বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে আন্তর্জাতিক মাঠে আবারও সক্রিয় হয়েছেন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সম্প্রতি তার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ড. ইউনূস সম্পর্কে ৪০ জন বিশ্বনেতা কর্তৃক বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট দেওয়া খোলা চিঠি প্রকাশিত হয়েছে। সেই প্রচেষ্টার পর এবার ভারত মিশনে নেমেছেন ড. ইউনূস। উল্লেখ্য যে, গত ১৪ বছরে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে। যেহেতু উপমহাদেশে ভারত একটি পরাশক্তি তাই ভারতকে নিজ স্বার্থে ব্যাবহার করতে চায় ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে তিনদিনের জন্য ভারতের আসাম সফরে যান ইউনূস। আসামের স্বায়ত্বশাসিত বোডোল্যান্ড অঞ্চলের প্রশাসনিক সদরদপ্তর কোকরাঝারে অনুষ্ঠিত বোডোল্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল নলেজ ফেস্টিভ্যালে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা রাখেন তিনি। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি আসামের স্বায়ত্বশাসিত বোডোল্যান্ড অঞ্চলের প্রশাসনিক সদর দপ্তর কোকরাঝারে বোডোল্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল নলেজ ফেস্টিভ্যাল অনুষ্ঠিত হয়। নলেজ ফেস্টিভ্যালে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন আসাম রাজ্য পরিষদের স্পিকার বিশ্বজিৎ দাইমারী, প্রতিমন্ত্রী ইউজি ব্রক্ষ্ম প্রমুখ। ফেস্টিভ্যালে আসামের ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অংশ নেন। হঠাৎ করেই ড. ইউনূসের আন্তর্জাতিক মাঠে সক্রিয় হওয়া এবং আসাম সফর ভারতকে তার পক্ষে আনার ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছেন কোন কোন কূটনীতিক মহল।
উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের সাথে ভারতের একটি সুসম্পর্ক রয়েছে। চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসেই ঢাকা সফরে আসেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কাত্রা। ঢাকা সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি তার দেশের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। বিনয় বলেন, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অগ্রগতিসহ উন্নয়ন যাত্রায় ভারত বাংলাদেশের পাশে থাকবে। বাংলাদেশ এবং ভারতের এই সুসম্পর্ককে নিজেদের হুমকি হিসেবে দেখছে ড. ইউনূস ও তার সুশীল মহল। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনীতির মাঠে তাই এখন সকলেই সক্রিয়। বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে যে, এক-এগারো'র মত যেন দেশের আবার একটি রাজনৈতিক শূন্যতা তৈরি হয় সেই লক্ষ্যেই কাজ করছেন ড. ইউনূস ও তার পরিচালিত সুশীল সমাজ।