ইনসাইড গ্রাউন্ড

দুই সেঞ্চুরির রোমাঞ্চকর ম্যাচে শেষ হাসি প্রোটিয়াদের


প্রকাশ: 26/03/2023


Thumbnail

রোমাঞ্চকর এক ম্যাচের সাক্ষী হলো সেঞ্চুরিয়নের সুপার স্পোর্টস পার্কে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দেখতে আসা দর্শকরা। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে হেরে পিছিয়ে পড়েছিলো স্বাগতিকরা। তাতে ক্যারিবিয়ানদের সামনে ছিলো সিরিজ পকেটে পুড়ে নেয়ার হাতছানি। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে জনসন চার্লসের ঝড়ে সেঞ্চুরিতে সে পথে অনেকটা এগিয়েও গিয়েছিলো সফরকারিরা। তবে কুন্টন ডি ককের প্রথম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরিতে শেষ হাসি হেসেছে প্রোটিয়ারাই। ক্যারিবিয়ানদের ৬ উইকেটে হারিয়ে সমতা এনেছে সিরিজে।

নির্বাসন কাটিয়ে ছয় বছর পর গত বছরের অক্টোবরে দলে ফিরেছেন জনসন চার্লস। তবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ ও এরপর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খুব একটা ভালো কাটেনি চার্লসের। তবে আজ যেন স্বরূপে দেখা গেলো এই ডানহাতি ব্যাটসম্যানকে। ইনিংসের তৃতীয় বলে ব্রান্ডন কিংয়ের উইকেট হারালে ক্রিজে আসেন চার্লস। এরপর থেকেই ঝড় বইয়ে দেন প্রোটিয়া বোলারদের উপর। ক্রিস গেইলকে টপকে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্রুততম সেঞ্চুরির মালিক এখন তিনি। প্রতিপক্ষের উপর তান্ডব চালিয়ে মাত্র ৩৯ বলে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছেন ৩৪ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান। আগের রেকর্ডটি ছিল ক্রিস গেইলের। ২০১৬ বিশ্বকাপে মুম্বাইয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৪৭ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন ইউনিভার্স বস।

অপর প্রান্তে থাকা কাইল মায়ার্সও তুলে নেন অর্ধশতক। আর শেষ দিকে রোমারিও শেফার্ড ও ওডেন স্মিথের ক্যামিওতে ৫ উইকেটে ২৫৮ রানের সংগ্রহ পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরি করে চার্লস আউট হন ১১৮ রানে। ১০ চার ও ১১টি ছক্কায় সাজান নিজের ইনিংস। তার চেয়ে কম বলে সেঞ্চুরি আছে তিনজনের। ডেভিড মিলার, রোহিত শর্মা ও সুদেশ বিক্রমাসেকারা- প্রত্যেকেই সেঞ্চুরি ছুঁয়েছেন ৩৫ বলে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়েও এটি টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ।

বড় টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই আগ্রাসী ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ওপেনার  কুন্টন ডি কক ও রিজা হেনড্রিকস। ১৫২ রানের জুটিতে দলকে কক্ষপথে রাখেন দুজনে। ক্যারিয়ারের প্রথম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে র্যামন রেইফারের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ডি কক সাজঘরে ফিরলে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। ৪৪ বলে ৯ চার ও ৮ ছয়ে ১০০ রান করেন ডি কক। রাইলি রুশো থিতু হতে না পারলেও হেনড্রিকস ২৮ বলে ৬৮ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচে টিকিয়ে রাখেন প্রোটিয়াদের। মিলারও ফিরেছেন দ্রুতই।

তবে অধিনায়ক এইডেন মার্করাম ও হাইনরিখ ক্লাসেনের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ৭ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে নোঙর করে দক্ষিণ আফ্রিকা। তাতে হারের লজ্জা থেকে বাঁচার পাশাপাশি সিরিজ জয়ের সম্ভাবনাও বাচিয়ে রাখলো স্বাগতিকরা।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭