ইনসাইড আর্টিকেল

যেভাবে পালন করবেন বিশ্ব ঘুম দিবস


প্রকাশ: 17/03/2023


Thumbnail

‘ঘুম’ ছোটো একটি শব্দ, তবে মানব শরীর ও মনের জন্য অত্যন্ত জরুরি একটি বিষয়।  আপাতদৃষ্টিতে ঘুমকে মনে হতে পারে জীবনের অতি সাধারণ এটি। এই সাধারণ বিষয় নিয়ে এতো আলোচনা-মাতামাতি করে একটি দিবস উদযাপনকে অনেকের কাছেই বাড়াবাড়ি মনে হতে পারে। তবে, যারা ঘুমের সমস্যায় ভোগেন তারাই কেবল বুঝতে পারেন ঘুম নিয়ে আলোচনার মর্ম। ঠিকমতো ঘুম না হলে কোনো কিছুই ঠিকঠাক চলে না।

১৭ মার্চ বিশ্ব ঘুম দিবস। যারা ঘুমের সমস্যায় ভুগছেন মূলত তাদের উপলক্ষ করেই দিবসটি পালিত হয়। পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী মানুষকে ঘুমের প্রয়োজনীয়তা, ঘুমের প্রতি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনও এই দিবসটির লক্ষ্য।

মারাত্মক ঘুমের সমস্যায় ভুগছেন এমন মানুষকে সহায়তা এবং বিষয়টি নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০০৮ সাল থেকে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। বিশ্বব্যাপী ৭০টিরও বেশি দেশে এটি পালন করা হয় আনুষ্ঠানিকভাবে। এই দিবস ঘুম সম্পর্কিত বিভিন্ন ইস্যু যেমন- ঘুমের ওষুধ এবং অনিদ্রার সামাজিক প্রভাব নিয়ে কাজ করে। হালকা থেকে গুরুতর ঘুমের সমস্যা বর্তমান সমাজে অনেকের মাঝেই দেখা যায়। গুরুত্ব না দিলে এটি পুরো জীবনকে এলোমেলো করে দিতে পারে। ঘুমের ওষুধ ও ঘুম নিয়ে গবেষণা করা একদল চিকিৎসাবিদের হাত ধরে এই দিবসের পথচলা শুরু।

কীভাবে উদযাপন করবেন

দিবসের কথা যখন এসেছে তখন পালনের প্রসঙ্গ আসাও স্বাভাবিক। ঘুম দিবস পালন খুবই সহজ। ভালো ঘুমের অভ্যাস এনে দিতে পারে এমন কিছু পদক্ষেপই এ দিবসের প্রধান কাজ। কিভাবে দিনটি পালন করবেন তার কিছু পরামর্শ রইলো-

ঘুমিয়ে পড়ুন

ঘুমাতে কে না ভালোবাসে! তাই ঘুমিয়েই এই দিনটি উদযাপন করুন। কাজ থেকে ছুটি নিন এবং যতক্ষণ ইচ্ছা ঘুমান। আর তা সম্ভব না হলে অন্তত ২০ মিনিটের জন্য ঘুমিয়ে নিন। ওঠার পরে সতেজ অনুভূতি হলে বুঝতে হবে, এই ঘুমটা সত্যিই আপনার দরকার ছিল।


ঘুমানোর আগে নিজের যত্ন

শিশুরা সহজেই ঘুমিয়ে পড়তে পারে। কিন্তু বড়দের ক্ষেত্রেই আসে যত বিপত্তি। কারো ঘুমের আগে গোসল করতে হয়, কারো আবার মাজতে হয় দাঁত। তাই যে কাজ বা অভ্যাস আপনার ঘুমকে ত্বরাণ্বিত করতে পারে সেটির চর্চা করুন। পরিচ্ছন্নতার অভ্যাস শরীর ও মন উভয়কেই শান্ত করতে সক্ষম। এছাড়াও-

 - প্রতিদিন একই সময়ে বিছানায় যাওয়ার অভ্যাস করুন

- নিয়মিত ব্যায়াম করুন। যারা কায়িক পরিশ্রম করেন না তাদের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

- ক্যাফেইন সমৃদ্ধ পানীয় যেমন- চা, কফি ছেড়ে দিন। সম্ভব না হলে কমিয়ে আনুন।

- ঘরের তাপমাত্রা ১৬-১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখার চেষ্টা করুন।

- ঘুমানোর আগে নিজের জন্য অন্তত ৩০টি মিনিট সময় বরাদ্দ রাখুন। শুয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘুম না আসতেই পারে। এই সময়টুকু সফট মিউজিক শুনুন অথবা একটু দুর্বোধ্য ধরনের কোনো বই পড়ুন।

- ঘুমানোর অন্তত এক ঘণ্টা আগে কম্পিউটার, টিভি, স্মার্টফোন বন্ধ করে দিন। এগুলোর নীল আলো ঘুমের ছন্দপতন ঘটায়।

- ঘরের আলো কমিয়ে দিন। মস্তিষ্ককে বলুন, এখন ঘুমানোর সময়।

- মেডিটেশন করতে পারেন। স্মার্টফোনে আজকাল স্লাম্বার, কাম, স্লিপ সাইকেল, রেফ্লেক্টলি নামে কিছু অ্যাপের দেখা পাবেন। যারা আপনাকে এ কাজে সহায়তা করবে।

- স্থানীয়ভাবে ঘুম নিয়ে কাজ করে এমন সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হতে পারেন। ইনসমনিয়ার মতো অসুখ নিয়ে কাজ করে এমন সংস্থাকে আর্থিক সহায়তাও দিতে পারেন।

- ম্যাট্রেস বা বিছানার গঠনে সমস্যাও ভালো ঘুমের অন্তরায়। তাই বিছানার সবকিছু ঠিকঠাক আরামদায়ক আছে কি-না নিশ্চিত হন।

- এরপরেও সমস্যা মনে হলে পেশাদার পরামর্শক বা চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন।

আমাদের মধ্যে অনেকেই হয়ত ঘুমের সমস্যায় ভুগছেন। পরিচিতজনের সঙ্গে উল্লিখিত পরামর্শগুলো নিয়ে আলাপ করতে পারেন।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭