকু?

যারা ধূমপান করেন না তাদের আশেপাশে কেউ ধূমপান করলে এর গন্ধেই তাদের অস্বস্তি শুরু হয়ে যায়। শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। মাথাব্যথা, কাশি কিংবা বমিভাবও হতে পারে, হতে পারে নাক সুড়সুড় করার মতো ‘ছোটখাটো’ সমস্যা। আর সঙ্গে থাকতে পারে খানিকটা খারাপ লাগার অনুভূতি। এই প্রথম ধাক্কাটুকুই কেবল অনুভব করতে পারেন তিনি। বাকিটা নীরব ঘাতক। নীরবেই ক্ষতি হয়ে যায় দেহের অভ্যন্তর।

পরোক্ষ ধূমপানের ফলে রক্ত জমাট বাঁধার প্রবণতা বাড়ে, রক্তনালী ক্ষতিগ্রস্ত হয়, বাড়ে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা। ফলে একজন সুস্থ মানুষের স্ট্রোক এবং হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি বাড়ে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত। আর যারা আগ থেকেই হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত, পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হলে তাদের ঝুঁকি আরও বাড়ে।

পরোক্ষ ধূমপানে কেবল ফুসফুসের ক্যানসারের ঝুঁকিই যে বাড়ে, তা নয়; বরং সিগারেটের ধোঁয়ার নানা রাসায়নিক উপাদানের প্রভাবে অন্যান্য ক্যানসারের ঝুঁকিও বাড়ে। ধোঁয়া মিলিয়ে যাওয়ার পরও ওই স্থানে দীর্ঘদিন পর্যন্ত এমন উপাদান রয়ে যায়, যা ক্যানসারের কারণ।

কিডনির রক্তনালীও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর সরাসরি প্রভাব পড়ে কিডনীর কার্যক্ষমতার ওপর। গর্ভবতী নারী পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হলে গর্ভের শিশুটি কম ওজন নিয়ে জন্মানোর ঝুঁকি থাকে, জন্মের পর যার রোগ প্রতিরোধক্ষমতা স্বাভাবিকের চেয়ে কম হয়।

শিশুর ক্ষতি হচ্ছে কি?

শিশুদের ওপর পরোক্ষ ধূমপানের প্রভাবটা মারাত্মক। শিশুর শ্বাসতন্ত্র সহজেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কাশি ও শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ দেখা দেয়। শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ (এমনকি নিউমোনিয়াও) হতে পারে। কানে সংক্রমণের ঝুঁকিও বাড়ে। ফুসফুসের বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হতে পারে। জন্মের এক বছর বয়সের মধ্যে পরোক্ষ ধূমপানের কারণে সুস্থ শিশুর মৃত্যুও হতে পারে। পরোক্ষ ধূমপানের প্রভাবে অ্যাজমা আক্রান্ত শিশুর বারবার মারাত্মক শ্বাসকষ্ট দেখা দেওয়ার প্রবণতা


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭