সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এবং সাবেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মোতাহার হোসেন সাজু বলেছেন, যেকোনো নাগরিক বিবৃতি দেওয়া অধিকার রাখে। রাষ্ট্রের একজন নাগরিক হিসেবে এটি তার মৌলিক অধিকার। সে হিসেবে ড. ইউনূস এরও অধিকার আছে। কিন্তু তিনি যেভাবে কাজটি করেছেন তাতে এটি পরিষ্কার, তিনি একটি বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে কাজটি করেছেন।
ড. ইউনূসকে নিয়ে বিশ্বনেতাদের বিবৃতির আইনগত ভিত্তি কি—এ নিয়ে বিষয়ে বাংলা ইনসাইডার এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় অ্যাডভোকেট মোতাহার হোসেন সাজু এসব কথা বলেছেন। পাঠকদের জন্য অ্যাডভোকেট মোতাহার হোসেন সাজু এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক শান্ত সিংহ।
অ্যাডভোকেট সাজু বলেন, আমরা একটি বিষয় দেখে আসছি যে, যখন মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি ক্ষমতায় থাকে তখন সব সময় একটি পক্ষ দেশে এবং দেশের বাইরে বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্রের চেষ্টা করে থাকে। ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ গুলো এখনও তদন্তাধীন। তিনি হয়তো ভাবছেন তার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো এক্সট্রিম পর্যায়ে চলে গেছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো হয়তো প্রমাণিত হবে। তিনি হয়তো শেষ পর্যন্ত ফেঁসে যেতে পারেন। যার কারণে তিনি ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চাইছেন। সেজন্য তিনি ওই ৪০ জন ব্যক্তিকে ব্যবহার করেছেন। যারা তার পক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন। আমার মনে হয়, ওই ব্যক্তিদের স্বাধীন মতামতের চেয়ে এখানে ড. ইউনূসের নিজের মতামত গুরুত্ব পেয়েছে।
তিনি বলেন, একটি তদন্তাধীন বিষয় নিয়ে কেউ কোনো বিবৃতি দিলে সেটি তদন্তের স্বাভাবিক প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করা। অর্থাৎ তদন্তের স্বাভাবিক প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে ড. ইউনূসের অপচেষ্টা এখানে সুস্পষ্ট।