ইনসাইড পলিটিক্স

খালেদা জিয়ার শর্ত শিথিলের আবেদন, বিএনপিতে হৈ চৈ


প্রকাশ: 08/03/2023


Thumbnail

দুর্নীতি মামলা দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে আগামী ২৪ মার্চ। এরই মধ্যে সোমবার (৬ মার্চ) খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর জন্য সরকারের কাছে আবেদন করেছেন পরিবারের সদস্যরা। আবেদনে তাঁর মুক্তির শর্ত শিথিল করে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার অনুমতি চাওয়া হয়েছে। এ নিয়ে বিএনপিতে রীতিমতো হৈ চৈ শুরু হয়েছে। আবেদনে মুক্তির শর্ত শিথিলের বিষয়টি নিয়ে দলের ভেতরে-বাইরে এবং রাজনৈতিক মহলে নানামূখী আলোচনা চলছে। কর্মীদের মধ্যে কানাঘুষা চলছে যে, এবার কি তাহলে খালেদা জিয়া বিদেশে যাচ্ছেন। তিনি কি বিদেশে যাওয়ার অনুমতি পাবেন? শেষ পর্যন্ত কি তিনি সরকারের কাছে আত্মসমর্পণ করলেন—এ ধরনের নানা গুঞ্জন চলছে রাজনৈতিক মহলে।

উল্লেখ্য, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া রাজনীতি করতে পারবেন না—তাঁর মুক্তির সময় এমন কোনো শর্ত সরকার দেয়নি। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এর এমন বক্তব্যে রাজনীতিতে শোরগোল পড়েছিলো। বিএনপি নেতারা আইনমন্ত্রীর এই বক্তব্যের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁরা বলেছেন, এর পেছনে মানুষকে বিভ্রান্ত করা সরকারের উদ্দেশ্য বা কোনো দুরভিসন্ধি থাকতে পারে। যদিও কোনো দুরভিসন্ধি থাকার অভিযোগ অস্বীকার করা হচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকে। ফলে খালেদা জিয়ার রাজনীতি নিয়ে মন্ত্রীদের কথাবার্তা বিএনপির অনেকে নেতা-কর্মীদের নিজেদের মধ্যেই বিভ্রান্তি বা সন্দেহ সৃষ্টি হয়। আর এই বিভ্রান্তি বা সন্দেহের মধ্যে শর্ত শিথিল করে সরকারের কাছে আবেদন করেছেন খালেদা জিয়া। আর এর ফলে সেই সন্দেহ আরও প্রস্ফুটিত হলো। 

অভিযোগ রয়েছে, খালেদা জিয়া তার পরিবারের পরামর্শে বিদেশে চিকিৎসার স্বার্থে সরকারের সাথে সমঝোতা করছেন। আর সরকার খালেদা জিয়াকে বিদেশে যাওয়ার সুযোগ দিয়ে বিএনপিকে নির্বাচন আনবে। কারণ খালেদা জিয়ার প্রতি দলের প্রতিটি নেতাকর্মীর একটা অন্য রকম আবেগ আছে। যা আর দলের অন্য কারোর প্রতি নেই। কাজেই তিনি ঘোষণা দিলেই বিএনপির নির্বাচনে আসবে। কিন্তু এ দফায় খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হলে পরবর্তি ছয় মাস হিসেবে মেয়াদ শেষ হবে আগামী সেপ্টেম্বরে। সে হিসেবে এখনই খালেদা জিয়া বিদেশে যাওয়ার অনুমতি পাবে সেটিও নিশ্চিত নয়। তবে এরপর অর্থাৎ অষ্টমবারের মতো আবেদন করলে স্পষ্ট হবে খালেদা জিয়া সরকারের সাথে সমঝোতা করছে কিনা। তিনি বিদেশে যাওয়ার অনুমতি পাচ্ছেন কিনা।

উল্লেখ্য, দুটি শর্তে সরকারের নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত রেখে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল ২০২০ সালের ২৫ মার্চ। তখন করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে তার পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেওয়া হয়। এর পর থেকে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ছয় মাস অন্তর অন্তর তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়া ২০১৮ সালে ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রায় দুই বছর জেলে ছিলেন।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭