ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্রের জলের প্রবাহ কমছে


প্রকাশ: 24/03/2023


Thumbnail

বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাব কেবল তাপমাত্রা ও জলবায়ুতে নয়, নদীর উপরেও পড়ছে। হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলের নদীগুলি যেমন, সিন্ধু, গঙ্গা  ও ব্রহ্মপুত্র  নদীর জলের প্রবাহ ক্রমশ কমছে। আর এর কারণ বিশ্ব উষ্ণায়ন। এমনই সতর্কবার্তা দিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।

বিশ্বের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতিসংঘর মহাসচিব বলেন, “জীবনযাপনের জন্য হিমবাহগুলি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে পৃথিবীর ১০ শতাংশ হিমবাহ রয়েছে। কিন্তু, বিশ্ব উষ্ণায়নের জেরে সেগুলি ক্রমশ গলে যাচ্ছে।” ফলে গোটা বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।

জানা গিয়েছে, প্রতি বছর আন্টার্কটিকায় ১৫ বিলিয়ন টন বরফ গলছে। গ্রিনল্যান্ডে ২৭ বিলিয়ন টন গলছে। এরপর বিশ্বের সবচেয়ে বেশি হিমবাহ রয়েছে হিমালয়ে। সেগুলিও দ্রুত গলতে শুরু করেছে। যার প্রভাব পড়ছে ওই সমস্ত হিমবাহ থেকে সৃষ্ট সিন্ধু, গঙ্গা,ব্রহ্মপুত্রের মতো নদীগুলিতে।

আরও বিশদে বলতে গেলে, এশিয়ার ১০টি বড় নদীর উৎপত্তি হিমালয়ের হিমবাহ থেকে। আর ওই সমস্ত নদীর জল পান করে জীবনধারণ করেন ১৩০ কোটি মানুষ। ফলে এই সমস্ত নদীগুলির জলের প্রবাহ কমলে স্বাভাবিকভাবেই জীবনযাত্রার উপর যে বড় প্রভাব পড়বে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “হিমবাহ এবং বরফের স্তর আগামী কয়েক দশক ধরে এভাবে হ্রাস পেতে থাকলে সিন্ধু, গঙ্গা এবং ব্রহ্মপুত্রের মতো হিমালয় অঞ্চলের প্রধান নদীগুলির উপর মারাত্মক প্রভাব পড়বে।” এপ্রসঙ্গে পাকিস্তানে কীভাবে হিমালয় গলে বন্যার অবস্থা হয়েছে, তারও উল্লেখ করেন গুতেরেস।

গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্রের জলের প্রবাহ কমলে পাকিস্তানের মতো বন্যা পরিস্থিতি ভারতের হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলেও হতে পারে এবং কেদারনাথ বিপর্যয়ের মতো ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। তাই পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশ্বের সমস্ত দেশকে গ্লোবাল ওয়ার্মিং ঠেকাতে বিশেষ পদক্ষের করতে হবে বলেও জানান গুত্তেরস।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭