ইনসাইড পলিটিক্স

ফখরুলকে নিয়ে 'আশঙ্কা' সত্যি হল!


প্রকাশ: 19/03/2023


Thumbnail

চলতির সপ্তাহের শেষে শুরু হবে পবিত্র মাহে রমজান মাস। রমজানের আগে গতকাল দেশের বিভিন্ন মহানগরে বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল বিএনপির শেষ রাজপথের কর্মসূচি। কারণ চলতি সপ্তাহেই রমজান মাস শুরু হবে। এ সময় ইফতার কর্মসূচি থাকলেও রাজপথের কোনো কর্মসূচি থাকবে না এটা মোটামুটি নিশ্চিত। তবে রমজানের পর আবার কর্মসূচি থাকবে বলে দলটির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে। এদিকে আগামী রমজানের পর সরকারবিরোধী কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কিন্তু তার এই বক্তব্য নিয়ে কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় এবং তৃণমূলের নেতাকর্মী মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামকে নিয়ে 'আশঙ্কা' সত্যি হয়ে গেল বলে মনে করছেন। তারা বলছেন, রমজান মাসের আগ পর্যন্তই ছিল বিএনপির জন্য শেষ সুযোগ। কিন্তু এতোদিন ধরে আন্দোলন করেও দল এখন পর্যন্ত কিছুই অর্জন করতে পারেনি। বরং আন্দোলনের যে সূচনা হয়েছিল সেটিরও এখন সমাপ্ত হল। কারণ চলতি সপ্তাহেই শুরু হবে পবিত্র রমজান এবং এরপর ঈদুল ফিতর এবং বর্ষা মৌসুম শুরু হবে। ফলে আগস্ট পর্যন্ত বিএনপির আর বড় ধরনের আন্দোলন করার পরিস্থিতি থাকবে না। এরপরে সেপ্টেম্বর, অক্টোবর মাসে বিভিন্ন পরীক্ষা বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক সহ বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা রয়েছে। আর নভেম্বর থেকে দেশ নির্বাচনমুখী হবে। কাজেই বিএনপি আর নতুন করে আন্দোলন করার সুযোগই পাবে না। কিন্তু মির্জা ফখরুলকে নিয়ে কোনো আশঙ্কা সত্যি হল—এমন প্রশ্নে বিএনপির নেতাকর্মীরা বলছেন, দলের চলমান আন্দোলন এতো দীর্ঘায়িত হওয়ার পেছেন মির্জা ফখরুলই দায়ী। তার নেতৃত্বেই বিএনপি এখন আন্দোলন করছে। অথচ তার ভূমিকা রহস্যজনক।

বিএনপির নেতাকর্মীরা বলছেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম একটি নির্দিষ্ট ফরম্যাটে আন্দোলনকে পরিচালনা করেছেন। যা পূর্ব পরিকল্পিত এবং সাজানো। যে কারণে চলমান আন্দোলনের শেষ পরিণতি নিয়ে এক ধরনের সংশয় ছিল। আর এখন সেই সংশয়ই বাস্তব হল। তারা বলছেন, মির্জা ফখরুল অতীতে যতবার জেলে গিয়েছেন এবং মুক্তির পাওয়া পর তিনি অসুস্থ্য হয়ে প্রথমে হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যান। বিদেশ থেকে ফিরে এসে তিনি নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন এবং আন্দোলন স্তিমিত হয়ে যায়। এবারও তার ব্যতিক্রম কিছু নয়। গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সরকারের সমঝোতা রয়েছে। ‍উল্লেখ্য যে, ২০১৮ নির্বাচনের আগে ওই বছর ৩ জুলাই ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হসপিটালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়েছিলেন ফখরুল। চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে এসে তিনি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের যোগ দিয়ে বিএনপিকে একাদশ সংসদ নির্বাচনে নিয়ে যান। তার আগে ২০১৫ সালের ১৪ জুলাই কারাবন্দী মির্জা ফখরুল বিদেশে চিকিৎসা করার জন্য জামিন পান। এরপর থেকে তিনি নিউইয়র্ক, সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ডে কয়েকবার চিকিৎসার জন্য যান। এবারও তিনি সে রকম কিছু করবেন এমন ধারণা দলের কারো কারোর। অতীতের মতো এবারও প্রথমে তিনি জেলে গেলেন, মুক্তি পেয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হলেন। পরে আবার তিনি দেশের বাইরে (সিঙ্গাপুর) চিকিৎসার জন্য গেলেন। এভাবে তার নেতৃত্বে আন্দোলন শুধু দীর্ঘায়িত হয়েছে, কোনো ফলাফল নেই। অর্থাৎ এ যাত্রার বিএনপির আন্দোলন এখানেই শেষ হচ্ছে। রমজানের পর সরকারবিরোধী কঠোর কর্মসূচি দুসাধ্য ব্যাপার।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭