ইনসাইড আর্টিকেল

জামিন হবে কতদিনে?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 19/02/2018


Thumbnail

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার সত্যায়িত কপি পাওয়া গেল অবশেষে। সোমবার বিকেলে বেগম জিয়ার আইনজীবীরা সত্যায়িত কপি হাতে পান। রায় হবার মাত্র ১১ দিনের মাথায় রায়ের অনুলিপি পাওয়া গেলো। নিম্ন আদালতের আইনজীবীরা বলছেন, ‘৬২০ পৃষ্ঠার রায়ের কপি মাত্র ১১ দিনে পাওয়া এক বিরল ব্যাপার।’ ঢাকা বারের আইনজীবীরা জানান, ‘এরকম রায়ের কপি পেতে নূন্যতম একমাস সময় লাগে।’ সেটা যাই হোক, জিয়া অরফানেজ দুর্নীতি মামলার রায়ের সত্যায়িত কপি পাবার পর প্রধান প্রশ্ন হলো, বেগম জিয়ার জামিন হবে কবে? জামিন হলেও কি তাঁকে অন্য মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে?

বিএনপির আইনজীবীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তাঁরা জানান, সোমবার রাতেই তাঁরা আপিল দায়েরের প্রস্তুতি শুরু করেছেন। আপিল দায়েরের দিনক্ষণ নিয়ে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের মধ্যে দুই মত পাওয়া গেছে। তরুণ আইনজীবীরা বলছেন, মঙ্গলবারই তাঁরা হাইকোর্টে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল এবং জামিন আবেদন করতে চান। অন্যদিকে সিনিয়র আইনজীবীরা বলছেন, এই আপিল বিএনপির অস্তীত্বের আপিল। তাই তাড়াহুড়ো করা যাবে না। রায়ে বেগম জিয়াকে দণ্ড দেওয়ার যে অবজারভেশন দেওয়া হয়েছে, তার প্রতিটার জবাব তৈরি করতে হবে। আপিলের শক্ত গ্রাউন্ড তৈরি করতে হবে। বিএনপির সিনিয়র আইনজীবীরা আভাস দিয়েছেন রোববার নাগাদ আপিল এবং জামিনের আবেদন করা হতে পারে। আইনজীবীরা বলছেন, জামিন দেওয়া হবে কিনা, এটা আদালতের এখতিয়ার। তবে আপিল গৃহীত হলে বেগম জিয়ার জামিন পাওয়া উচিত। এর পক্ষে আইনজীবীদের যুক্তি হলো, তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী, নারী এবং বয়োবৃদ্ধ। তবে দুদকের আইনজীবীরা জানিয়েছেন যে তারা বেগম জিয়ার জামিন আবেদনের বিরোধীতা করবেন। এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, তাঁর বিরুদ্ধে আরও দুর্নীতির মামলা চলমান। জামিনে মুক্ত হলে ওই বিচারাধীন মামলাগুলোকে প্রভাবিত করার জন্য তিনি হস্তক্ষেপ করতে পারেন।

দুদুকের একজন আইনজীবী বলেছেন, জিয়া অরফানেজ দুর্নীতি মামলার রায়ের পর তিনি যে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন, তাতে এরকম ধারণা করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে যে, জামিন পেলে পরবর্তী মামলাতেও তিনি (বেগম জিয়া) রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করবেন। কাজেই, জিয়া অরফানেজ মামলায় শেষ পর্যন্ত বেগম জিয়া জামিন পাবেন কিনা, তা নির্ভর করবে হাইকোর্টের উপর।



দ্বিতীয় বিষয় হলো, জামিন পেলেও কি বেগম জিয়া মুক্তি পাবেন? বেগম জিয়ার আইনজীবীরা জানিয়েছেন এই মুহূর্তে তাঁর বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা আছে। যদিও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন,‘বেগম জিয়াকে জিয়া অরফানেজ ট্রাষ্ট্রের দুর্নীতি মামলা ছাড়া অন্য কোনো মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি। কিন্তু আইনজীবীরা বলছেন,‘ একজন বন্দীকে অন্য মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় তখনই যখন তার মুক্তির প্রশ্ন আসে। বেগম জিয়া বিচারাধীন বন্দী নন। তিনি দণ্ডিত বন্দী। তাই এখনই তাঁকে অন্য মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর প্রয়োজন নেই। তবে এই মামলায় জামিন পেলে পাঁচটি মামলার যেকোনো একটিতে তাঁকে অনায়াসে গ্রেপ্তার দেখানো যেতে পারে।

আইনি এই জটিলতায় শেষ পর্যন্ত বেগম জিয়া জামিন পাবেন কবে, সে প্রশ্নের উত্তর এখনো অমীমাংশিতই রইল।

Read In English: http://bit.ly/2ECTk83


বাংলা ইনসাইডার/জেডএ



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭