ইনসাইড পলিটিক্স

জিল্লুর রহমানের প্রতি আওয়ামী লীগের এই সম্মান!


প্রকাশ: 20/03/2023


Thumbnail

আওয়ামী লীগের দুর্দিনের কান্ডারি হিসেবে খ্যাত সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ২০ মার্চ। তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর, রাজনীতিবিদ, ভাষাসৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক। দলীয় নেতৃত্বের প্রতি আস্থা ও আনুগত্যের অনন্য নজির স্থাপন করে গেছেন জিল্লুর রহমান। আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধু ও জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রশ্নে আপসহীন ছিলেন জিল্লুর রহমান। স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যাকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন, দুই দশক পর সেই একই ব্যক্তির ওপর আস্থা, অভিভাবকত্ব ও নির্ভরতা খুঁজে নেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। 

২০০৭ সালে জরুরি অবস্থার মধ্যে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে যাওয়ার আগে শেখ হাসিনা দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করে যান জিল্লুর রহমানকেই। এ সময় সাবেক দুই প্রধানমন্ত্রী যখন বন্দি সে সময় সংস্কারবাদীদের নিয়ে ‘মাইনাস টু’ ফর্মুলা বাস্তবায়নে শাসকশ্রেণি  তৎপর ছিলেন। আওয়ামী লীগের মধ্যেও বিভেদের সুর দেখা যায়। অনেক নেতাকর্মীর অবস্থা কাহিল। হয় আপস করো, না হয় জেলে ঢোকো—এমন বাস্তবতা। জিল্লুর রহমান একপ্রকার গৃহবন্দী। প্রচারণা আছে, তাকেও দেখা যেতে পারে নতুন সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে। জিল্লুর রহমানের সামনে একদিকে আপস করে ক্ষমতার বড় পদে অধিষ্ঠিত হওয়ার সুযোগ, অন্যদিকে আপসহীন থেকে জেলে বন্দিত্বের জীবন বেছে নেওয়ার পথ। তিনি আপস করেননি আবার তাত্ক্ষণিকভাবে বিদ্রোহও করেননি।

বাবার অবর্তমানে মেয়েকে আগলে রাখার সব ধরনের দায়িত্ব পালন করেছেন জিল্লুর রহমান। সেজন্যই হয়তো জিল্লুর রহমানের মৃত্যুতে সেদিন বঙ্গবন্ধুকন্যার চোখে মুখে ফুটে ওঠেছিল অভিভাবক হারানোর শূন্যতা। শোক বাণীতেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই অবদান স্মরণ করে বলেন, ‘এক/এগারোর চরম দুঃসময়ে জিল্লুর রহমান দলের হাল ধরেছিলেন, তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বেই আওয়ামী লীগ আমাকে জেলখানা থেকে মুক্ত করে এনেছিল।’

কিন্তু দুভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, দলে যা এতো অবদান, সেই নেতাকে যেন ভুলতে বসেছে আওয়ামী লীগ। আজ তার ১০ম  মৃত্যুবার্ষিকীতে দলের পক্ষ থেকে কোনো কর্মসূচিই গ্রহণ করা হয়নি। শুধু তাই নয়, বনানী গোরস্হানে তাঁর কবরেও দলের পক্ষ থেকে কেউ শ্রদ্ধা জানাতে যায়নি। প্রয়াত রাষ্ট্রপতির একমাত্র পুত্র নাজমুল হাসান পালন এমপি তিনি এখন দেশের বাইরে। জিল্লুর রহমানের প্রতি দলের এমন আচরণ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন একাধিক তৃণমূলে নেতাকর্মী।

এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বাংলা ইনসাইডারকে বলেন, জিল্লুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীকে কেন দল কোনো কর্মসূচি করলো না, কেন তার কবরে শ্রদ্ধা জানালো না সেটি আমারও বোধগম্য নয়। এর বেশি কিছু বলতে তিনি অস্বীকার করেন।

আওয়ামী লীগের আরেক নেতা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, দলের প্রতি জিল্লুর রহমানের যে আদর্শ এবং অবদান রয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সেটা কখনো ভুলে যাবে না। ভুলে যাওয়ার কোনো সুযোগও নেই। সেই জায়গায় থেকে আজ তার মৃত্যুবার্ষিকী আওয়ামী লীগ ভুলে গেছে সেটি ঠিক নয়। কেন্দ্রীয় ভাবে হয়তো কর্মসূচি ছিল না কিন্তু তার এলাকায় কিংবা আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলো তাকে স্মরণ করেছে। এর সঙ্গে আওয়ামী লীগের একাত্মতা রয়েছে।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭