ইনসাইড বাংলাদেশ

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ইউনূসের নতুন ষড়যন্ত্র


প্রকাশ: 08/03/2023


Thumbnail

দীর্ঘদিন পর নীরবতা ভঙ্গ করেছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এখন আবারও তিনি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মাঠে সক্রিয় হয়েছেন। এর অংশ হিসেবে তিনি ৪০ জন বিশ্ব নেতাকে বাংলাদেশ এবং সরকারের সম্পর্কে ভুল বার্তা দিয়েছেন। এই প্রেক্ষিতে ৪০ বিশ্ব নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে খোলা চিঠি দিয়েছেন। চিঠিটি গত মঙ্গলবার ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশিত হয়েছে। যেখান নেতারা তাদের উদ্বেগের কথা জানান। তারা জানিয়েছেন যে, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মতো 'একজন অনবদ্য পরিশুদ্ধ মানুষ এবং তার কার্যক্রমগুলো বাংলাদেশ সরকারের অন্যায় আক্রমণের শিকার হচ্ছে এবং বারবার হয়রানি ও তদন্তের মধ্যে পড়ছে'। এ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে 'গভীর উদ্বেগ' প্রকাশ করেছেন ওই ৪০ জন বিশ্বনেতা। কিন্তু ৪০ জন বিশ্বনেতা উদ্বেগ প্রকাশ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নতুন ষড়যন্ত্রের আলামত দিচ্ছে।

উল্লেখ্য যে, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে সরকার একাধিক আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ পায়। বিশেষ করে গত বছরের মে মাসে মামলা প্রত্যাহারের জন্য ড. ইউনূসের অস্বাভাবিক লেনদেনের ঘটনাটি প্রকাশ পায়। যা ড. ইউনূসকে এক বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে ফেলেছিলো। গ্রামীণ টেলিকমের চাকরিচ্যুত ১৭৬ জন শ্রমিককে পাওনা বাবদ ৪০০ কোটি টাকা দেওয়ার পর মামলা প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন শ্রমিকরা। কিন্তু মামলা প্রত্যাহারের পেছনে অস্বাভাবিক লেনদেনের ঘটনাটি প্রকাশ পায়। 

এরপর জুলাই মাসে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের গ্রামীণ টেলিকমের পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কর্মচারীদের মধ্যে বণ্টনের জন্য সংরক্ষিত লভ্যাংশের ৫ শতাংশ অর্থ লোপাট, কোম্পানি থেকে দুই হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা মানি লন্ডারিংয়ের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরের মাধ্যমে আত্মসাৎসহ চার অভিযোগে গ্রামীণ টেলিকমের পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। আর এতে করে কোণঠাসা হয়ে পড়েন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। 

দুদকের ওই অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে অনিয়মের মাধ্যমে শ্রমিক/কর্মচারীদের মধ্যে বণ্টনের জন্য সংরক্ষিত লভ্যাংশের ৫ শতাংশ অর্থ লোপাট, শ্রমিক/কর্মচারীদের পাওনা পরিশোধকালে অবৈধভাবে অ্যাডভোকেট ফি ও অন্যান্য ফির নামে ৬ শতাংশ অর্থ কর্তন, শ্রমিক/কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলে বরাদ্দকৃত সুদসহ ৪৫ কোটি ৫২ লাখ ১৩ হাজার ৬৪৩ টাকা বিতরণ না করে আত্মসাৎ এবং কোম্পানি থেকে দুই হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা মানি লন্ডারিংয়ের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরের মাধ্যমে আত্মসাৎ। 

শুধু তাই নয়, এর আগে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের সময় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রসঙ্গটি বেশ আলোচনায় আসে। তার বিরুদ্ধে পদ্মা সেতু যেন নির্মিত না হয় সেজন্য ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উত্থাপিত হয়। এরপর ড. ইউনূসের ভূমিকা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন তৈরি হয়। ইমেজ ক্ষুন্ন হতে থাকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের। আর একারণে তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত মামলা এবং অভিযোগ থেকে দায় মুক্তিটা ছিলো অত্যন্ত জরুরি। ফলে তিনি আন্তর্জাতিক মহলে আবার সক্রিয় হয়েছেন। সরকার যেন কোনভাবে তার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো তদন্ত না করে সেজন্যই তিনি তার আন্তর্জাতিক প্লাটফর্ম এর ব্যবহার শুরু করেন। এর অংশ হিসেবে তিনি নিজের ক্রটি আড়াল করে বিশ্বের নেতাদের কাছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মনগড়া তথ্য উপস্থাপন করেন। এ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ৪০ জন বিশ্বনেতা ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছেন। যা মূলে রয়েছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মনগড়া তথ্য।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭