কাসেমিরোকে লাল কার্ড, ভিএআরের উপর ক্ষোভ টেন হাগের

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে রোববার সাউথ্যাম্পটনের বিপক্ষে ৩৪তম মিনিটে কার্লোস আলকারাসকে ফাউল করেন কাসেমিরো। ফাউল করায় ব্রাজিলিয়ান তারকাকে রেফারি প্রথমে হলুদ কার্ড দেখান। কিন্তু ভিএআর দেখার পর সিদ্ধান্ত বদল করেন রেফারি। দেখালেন লাল কার্ড। হতভম্ব কাসেমিরো মাঠ ছাড়েন চোখে জল নিয়ে। গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলারকে হারানোর ধাক্কা সামলে উঠতে পারেনি ম্যানইউ। ঘরের মাঠে গোলশূন্য ড্র করে দলটি। ব্রাজিলিয়ান তারকার লাল কার্ড বিষয়ে ম্যাচ শেষে ক্ষোভ প্রকাশ করেন দলের কোচ এরিক টেন হাগ। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কোচ প্রশ্নবিদ্ধ করলেন ভিএআর-এর সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়াকেও।

কাসেমিরোর লাল কার্ড ছাড়াও আরেকটি জায়গায় নিজেদের বঞ্চিত মনে করছেন ইউনাইটেড কোচ। মার্কাস র‌্যাশফোর্ডের ক্রসে সাউথ্যাম্পটনের আর্মেল বেলা-কচাপের হাতে বল লেগেছিল বলেই বিশ্বাস তার, যেখানে তার মনে পাওনা ছিল পেনাল্টি।

ম্যাচ শেষে নিয়েক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া এরিক টেন হাগ বলেন,‘আমার মনে হয়, এটা চূড়ান্ত অধরাবাহিকতা। ফুটবলাররা বুঝে উঠতে পারছে না, প্রক্রিয়াটা কী! এই সপ্তাহান্তে কয়েকটি ম্যাচে  ভিএআর কোন ভূমিকা রাখেনি, কিন্তু আজকে একইরকম ব্যাপারে ঠিকই প্রভাব রাখল। আজকে দুটি পেনাল্টি পরিস্থিতিতে ভিএআরকে দেখা গেল না। বিশেষ করে প্রথমটি তো স্পষ্ট ও নিশ্চিত হ্যান্ডবল ছিল। তাহলে প্রক্রিয়াটা কি?’

প্রিমিয়ার লিগে এই নিয়ে তিন ম্যাচের মধ্যে দুইবার লাল কার্ড দেখলেন কাসেমিরো। গত মাসে ক্রিস্টাল প্যালেসের উইল হিউজকে ফাউল করে মাঠ ছেড়েছিলেন কাসেমিরোকে। তবে শিষ্যের উপরেই আস্তা রাখলেন কোচ। টেন হাগের মতে, কাসেমিরোর দায় কোনোটিতেই খুব একটা নেই। কাঠগড়ায় তুললেন তিনি ভিএআরকেই।

টেন হাগ বলেন, ‘আরেকটি জায়গাতেও অধারাবাহিকতা আছে। মৌসুমের শুরুতে রেফারিং নিয়ে বলা হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে কি হচ্ছে? ইউরোপিয়ান ফুটবলে পাঁচশর বেশি ম্যাচ খেলেছে কাসেমিরো, কখনও সরাসরি লাল কার্ড দেখেনি। এখানে এসে সে দুটি দেখে ফেলল। সে কঠোর ফুটবল খেলে তবে ন্যায্য পথেই খেলে। আজকেও খেলেছে, ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষেও। খুবই বিতর্কিত ব্যাপার।‘

আরও যুক্ত করে তিনি বলেন, ‘ফুটবল যারা বোঝেন, তারা সবাই জানে যে যখন কোনো দৃশ্য স্থির করে দেখা হয়, তখন তা বাজে দেখা যেতেই পারে। কিন্তু ফুটবল যারা বোঝেন, সবাই জানেন যে কোনটি বাজে আর কোনটি ন্যায্য। কাসোমিরো সবসময় সঠিক পথেই খেলে। কঠোর কিন্তু সঠিক। পাঁচশর বেশি ম্যাচ খেলেও কখনও সরাসরি লাল কার্ড দেখেনি, এতেই তা ফুটে ওঠে।‘