ইনসাইড গ্রাউন্ড

হোয়াইটওয়াশ এড়াতে পারবে কি বাংলাদেশ?


প্রকাশ: 06/03/2023


Thumbnail

ঘরের মাঠ হোক কিংবা বিদেশের মাঠ হোক একদিনের ক্রিকেটে বাংলাদেশের কাছে প্রত্যাশা পারদ অনেক উঁচুতে। কেননা এই ফরম্যাটেই পায়ের নিচে মাটি শক্ত করতে পেরেছে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষের মাঠে এখনো পুরোদমে ভীতি ছড়াতে না পারলেও ঘরের মাঠে যে কোন দলের জন্যই হুমকি হয়ে উঠেছিলো লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চলতি সিরিজের আগে নিজেদের বাংলাদেশের সবশেষ সিরিজ হার খুঁজতে হলে ফিরে যেতে হবে প্রায় সাড়ে ৬ বছর আগে, ২০১৬ সালে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হেরেছিলো সাকিব-তামিমরা। এরপর আরো একটি সিরিজ হার, সেটিও সেই একই প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড। তবে প্রেক্ষাপটটা এবার ভিন্ন।

২০১৬ সালের অক্টোবরে অনুষ্ঠিত সেই সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে জয়ের কক্ষপথেই ছিলো বাংলাদেশ। তবে হুড়মুড়িয়ে নামা ব্যাটিং ধসের কারণে ২১ রানে হেরে গিয়েছিলো স্বাগতিকরা। তবে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৩৪ রানে জয়ে সিরিজে সমতায় ফিরেছিলো টাইগাররা। তৃতীয় ম্যাচে ৪ উইকেটে হেরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের স্বপ্ন অধরাই থেকে গেছে বাংলাদেশের। এবার ৩ ম্যাচ সিরিজের প্রথম দুই ওয়ানডেতেই হেরে গিয়ে নিজেদের উপর চাপ বাড়িয়েছে বাংলাদেশ। সেবার সিরিজ জয়ের সুযোগ থাকলেও, এবার চোখ রাঙানি দিচ্ছে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা।

প্রথম দুই ম্যাচে একই একাদশ নিয়ে খেলেছে বাংলাদেশ। দুটো ম্যাচেই ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স খুব একটা বলার মতো নয়। বিশেষ করে দলের ব্যাটিংয়ের অবস্থা খুবই নিদারুণ। হতশ্রী ব্যাটিং তাই স্বাগতিকদের সবচেয়ে বড় চিন্তার কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। প্রথম ম্যাচে বোলাররা লড়াই করলেও পরের ম্যাচে ইংলিশদের কাছে পাত্তা পান নি কেউই। ফলে চিন্তা রয়েছে বোলিং নিয়েও। ফলে সাগরিকায় তৃতীয় ম্যাচে দলের পরিবর্তন অনেকটাই নিশ্চিত।

প্রথম ওয়ানডেতে ক্যারিয়ারের একমাত্র অর্ধশতক তুলে নেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে সেই ইনিংস লম্বা তো করতে পারেন নি, উল্টো ইনিংসের শেষাংশের এপ্রোচের জন্য হয়েছেন সমালোচিত। পরের ম্যাচে আবার গোল্ডেন ডাক মেরেছেন তিনি। আবার প্রথম ম্যাচে দৃষ্টিকটুভাবে উইকেট দিয়ে আসার পর দ্বিতীয় ম্যাচে ফিফটি তুলে নিয়েছিলেন সাকিব। পুরো সিরিজে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের আর উল্লেখযোগ্য কোন ইনিংস নেই। দুজনের ব্যাট থেকেই আসে ৫৮ রান। তাই এই ম্যাচে এটি দলের জন্য বড় চিন্তার বিষয়। ব্যাটিং শক্তি বাড়াতে এই ম্যাচে একাদশে ঢুকতে পারেন অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা তৌহিদ হৃদয়। বিপিএলে দারুণ পারফর্ম করে দলে ডাক পাওয়া এই ডানহাতি ব্যাটসম্যানকে জায়গা দিতে সরে দাড়াতে হতে পারে অফফর্মে থাকা আফিফ হোসেনকে।

আবার সাগরিকার উইকেট অনেক বেশি ব্যাটং সহায়ক হওয়ায় আগের দুই ম্যাচের কম্বিনেশন থেকে বেরিয়ে আসতে পারে টিম ম্যানেজমেন্ট। প্রথম দুই ম্যাচেই চূড়ান্ত ব্যর্থ মুস্তাফিজের জায়গায় দেখা যেতে পারে এই সিরিজে কোন ম্যাচ না খেলা হাসান মাহমুদ কিংবা ইবাদত হোসেনকে। চট্টগ্রামের পিচে ৩ স্পিনারের জায়গায় দুই স্পিনার নিয়ে খেলার সম্ভাবনাও রয়েছে। সেক্ষেত্রে তাইজুল ইসলামের পরিবর্তে ইবাদত হোসেনও দলে অন্তর্ভূক্ত হলে খুব একটা অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। হোয়াইটওয়াশ এড়াতে তাই এক বা একাধিক পরিবর্তনের পথে হাঁটতে পারে বাংলাদেশ।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭