লিভিং ইনসাইড

একুশের জন্য ফুল,তোড়া

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 20/02/2018


Thumbnail

আজ রাতটা পেরোলেই অমর একুশে ফেব্রুয়ারি। ভোরের আলো ফুটলেই কোটি কণ্ঠে ধ্বনিত হবে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’। হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া এই গানের সুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার অভিমুখে যাবে লাখো মানুষের প্রভাতফেরি। শ্রদ্ধা জানাবে ভাষাসৈনিকদের প্রতি। যারা বাংলা ভাষার জন্য নিজেদের বুকের রক্ত ঢেলে দিতে দ্বিধাবোধ করেনি।

এই দিনটি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। আমাদের জন্য অসম্ভব গর্বের। এই দিন উদযাপনের জন্য একুশের প্রথম প্রহর থেকে ফুলে ফুলে ভরে উঠবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। ভালোবাসা আর শ্রদ্ধার প্রকাশে ফুলের চেয়ে উৎকৃষ্ট আর কিছু হয়না। সেই অংশ হিসেবেই এখন চলছে ফুলের রমরমা বিক্রি। ফুলের দোকানগুলোতে চলছে শেষ মুহুর্তের তোড়া আর তোরণ তৈরির কাজ।

রাজধানীর ফুলের দোকানগুলোতে ঘুরে দেখা গেছে প্রতিটি দোকানের কর্মীরা কর্কশিটে শহীদ মিনার, দেশের মানচিত্র, পতাকা, বইসহ নানা ডিজাইন করে তাতে গোলাপ, গাঁদা, চন্দ্র মল্লিকা, রজনীগন্ধা, গ্যালুরিয়া, জারবেরা, ক্যান্ডোলাসহ নানা প্রজাতের ফুল বসিয়ে ডালি তৈরি করছে। তাদের চলছে সেই ব্যস্ততা। ব্যবসায়ও চলছে ভালো। অন্য সময়ের তুলনায় দাম স্বাভাবিকভাবেই একটু বেশি।
এই সময়ে বেশি চলে ফুলের বড় তোরণগুলো। ব্যক্তি থেকে প্রতিষ্ঠান পর্যায় থেকে এই তোরণের অর্ডার যাচ্ছে ফুলের দোকানগুলোতে।

অর্ডার দিয়ে বানাতে চাইলে
অর্ডার দিয়ে ফুলের রিং কিংবা তোড়া বানাতে চাইলে কী ফুল দিয়ে রিং কিংবা তোড়া সাজাবেন এবং সেটার আকার কেমন হবে তার ওপর নির্ভর করবে দরদাম। ফুলের দোকানগুলোতে রিং ও তোড়া তৈরির নকশার বই থাকে। আপনি তা দেখে পছন্দমতো রিং কিংবা তোড়ার অর্ডার দিতে পারেন। চাইলে নকশা ঠিক রেখে পছন্দমতো ফুল দিতে পারেন। আবার পছন্দমতো ডিজাইন আর ফুল বলে দিয়েও তৈরি করা যায়। তবে আকার আর ডিজাইন যাই থাকুক না কেন রিং বা তোড়া বানাতে চাইলে অবশ্যই আগে অর্ডার দিতে হবে। তবে আজকের দিনে আর্জেন্ট অর্ডারে গুনতে হবে বাড়তি টাকা।

তৈরি করা তোরণ বা তোড়া কিনতে চাইলে
তাড়া থাকলে ওইদিন বা তার আগের দিন অর্ডার ছাড়াই তোড়া আর তোরণ কিনে নেওয়া যায়। সেক্ষেত্রে পছন্দমতো ফুল কিংবা সাইজ অনেক সময় নাও মিলতে পারে। চাইলে তখনই কোনো তোড়ার ফুল বদলেও নিতে পারেন।

কোথায় মিলবে
একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে নগরীর সবখানেই মোটামুটি ফুলের দোকান বসে। প্রধানত শাহবাগ, কাঁটাবন, হাইকোর্ট মাজারের সামনে, বেইলি রোড, পান্থপথ, ফার্মগেট, নিউমার্কেট, বিজয় সরণি, আসাদগেটসহ আরও কিছু জায়গায় ভালো ফুল পাওয়া যায়।

দামটা কেমন
বড় আকারের শুধু গোলাপের তোরণ অর্ডার দিয়ে বানাতে চাইলে দাম পড়বে ৪০০০-৫০০০ টাকা, মাঝারি আকৃতির খরচ পড়বে ৩০০০-৪০০০ টাকা আর ছোট আকৃতির ২০০০-৩০০০ টাকা। গাঁদা কিংবা গ্ল্যালাডিওলাস দিয়ে বড় আকারের তোরণ বানাতে খরচ পড়বে ২৫০০-৩৫০০ টাকা, মাঝারি সাইজের খরচ পড়বে ১৫০০-২৫০০ টাকা। বড় আকারের তোড়ার দাম পড়বে ৬০০-১২০০ টাকা, মাঝারি আকারের তোড়ার দাম ৪০০-৬০০ টাকা আর ছোট আকারের তোড়া ২০০-৪০০ টাকা।

শুধু ফুলও নিতে পারেন এ দিনটির জন্য। একুশে ফেব্র“য়ারিতে গোলাপ, গাঁদা, গ্ল্যালাডিওলাস, ক্যালেনডুলা, রজনীগন্ধা, চন্দ্রমল্লিকাই বেশি ব্যবহার করতে দেখা যায়। সেক্ষেত্রে প্রতি পিস গোলাপের দাম পড়বে ১৫-২০ টাকা আর একশ’টার গুচ্ছ কিনলে দাম পড়বে ৬০০-১০০০ টাকা, গাঁদা প্রতিটি মালার দাম ১০-২০ টাকা, নানা রঙের গ্ল্যালাডিওলাস প্রতি পিস ১০-১৫ টাকা, ক্যালেনডুলার আঁটি পাওয়া যাবে ১৫০-৩০০ টাকায়, রজনীগন্ধা প্রতি পিস ৩-৬ টাকা, চন্দ্রমল্লিকা প্রতি পিসের দাম পড়বে ২৫-৩০ টাকা।


বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/জেডএ



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭