ইনসাইড টক

‘বাংলাদেশে ঋণ খেলাপির অবস্থাটা ভালো না’


প্রকাশ: 13/03/2023


Thumbnail

‘আমেরিকায় ব্যাংক বন্ধ হয়ে গেছে- এতে আমেরিকার সাথে বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্যে কোনো প্রভাব পড়বে না। এতে বাংলাদেশের কিছুই হবে না। আমেরিকায় যে তিনটা ব্যাংক বন্ধ হয়ে গেছে। তার কারণ হচ্ছে- অর্থনৈতিক সঙ্কটের সময়ে মন্দা হয়। এ কারণেই অর্থনৈতিক সঙ্কটে পড়ে ব্যাংকগুলো বন্ধ হয়ে যায়। আমার মনে হয় না এটার সঙ্গে আমাদের দেশিয় অবস্থায় আপাতত কোনো ধরনের সমস্যা হবে। কারণ আমাদের রপ্তানি বাণিজ্যে বাহিরের যে ব্যাংকগুলো গ্যারান্টি দেয়- তার মধ্যে এই ব্যাংকগুলো পড়ে না। অতএব আমি মনে করি না আপাতত এই ব্যাংকগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের ব্যাংকিং সেক্টরে অথবা আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে কোনো প্রভাব পড়বে।’- বলছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. আবুল বারাকাত।  

সম্প্রতি আমেরিকায় অব্যাবস্থপনা এবং দুর্নীতির কারণে বেশ কয়েকটি ব্যাংক বন্ধ হয়ে গেছে। এর মধ্যে রয়েছে সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক, সিগন্যাচার ব্যাংক এবং সিলভারগ্যাট ব্যাংক। আমেরিকার এসব ব্যাংকগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমেরিকার সাথে বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্যের কোনো প্রভাব পড়তে পারি কি না এবং বাংলাদেশের ব্যাংকগুলো এসব ঘটনা থেকে কি ধরনের শিক্ষা নিতে পারে- এসব বিষয় নিয়েই কথা হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. আবুল বারাকাত- এর সঙ্গে। বাংলা ইনসাইডারের সাথে একান্ত আলাপচারিতায় তিনি জানিয়েছেন আমেরিকার সাথে বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্য, ব্যাংকগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণ এবং বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর জন্য শিক্ষনীয় কি হতে পারে সেসব বিষয়ে। পাঠকদের জন্য অধ্যাপক ড. আবুল বারাকাত- এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের বিশেষ প্রতিনিধি আল মাসুদ নয়ন। 

অধ্যাপক ড. আবুল বারাকাত বলেন, ব্যাংক কেন বন্ধ হয়, কখন বন্ধ হয়- সেটা আগে ভালো করে জানা দরকার। ব্যাংকে যদি ঋণ খেলাপির মাত্রা অনেক বেশি হয়, ক্যাপিটাল অ্যাডিকুয়িটি অর্থাৎ ব্যাংকের নিজের পুঁজি যেটাকে বলে- পর্যাপ্ত থাকা, সেটা যদি কম হয়, তাহলে যে কোনো ব্যাংকই বন্ধ হয়ে যেতে পারে। বাংলাদেশে ঋণ খেলাপির অবস্থাটা ভালো না। খারাপই বলা যায়। বাংলাদেশে ঋণ খেলাপির যে তথ্যটা দেয়া হয়, কারো কারো বোধহয় ১৬ শতাংশ- এই তথ্যটা বোধ হয় ঠিক না। এইটা ২৬ শতাংশ বলে আমার ধারনা এবং যেসব ব্যাংকে বেশি ঋণ খেলাপি সেইসব ব্যাংকে যদি ক্যাপিটাল অ্যাডিকুয়িটি কম থাকে অর্থাৎ মূলধন পর্যাপ্ততা যদি কম থাকে- তাহলে সেই ব্যাংকগুলোতে সমস্যা দেখা দিবে। 

তিনি বলেন, প্রবলেম ব্যাংক কেন হয়, সেটা আমাদের জানা আছে। প্রবলেম থেকে ব্যাক উদ্ধার কিভাবে হয় সেটাও আমাদের জানা আছে। প্রবলেম ব্যাংক কোনটা কোনটা সেটা চিহ্নিত করা আমাদের প্রধান কাজ। সেটা যেমন চিহ্নিত করা দরকার তেমনি প্রবলেম ব্যাংককে নন-প্রবলেম ব্যাংকে রূপান্তর ঘটানো- সেই চেষ্টা করা। এর বাইরে কোনো কিছু করার নাই। এই ক্ষেত্রে মূল দায়িত্ব পালন করতে পারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক অর্থাৎ বাংলাদেশ ব্যাংক।                   



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭