ইনসাইড বাংলাদেশ

দিদিমণি পানি দেন না

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 22/02/2018


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহান মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতার জন্য ভারতের কাছে কৃতজ্ঞ। দেশ গঠনেও পাশে থেকেছে ভারত। তবে প্রধানমন্ত্রীর একটাই দুঃখ - দিদিমণি পানি দেন না।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গণভবনে ভারতের এক দল সাংবাদিকদের আপ্যায়নের সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বললেন, ‘যখন প্রশ্ন তুললাম, তিস্তার পানির কী হলো, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, বিদ্যুৎ নিন। বললাম, আচ্ছা তা-ই দিন। যা পাওয়া যায় আর কী!’ বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গে ঢোকা আত্রেয়ী ও চূর্ণীর জল নিয়ে ওঠা অভিযোগ নস্যাৎ করে হাসিনা বলেন, ‘এ সবই তিস্তার পানি না-দেওয়ার অজুহাত!’ তবে তিস্তা নিয়ে আশা ছাড়ছেন না ‘বঙ্গবন্ধুর কন্যা’। তাঁর কথায়, ‘আবার এটাও ঠিক, উনি (মমতা) বলেননি, দেবেন না। আমরা আশা করছি দেবেন।’ আর সেই আশাতেই তিস্তার শাখা নদীগুলিতে ড্রেজিং করছে বাংলাদেশ সরকার। যাতে জল এলে দেরি না-করে তা ব্যবহার করা যায়।

ভারতীয় হাইকমিশন সূত্রে বলা হয়েছে, তিস্তা চুক্তিই দু’দেশের সম্পর্কের শেষ কথা নয়। তিস্তা নিয়ে জটিলতা একটা বাস্তবতা। কিন্তু অন্য দিকগুলিতে সহযোগিতা সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছেছে। ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলার বলেন, ‘পারস্পরিক যোগাযোগ বৃদ্ধি ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার সরকার দিল্লির সঙ্গে যে সহযোগিতা করেছে, কৃতজ্ঞতা জানিয়ে শেষ করা যাবে না।’

প্রধানমন্ত্রী নিজেও বলেন, ‘ঢাকা-কলকাতা বাস, মৈত্রী আর বন্ধন ট্রেন হয়েছে। ট্রানজিট দিয়েছি। চট্টগ্রাম আর মংলা বন্দর ব্যবহার করতে দিয়েছি। কোনও বিষয়ে আমরা কার্পণ্য করিনি।’ তাঁর আশ্বাস, ‘বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগ নিয়ে ভারতের উদ্বেগের কোনও কারণ নেই। বাংলাদেশের কাছ ভারত ভারতের জায়গাতেই থাকবে, চীন চীনের জায়গায়। ভারতের বন্ধুত্ব সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। চীন তো নতুন বন্ধু।’

ভারতের ভূমিকা নিয়ে এক বারই আক্ষেপ করার কারণ ঘটেছিল বলে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০০১-এর ভোটে আমরা ভারতের সহযোগিতা পাইনি। তারা যাদের সহযোগিতা করেছিল, তারা কিছুই দেয়নি।’

সামনেই সাধারণ নির্বাচন বাংলাদেশে। তাতে কি বিরোধী দল বিএনপি যোগ দেবে? হাসিনার জবাব, ‘দেশে দলের অভাব নেই। তারা না এলেও ভোট ঠিকই হবে।’

বাংলাদেশের একটি ‘থিঙ্ক ট্যাঙ্ক’ এর আমন্ত্রণে ঢাকায় আসা ভারতীয় সাংবাদিকদের শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আপনাদের ডাকিনি। প্রধানমন্ত্রী আজ আছি, কাল না-ও থাকতে পারি। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর কন্যা হিসেবে ভারতের মানুষকে আমি প্রাণের বন্ধু বলে মনে করি।’ মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় সাংবাদিকদের অবদানও স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।

তাঁর হাসিখুশি মেজাজের কারণ কী, জানতে চাইলে হাসিনা বলেন, ‘ভয়ে মুখ শুকিয়ে থাকি না আমি। ১৯ বার আক্রান্ত হয়েছি। সময় যখন আসবে মরতে হবেই।’ তার পরে হেসে আবৃত্তি করেন, ‘জাহান্নমের আগুনে বসিয়া হাসি পুষ্পের হাসি!’


সূত্রঃ আনন্দবাজার
বাংলা ইনসাইডার/এএফ/জেডএ



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭