বেগম খালেদা জিয়াকে মাদার অব ডেমোক্রেসি পদক দেয়া কানাডিয়ান হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশান-কানাডিয়ান হিউমান রাইটস ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশান (সিএইচআরআইও) এর প্রতিষ্ঠাতা প্রধান যোশে ম্যারিও গুইলোম্বোকে গ্রেপ্তার করেছে টরন্টো পুলিশ।
একজন নারীকে পাঁচবার যৌন নিপীড়ন এবং দুইবার আটকে রাখার অভিযোগে গুইলোম্বোকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশ বলছে, ভুক্তভোগী যতবার এই ব্যক্তির সংগঠনের কার্যালয়ে গেছেন ততবার যৌন হরানির শিকার হয়েছেন। পুলিশের ধারণা আরও অনেকেই এই ব্যক্তির হয়রানির শিকার থাকতে পারেন। সেজন্য তথ্য দিয়ে সহায়তা করার জন্য আহ্বান জানিয়েছে পুলিশ।
যোশে ম্যারিও গুইলোম্বো গ্রেপ্তার হওয়ার পর এখন বেগম জিয়ার 'মাদার অব ডেমোক্রেসি' পদক প্রশ্নের মুখে পড়েছে। যোশে ম্যারিও গুইলোম্বো এর প্রতিষ্ঠান ‘কানাডিয়ান হিউমান রাইটস ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশানকে নিয়ে মানুষের নতুন করে কৌতুহল তৈরি হয়েছে। যে প্রতিষ্ঠান একজন ব্যক্তিকে 'মাদার অব ডেমোক্রেসি' পদকে ভূষিত করল সে প্রতিষ্ঠান প্রধান আবার যৌন হয়রানির অভিযোগে গ্রেপ্তার! ফলে প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম নিয়েও নানা প্রশ্ন উঠছে। কি উপায় বা কি পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রতিষ্ঠানটি এ ধরনের পদক দিয়ে থাকে সেটি নিয়েও মানুষের মধ্যে যেমন কৌতুহল তৈরি হয়েছে তেমনি আর্থিক লেনদেনের বিনিময়ে পদক দেয়া হয় কিনা সেটি নিয়েও প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।
উল্লেখ্য, কয়েক বছর আগে কানাডিয়ান হিউমান রাইটস ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশান (সিএইচআরআইও) নামের নাম সর্বস্ব এই সংগঠনটি বেগম খালেদা জিয়াকে ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ পদক দিয়ে ব্যাপক আলোচনায় আসে। এর প্রেক্ষিতে ২০২২ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারী খালেদা জিয়ার হাতে উক্ত সংগঠন কর্তৃক প্রেরিত সম্মাননা ক্রেস্ট পৌঁছেছে বলেও গণমাধ্যমে খবর আসে।
সম্মাননা ক্রেস্ট ও সনদে দেখা যায়, ‘ডেমোক্রেসি হিরো’ ক্যাটাগরিতে খালেদা জিয়াকে ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ পুরস্কার দেওয়া হয়। তাতে উল্লেখ আছে, বাংলাদেশে ও বহির্বিশ্বে অনগ্রসর জনগণের জন্য গণতন্ত্র, মানবাধিকার, শান্তি ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় অসামান্য অবদানের জন্য খালেদা জিয়াকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়। ক্রেস্টে এর তারিখ উল্লেখ রয়েছে ২০১৮ সালের ৩১ জুলাই।