ইনসাইড বাংলাদেশ

‘গত এক বছরে কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে স্বাস্থ্য সেবা নিয়েছে ৯ কোটি মানুষ’


প্রকাশ: 12/03/2023


Thumbnail

কমিউনিটি বেইজড হেলথ কেয়ার (সিবিএইচসি) এর লাইন ডিরেক্টর ডাঃ মোঃ কাইয়ুম তালুকদার বলেছেন, কমিউনিটি ক্লিনিক আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার চিন্তা প্রসূত কার্যক্রম এবং বর্তমান সরকারের সাফল্যের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। যা দেশে এবং বিদেশে সর্বক্ষেত্রেই প্রশংসিত হয়েছে। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে দরিদ্র এবং সুবিধা বঞ্চিত গ্রামীণ জনগোষ্ঠী তারা নিকটস্থ কমিউনিটি ক্লিনিক হতে সমন্বিত স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা এবং পুষ্টি সেবা গ্রহণ করে থাকে। 

রোববার (১২ মার্চ) বেলা ১১টায় রাজধানীর বাংলাদেশ মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিলে (বিএমআরসি) আয়োজিত "জাতির পিতার স্বাস্থ্য ভাবনা এবং দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার কমিউনিটি ক্লিনিক স্মার্ট বাংলাদেশ, স্মার্ট স্বাস্থ্যসেবা, স্মার্ট কমিউনিটি ক্লিনিক" শীর্ষক গোল টেবিল আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিক পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ এর একটা অনন্য দৃষ্টান্ত। জনগণ কমিউনিটি ক্লিনিকের জন্য জমি দান করছে এবং সরকার সে জমিতে কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ করে এবং এরপরে সেখানে প্রশিক্ষিত একজন স্বাস্থ্যকর্মীকে দেয়া হয়। যাকে আমরা সিএসসিপি বা কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার হিসেবে চিহ্নিত করছি। এর পাশাপাশি সেখানে সরকার সাতাইশ রকমের সাধারণ ওষুধ দিচ্ছে। এর পাশাপাশি তিন ধরনের পরিবার পরিকল্পনা সামগ্রী সেখানে দেয়া হচ্ছে।

ডাঃ তালুকদার বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রমটি ১৯৯৬ সালে গৃহীত হয় এবং এর বাস্তবায়ন শুরু হয় ১৯৯৮ সালে। ২৬ এপ্রিল ২০০০ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তিনি টুংগী পাড়া জেলার পাটগাতী ইউনিয়নে কমিউনিটি ক্লিনিক উদ্বোধনের মাধ্যমে কমিউনিটি ক্লিনিক কার্যক্রমের সূচনা করেন।

তিনি আরও বলেন, ১৯৯৮ থেকে ২০০১ সালের মধ্যে ১০ হাজারের অধিক কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ নির্মাণ করা হয় এবং সেগুলোর মধ্য দিয়ে মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা দেয়ার কর্মকাণ্ড চালিয়ে যায়। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ২০০১ সালে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। কিন্তু ২০০৯ সালে যখন আবার বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসে তখন রিভিতালিজেশন অফ কমিউনিটি হেলথ কেয়ার ইনিশিয়েটিভস ইন বাংলাদেশ এ প্রকল্পের মাধ্যমে কমিউনিটি ক্লিনিককে পুনরুজ্জীবিত করে কার্যক্রম শুরু হয়। এটি ২০১৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। এরপর সিবিএসসি অপারেশনের মাধ্যমে কমিউনিটি ক্লিনিক এর সকল কার্যক্রম বাস্তবায়িত হয় ডিসেম্বর ২০১৬ সাল পর্যন্ত। পরবর্তীতে চতুর্থ এইচপিএনএসপি কর্মসূচিতে সিবিএসসি অপারেশন প্লান অনুযায়ী জানুয়ারি ২০১৭ হতে ২০২৩ মেয়াদ পর্যন্ত এই প্রকল্পের কার্যক্রম বাস্তবায়ন হচ্ছে।

ডাঃ মোঃ কাইয়ুম তালুকদার জানান, কমিউনিটি ক্লিনিক কার্যক্রমকে গতিশীল এবং টেকসই করার লক্ষ্যে মহান জাতীয় সংসদে কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট আইন অনুমোদন করা হয় এবং এই আইনের বলে কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হিসেবে কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট এর আওতাধীন সিবিএসসি অপারেশন প্ল্যানের মাধ্যমে কমিউনিটি ক্লিনিক সমূহ পরিচালিত হচ্ছে। এখন পর্যন্ত আমাদের ১৪২০৮টি কমিউনিটি ক্লিনিক তার কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে এবং জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা দেয়ার কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। ১৪২০৮টি কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে আমরা বিগত বছরে মোট ৯ কোটি ৮৩ লক্ষ ১ হাজার ১৫৪ জন মানুষকে স্বাস্থ্য সেবা দিয়েছি এবং ১৮ হাজার ১৮৬ টি স্বাভাবিক প্রসব সেখানে করানো হয়েছে। ৭৯ লক্ষ ১৫ হাজার ৯৩৯ জন শিশুর রোগীকে দেখানো হয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের চার হাজারেরও অধিক কমিউনিটি ক্লিনিকে স্বাভাবিক প্রসবের ব্যবস্থা রয়েছে এবং এই ১৪২০৮ টি কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রতিটি ক্লিনিক প্রতি মাসে বাচ্চাদের জিপিআই কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে টিকা প্রদান করা হয়ে থাকে।আমাদের কমিউনিটি ক্লিনিকে যে রোগীগুলো জটিল এবং দুরারোগ্য রোগ নিয়ে আসে কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে তাদের নিকটস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে অথবা বিশেষায়িত হাসপাতালে পাঠােনা হয়। এধরণের রেফারের রোগীর সংখ্যা এখন পর্যন্ত এক কোটির উপরে।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭