ইনসাইড টক

‘পাট এখনও সোনালি আঁশ হিসেবে পরিচিত’


প্রকাশ: 08/03/2023


Thumbnail

‘আমি মনে করি পাট এখনও সোনালি আঁশ হিসেবে পরিচিত। বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন এবং অর্থনৈতিক মুক্তির হাতিয়ার হিসেবে পাটের ভূমিকা একটি স্বীকৃত ইতিহাস। পাট উৎপাদনে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ২য় হলেও পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানিতে বাংলাদেশ ১ম স্থান দখল করে আছে। উন্নত দেশগুলোতে পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধি পাওয়ায় পরিবেশ বিপর্যয়কারী কৃত্রিম তন্তুর ব্যবহার ক্রমেই হ্রাস পেতে থাকে এবং বৃদ্ধি পায় প্রাকৃতিক তন্তুর চাহিদা। পাটকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য পাটজাত পণ্যকে ২০২৩ সালের ‘প্রোডাক্ট অব দ্য ইয়ার’ বা বর্ষপণ্য এবং পাটকে কৃষিপণ্য হিসেবে গণ্য করার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’ – বলছিলেন বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক কৃষিবিদ ড. মো. আবদুল আউয়াল।

গত ৬ মার্চ ছিল জাতীয় পাট দিবস। পাট দিবসকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি কথা হয় বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক কৃষিবিদ ড. মো. আবদুল আউয়াল- এর সঙ্গে। বাংলা ইনসাইডারের সাথে একান্ত আলাপচারিতায় তিনি জানিয়েছেন বাংলাদেশের ‘সোনালী আঁশ’ পাটের ইতিহাস-ঐতিহ্য, বর্তমান অবস্থা এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা। পাঠকদের জন্য প্রশ্নোত্তর পর্বে কৃষিবিদ ড. মো. আবদুল আউয়াল- এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের বিশেষ প্রতিনিধি আল মাসুদ নয়ন।        

বাংলা ইনসাইডারঃ জাতীয় পাট দিবসের তাৎপর্য কি? কবে থেকে জাতীয় পাট দিবস পালিত হয়?

মহাপরিচালকঃ পাটের সাথে বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ঐতিহাসিক ১৯৬৬ সালের ৬ দফা দাবি ছিল সকল শ্রেণী পেশার মানুষের মুক্তির সনদ, যাহা মুলত ছিল পাটভিত্তিক অর্থনৈতিক বঞ্চনা থেকে উত্তরণের পথ। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর থেকে ১৯৮০ সালের পূর্ব পর্যন্ত বাংলাদেশের অর্থনীতি মূলত পাট ও পাট জাতীয় পণ্যের রপ্তানি আয়ের উপর নির্ভরশীল ছিল। এ সময় পাট রপ্তানি করে দেশ বৈদেশিক মুদ্রার প্রায় ৭৫% আয় করত। পরবর্তীতে সিনথেটিক পণ্যের প্রসারের ফলে ১৯৮০ সাল থেকে পাটজাত পণ্যের জনপ্রয়িতা ও বাণিজ্য কমতে থাকে। বর্তমানে দেশে প্রায় ৭-৮ লক্ষ হেক্টর জমি থেকে প্রায় ৮০-৮৫ লক্ষ বেল পাট উৎপাদিত হয়। প্রতি বছর প্রায় ১.০০ বিলিয়ন ইউএস ডলার মূল্যের পাট ও পাট জাতীয় পণ্য রপ্তানি হয়, যা দেশের মোট  রপ্তানি আয়ের  শতকরা ৩-৪ ভাগ। তারপরও পাটখাত কোথাও যেন আটকে আছে। এ বিষয়টি বুঝতে পেরে কৃষিবান্ধব সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিবেশবান্ধব তন্তু হিসেবে পাটের গুরুত্ব বিবেচনায় পাট চাষে কৃষকদের আগ্রহ সৃষ্টি, দেশিয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে পাট ও পাটপণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধি এবং প্রাকৃতিক তন্তু হিসেবে সোনালি আঁশের উজ্জ্বল সম্ভাবনা তুলে ধরার লক্ষ্যে জাতীয় পাট দিবস পালন করার ঘোষণা দেন। পাটের সঙ্গে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি বিবেচনায় ২০১৬ সাল থেকে প্রতিবছর ৬ মার্চ জাতীয়ভাবে পাট দিবস পালনের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর পরের বছর অর্থাৎ ২০১৭ সাল থেকে প্রতিবছর বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।

বাংলা ইনসাইডারঃ পাটকে দেশের সোনালি আঁশ বলা হয়। আপনি কি মনে করেন পাট এখনও সোনালি আঁশ?

মহাপরিচালকঃ  আমি মনে করি পাট এখনও সোনালি আঁশ হিসেবে পরিচিত। বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন এবং অর্থনৈতিক মুক্তির হাতিয়ার হিসেবে পাটের ভূমিকা একটি স্বীকৃত ইতিহাস। পাট উৎপাদনে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ২য় হলেও পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানিতে বাংলাদেশ ১ম স্থান দখল করে আছে। উন্নত দেশগুলোতে পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধি পাওয়ায় পরিবেশ বিপর্যয়কারী কৃত্রিম তন্তুর ব্যবহার ক্রমেই হ্রাস পেতে থাকে এবং বৃদ্ধি পায় প্রাকৃতিক তন্তুর চাহিদা। পাটকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য পাটজাত পণ্যকে ২০২৩ সালের ‘প্রোডাক্ট অব দ্য ইয়ার’ বা বর্ষপণ্য এবং পাটকে কৃষিপণ্য হিসেবে গণ্য করার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া পরিবেশ রক্ষায় সার, চিনি, ধান, চালসহ ১৭টি পণ্য বিক্রয়, বিতরণ ও সরবরাহে বাধ্যতামূলক পাটজাত মোড়ক ব্যবহার নিশ্চিত কল্পে ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০’ ঘোষণার ফলে পাটখাতের সোনালি ঐতিহ্যের সোনালি সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। সম্প্রতি পাটকাঠি থেকে উচ্চ মূল্যের চারকোল তৈরি করে বিদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে যা থেকে তৈরি হচ্ছে অতি মূল্যবান কম্পিউটার, প্রিন্টার, ফটোকপি মেশিন ইত্যাদির কালি ও আরো রকমারী দ্রব্যাদি। তাছাড়া পাট থেকে তৈরি সিনথেটিক পলিথিনের বিকল্প পলিথিন (সোনালী ব্যাগ) এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিবে। 

বাংলা ইনসাইডারঃ পাটের উৎপাদন কমেছে। পাটের উৎপাদন বাড়াতে আপনার ইনস্টিটিউট কি কি ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে?

মহাপরিচালকঃ পাটের উৎপাদন কমেছে কথাটি সঠিক নয়। কারণ বাংলাদেশে ১৯৭০-৭১ অর্থবছরে ৯.১০ লক্ষ হেক্টর জমিতে পাটের উৎপাদন ছিল ৬৮.০১ লক্ষ বেল। আর বর্তমানে অর্থাৎ ২০২১-২২ অর্থবছরে ৭.৪৪ লক্ষ হেক্টর জমিতে পাট উৎপাদিত হয়েছে ৮২.৭৬ লক্ষ বেল। 

বিজেআরআই প্রতিষ্ঠার পর থেকে মোট ৫৪টি পাট ও পাট জাতীয় আঁশ ফসলের জাত উদ্ভাবন ও অবমুক্ত করা হয়েছে। বিজেআরআই বিজ্ঞানীগন সম্প্রতিকালে আরোও দুইটি দেশি ও তোষা পাটের জাত অবমুক্তকরণের কাজ সম্পন্ন করেছে যার প্রথমটি হলো বিজেআরআই দেশী পাট ১০ লবনাক্ত সহনশীল (১২ ডিএস/মিটার)। অন্যটি হলো জিনোম সিকুয়েন্সের মাধ্যমে উদ্ভাবিত বিজেআরআই তোষা পাট ৮। তোষা পাট যেখানে পানি সহ্য করতে পারে না সেখানে এ জাতটি  প্রায় ১৫-২০ দিন পানি সহ্য করতে পারে। তাছাড়া প্রচলিত জাত থেকে প্রায় ১৫-২০% ফলন বেশি হয়। নতুন চরাঞ্চলে বিজেআরআই উদ্ভাবিত কেনাফ জাত, এইচসি-৯৫ দিনে দিনে জনপ্রিয়তা লাভ করছে। এছাড়া ট্রান্সজেনিক লাইন যথা- বিটি জুট, দ্রুত বর্ধনশীল, কম লিগনিনযুক্ত, রোগ প্রতিরোধী এবং স্বল্প জীবনকাল (৮০ দিন) জাত উদ্ভাবনের গবেষণা কাজ চলমান আছে। বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিজেআরআই) গবেষণার মাধ্যমে বেশ কয়েকটি লাভজনক টেকসই পাটভিক্তিক শস্য বিন্যাস উদ্ভাবন করেছে। কাঁচা অবস্থায় পাট গাছ থেকে ছাল পৃথকীকরণের জন্য মেকানিক্যাল রিবনার উদ্ভাবন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বিজেআরআই পাট কাটা ও বীজ মাড়াই করার মেশিন উদ্ভাবন করেছে। এছাড়াও ব্যাকটেরিয়াল কন্সরসিয়া প্রয়োগে দ্রুত পাট পচন পদ্ধতির গবেষণা কাজ চলমান আছে। সম্প্রতি বিজেআরআই পাট বীজে স্বয়ংসম্পূর্নতা অর্জনে রোডম্যাপ প্রণয়ন করেছে। পাটের জীবন রহস্য আবিস্কার এবং পাটের কান্ড পঁচা রোগপ্রতিরোধী পাটজাত উদ্ভাবনের নিমিত্ত পাটসহ বিশ্বের পাঁচশতাধিক উদ্ভিদের জন্য ক্ষতিকারক ছত্রাক Macrophomina phaseolina এর জীবনরহস্য উন্মোচন করা হয়েছে। এছাড়াও পাট পাতার চা, কেনাফ বীজ থেকে ভোজ্য তেল এবং মেস্তার মাংসল বৃতি থেকে জ্যাম, জেলি, জুস ইত্যাদি প্রস্তুত নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে।

বাংলা ইনসাইডারঃ জাতীয় পাট দিবসের মূল প্রতিবাদ্য কি? পাটের সোনালি ভবিষ্যৎ ফিরিয়ে আনতে কি কি পদক্ষেপ নেয়া হবে?

মহাপরিচালকঃ এ বছর জাতীয় পাট দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে ‘পাট শিল্পের অবদান, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ’।

পাট চাষে কৃষকদের আগ্রহ সৃষ্টি, দেশিয়-আন্তর্জাতিক বাজারে পাটপণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধি ও বিশ্বব্যাপী সোনালি আঁশের উজ্জ্বল সম্ভাবনা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকার পাটপণ্যকে বর্ষপণ্য ২০২৩ এবং পাটকে কৃষিপণ্য হিসেবে ঘোষণা করেছেন। ইতোমধ্যে পণ্যে পাটজাতমোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন, ২০১০; পাট আইন, ২০১৭; জাতীয় পাটনীতি, ২০১৮ এবং চারকোল নীতিমালা, ২০২২ প্রণয়ন পাটখাতের সার্বিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ নীতি সহায়তা হিসেবে কাজ করছে। পাটপণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধির পাশাপাশি সরকার বহুমুখী পাটজাত পণ্যের উদ্ভাবন ও রপ্তানি বৃদ্ধিতে গুরুত্বারোপ করছে। বিশ্বে বর্তমানে প্রতি বছর প্রায় ৫০০ বিলিয়ন পাটের ব্যাগ ও ৩২ মিলিয়ন ফুড গ্রেড পাটের ব্যাগের চাহিদা রয়েছে। এর ১০ শতাংশ বাজার দখল করতে পারলে বছরে আয় করা সম্ভব ৫০ হাজার কোটি টাকা। পাটকাঠি থেকে উচ্চ মূল্যের চারকোল তৈরি এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে। একদিকে সোনালি আঁশ অপরদিকে রূপালি কাঠি পাটের সোনালি অতীত অচিরেই ফিরে আসবে বলে আমার ধারণা। যে দেশের বিজ্ঞানীরা পাটের জীবনরহস্য আবিষ্কার করতে পারেন, যে দেশ বহির্বিশ্বে সোনালি আঁশের দেশ হিসেবে পরিচিত, সেই দেশের পাটের সোনালি দিন ফিরিয়ে আনা কঠিন নয়। বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি, গ্রিন ইকোনমি ও সবুজ পৃথিবীর বাস্তবতায় বিশ্ববাজারে পাট ও পাটজাত পণ্যের নতুন সম্ভাবনা তৈরি হওয়ায়, সোনালি আঁশের হারানো সোনালি দিন ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে। 

বাংলা ইনসাইডারঃ পাটের বহুবিধ ব্যবহার নিশ্চিত করতে কি কি পদক্ষেপ নেয়া উচিত বলে আপনি মনে করেন?

মহাপরিচালকঃ  বাজার চাহিদার সাথে সঙ্গতি রেখে বহুমুখী পাটপণ্য ব্যবহারের নতুন নতুন ক্ষেত্র চিহ্নিতকরণ, বর্তমানে প্রচলিত পণ্যের অধিকতর উন্নয়ন সাধন এবং নতুন ডিজাইন উদ্ভাবনের লক্ষ্যে ডিজাইন ইনস্টিটিউট এবং ডিজাইন সংরক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করতে হবে। দেশের শিল্প/কারখানায় বোতল/প্যাকেট প্যাকেজিং ও পরিবহণের জন্য প্লাস্টিক ব্যাগের স্থলে উপযুক্ত পাটের ব্যাগের প্রচলন এবং দেশের নার্সারিগুলোতে গাছের চারা সংরক্ষণে পাটের ব্যাগ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। পাট থেকে কাগজের মন্ড, কম্বল ও অন্যান্য গৃহস্থালি পণ্য তৈরির মতো সম্ভাবনাময় খাত প্রসারসহ সরকারি অফিস সমূহে কর্মরত সকল কর্মকর্তাদের পাটের কাগজের ভিজিটিং কার্ড এবং পাটভিত্তিক স্টেশনারি ব্যবহারে উৎসাহিত করতে হবে। বাংলাদেশে বহুমুখী পাটপণ্যের একটি ব্রান্ড সৃষ্টি করতে হবে। প্রতিযোগিতা সক্ষম পাটপণ্য উৎপাদনের উপযোগী করে সরকারি ও বেসরকারি পাটকলসমূহের আধুনিকায়নের পাশাপাশি পাটকলসমূহে নিয়োজিত শ্রমিক, টেকনিশিয়ান ও প্রকৌশলীদের দক্ষতা ও কারিগরী যোগ্যতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে যথাযথ প্রক্ষিণের কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে যাতে করে প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকার জন্য উৎপাদন ব্যয় কমিয়ে যৌক্তিক ও লাভজনকভাবে পাটপণ্য উৎপাদন করা যায়। পরিশেষে বলা যায় পাটের ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ, পাট ক্রয়-বিক্রয় সহজীকরণ, কাঁচাপাট ও বহুমুখী পাটজাত পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধিকরণ, পাটজাত পণ্য রপ্তানি ও অভ্যন্তরীন ব্যবহার বৃদ্ধিকরণ ও পরিবেশ রক্ষায় পলিথিন বর্জন ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হিসেবে বিশ্বসভায় প্রতিষ্ঠা করতে পাট অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭