ইনসাইড গ্রাউন্ড

ইংল্যান্ড বাঁধা পেরোতে পারবে বাংলাদেশ?


প্রকাশ: 11/03/2023


Thumbnail

টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে আগামীকাল মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ড। দাপুটে পারফর্ম্যান্সে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৬ উইকেটের জয়ে চমকে দিয়েছে বাংলাদেশ। তাতে প্রথমবারের মতো ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের হাতছানি সামনে রেখে প্রস্তুতি সারছেন ক্রিকেটাররা। চট্টগ্রাম পর্ব শেষে এবার ঢাকায় 'হোম অব ক্রিকেট' মিরপুরে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের শেষ দুটি ম্যাচ। মাঠের লড়াইয়ের জন্য অনুশীলনে ঘাম ঝরিয়েছেন দুই দলের ক্রিকেটাররাই।

মিরপুরের একাডেমি মাঠে পূর্বনির্ধারিত সূচী অনুযায়ী অনুশীলন সেশন করবে বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ড। টেস্ট খেলুড়ে দেশের বাকি সবার বিপক্ষে তিন সংস্করণের যে কোন একটিতে হলেও সিরিজ জয়ের স্বাদ পেয়েছে বাংলাদেশ। এ তালিকায় একমাত্র ইংল্যান্ডকেই কোন ফরম্যাটে সিরিজ হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। ২০১৬ সালে দ্বি-পাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজে সে সুযোগ পেয়েও তা বাস্তবে রূপ দিতে পারেনি সাকিব-তামিমরা। প্রথম ম্যাচে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে জয়লাভ করে সে সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেছিলো লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। তবে তৃতীয় ম্যাচে ৪ উইকেটে জিতে সিরিজ নিজেদের করে নেয় জশ বাটলারের নেতৃত্বধীন ইংল্যান্ড। 

সাদা বলের দুই সংস্করণের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা শক্তি-সামর্থ্যে এগিয়ে থাকলেও ঘরের মাঠে এবারের ওয়ানডে সিরিজে ফেভারিটের তকমাটা ছিলো বাংলাদেশের। সেটির যৌক্তিকতাও আছে। ঘরের মাঠে এক দিনের ক্রিকেটে বাংলাদেশ প্রায় অর্ধযুগ অপরাজিত থেকে সিরিজ খেলতে নামে। ঘরের মাঠে সদ্য সমাপ্ত ওয়ানডে সিরিজের আগে আর কোন সিরিজ হারেনি বাংলাদেশ। দুটি হারেই প্রতিপক্ষ এই 'ইংল্যান্ড'। কাল মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে সেই বাঁধা টপকে যাওয়ার সুযোগ থাকবে বাংলাদেশের। 

প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের জয় খানিকটা চমক জাগানিয়া হয়ে এসেছে। সংক্ষিপ্ততম সংস্করণে নিশ্চিতভাবে ফেভারিট ইংল্যান্ড। তাদের বিপক্ষে এমন ভয়ডরহীন ক্রিকেট সচরাচর দেখা যায় না বাংলাদেশের কাছ থেকে। তবে তারুণ্য আর অভিজ্ঞতার মিশেলে গড়া দলটি আগ্রাসী ক্রিকেটের পথেই হেঁটেছে বাংলাদেশ। তবে আগামীকালের ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কঠিন পরীক্ষাই দিতে হবে সাকিব আল হাসানের দলকে। হারলেও ইংল্যান্ডের ঘুরে দাড়ানোর সামর্থ্য সকলেরই জানা। ফলে সিরিজ জিততে হলে প্রথম ম্যাচের ধারাবাহিকতা ধরে রাখার পাশাপাশি মাঠে ম্যাচ পরিকল্পনার পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে হবে।

প্রথম ম্যাচের একাদশে পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা কমই। উইনিং কম্বিনেশন ধরে রাখার পাশাপাশি দল যে গতি পেয়েছে তার সাথে তাল মেলানোর জন্য- কারণ যাই হোক না কেন আপাত দৃষ্টিতে সে সুযোগ কমই। ফলে ৭ ব্যাটসম্যান ও ৪ বোলারের কৌশলটাই ধরে রাখতে পারে স্বাগতিকরা। তবে মিরপুরের উইকেট বিবেচনায় স্পিনারের বিষয়টিকে প্রাধান্য দিলে ৩ পেসারের জায়গায় দুইজনের সাথে বাড়তি আরেকজন স্পিনার একাদশে অন্তভূক্ত হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না। সেক্ষেত্রে ব্যাটিংয়ের সামর্থ্যের কারণে মেহেদী হাসান মিরাজের একটি ক্ষীণ সম্ভাবনা থাকতে পারে। তবে তাসকিনের সাথে দ্বিতীয় পেসার হিসেবে হাসান মাহমুদ মাঠের পারফর্ম্যান্সেই দাবি জানিয়ে রাখছেন।

এদিকে, ইংল্যান্ড সিরিজের আগপর্যন্ত বাংলাদেশ দুই বা তার চেয়ে বেশি ম্যাচের সিরিজ খেলেছে ২৬টি। সেখানে সিরিজে প্রথম ম্যাচে জয় এসেছে এমন সিরিজের সংখ্যা ১০টি। এর মধ্যে বাংলাদেশের ৫ জয়ের বিপরীতে হেরেছে ১টি সিরিজে। বাকি ৪টি সিরিজ 'ড্র' হয়েছে। 'ড্র' সিরিজগুলোর মধ্যে ৩টি ছিল ২ ম্যাচের আর একটি ৪ ম্যাচের। পরিসংখ্যান উৎসাহ দিলেও, মাঠের লড়াইটাই আসল। অনেকক্ষেত্রে পরিসংখ্যান থেকে আসল ঘটনা বোঝাও সম্ভব না। তবে আত্নবিশ্বাসের পালে হাওয়া তো দেয়।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭