ইনসাইড ইনভেস্টিগেশন

নবাগতা তাসনিয়ার বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেইল ও প্রতারনার অভিযোগ


প্রকাশ: 30/03/2023


Thumbnail

ঢাকাই চলচ্চিত্রের নতুন মুখ তাসনিয়া রহমান। ইতোমধ্যে বেশ কিছু চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন এই নবাগতা। চলচ্চিত্রের পাশাপাশি মন দিয়েছেন ওয়েব সিরিজেও। নির্মাতা অমিতাভ রেজার ‘মুন্সিগিরি’ ওয়েব সিরিজে কাজ করেছেন তিনি। এবার এই নবাগতার বিরুদ্ধে উঠেছে প্রতারনার অভিযোগ। 

বিভিন্ন বিত্তশালীদের মনোরঞ্জন এবং ফাসিয়ে মামলা এবং ব্ল্যাকমেইল করে টাকা আদায় করে বিলাসবহুল জীবন যাপন করেন বলে জানিয়েছেন এক আলোচিত প্রযোজক নেতা জানিয়েছেন। সাবেক স্ত্রীর বিরুদ্ধে গুলশান থানায় করা সাধারন ডায়েরির একটি অংশে ঐ প্রযোজক নেতা অভিযোগ করেছিলেন, তার সাবেক স্ত্রী অভিনয় করতে ইচ্ছুক তাসনিয়া নামের একটি মেয়েকে সিনেমার নায়িকা বানানোর আশ্বাস দিয়ে  বিভিন্ন মহলে নিয়ে যান। দেশের একটি শীর্ষস্হানীয় পত্রিকার প্রতিবেদনে এমন একটি ইংগিতপুর্ণ তথ্য আসার পর শোবিজ অঙ্গন বিশেষ করে এফডিসিতে কানাঘুষা শুরু হয় কে এই তাসনিয়া?  

এদিকে  গুগল সার্চ করলে তাসনিয়া রহমানের অসংখ্য অর্ধ নগ্ন ছবি বের হয়ে আসে। যা রীতিমত পর্ণোগ্রাফি আইনে দন্ডনীয় অপরাধ। একই নামে থাকা একটি ফেসবুক প্রোফাইলেও তার নানা অভিব্যক্তিপুর্ণ অশ্লিল অঙ্গভঙ্গি ও বিভিন্ন হোটেল রুমে অবস্থানের ছবি পাওয়া যায়। ফেসবুকে তার নির্দিষ্ট পেশা উল্লেখ না থাকলেও তিনি নিজেকে মডেল ও চিত্রনায়িকা দাবি করেন। উল্লেখযোগ্য কোন কাজ বা দৃশ্যমান আয় না থাকলেও ফেসবুকে পোস্ট করা ছবিতে দেখা যায় তিনি অডি এবং মার্সেডিজের মত বিলাসবহুল গাড়িতে ঘুরে বেড়ান। সম্প্রতি তিনি নন্দিত নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরীর মু্নসীগিরিতে ছোট একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন। নিম্ন মধ্যবিত্ত পারিবারের মেয়ে ও ছোট খাটো চরিত্রে দুএকটা কাজ করে এমন বিলাসী ও রহস্যময় জীবনযাপন প্রশ্নের জন্ম দেয় তার প্রকৃত পেশা কি? 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেই প্রযোজক বলেন, ওর সাথে কিছুদিন ঘনিষ্ঠভাবে মিশে যখন দেখলাম ও আস্ত একটা বাটপার তখন আমি ওর থেকে দুরে চলে যাই। সে একজন বিচারকের সাথে ঘনিষ্ট হয় যিনি দুই বছর সড়ক দুর্ঘটনায় আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে প্যারলাইজড যীবন যাপন করছেন। ঐ বিচারকের ক্ষমতা দেখিয়ে তাসনিয়া বিভিন্ন জনকে হুমকি দিতো এমনকি আমজাদ নামের এক বড়লোকের ছেলের বিরুদ্ধে হোটেল রুমে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করে। মেয়েটির কোন মান ইজ্জত নেই। ও যা মন চায় তাই করে। অনেকটা সাইকোর মত কারন সে মারাত্মক রকম নেশাগ্রস্ত। 

কিছুদিন আগে এক মডেল- উপস্থাপিকার সাথে নিজের কথোপকথন ফাঁস করেছিলেন তাসনিয়া। সেখান থেকে জানা যায়, আলোচিত- সমালোচিত এই উপস্থাপিকা তাসনিয়ার বিরুদ্ধে পতিতাবৃত্তির অভিযোগ তুলে লিখেছেন, ক্লায়েন্টের সাথে তোমার কলরেকর্ড আমার কাছে আছে। আমি জানি তুমি এগুলো করে ফ্যামিলি চালাও। আমি আমার অবিবাহিত বন্ধুদের তোমাকে ভাড়া করতে বলবো। কিন্তু আমার স্বামীর সাথে কেনো? আমি জানি তুমি মাদকাসক্ত এবং আমার স্বামীর সাথে কথা বলো। অস্বিকার না করে তাসনিয়া রহমান উপস্থাপিকাকে বাংলাদেশে আসলে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়ে বলেন, তোর কথা চিন্তা করে আমি রিপনের সাথে কথা বলা বন্ধ করেছি। আর তুই আমারে ৩ হাজার টাকার মাগি বললি? 



এদিকে ফেসবুক কভারে তাসনিয়া যার সাথে ছবি দিয়ে রেখেছেন তিনি একজন ব্যবাসায়ি এবং এফবিসিসিআই এর সাবেক পরিচালক। তিনি বিবিহিত এবং দুই সন্তানের জনক। তিনিও তাসনিয়ার জালে ফেসেছিলেন। তার বিরুদ্ধে ধর্ষনের মামলা করে মোটা অংকের টাকা দাবি করেছিলেন মডেল- অভিনেত্রী নামদারী এই নারী। যদিও আদালতে দাখিল করা পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদনে ব্যাবসায়ী নির্দোষ প্রমানিত হন। মামলায় জিততে না পেরে তাসনিয়া তাকে সামাজিকভাবে হেয় করতেই নিজের সাথে তার ছবি ফেসবুকের কভারে ব্যবহার করছেন বলে ব্যবসায়ির ঘনিষ্ট সুত্রের দাবী। 

কয়েকবছর আগে এক আইটি ব্যবসায়ি তাসনিয়ার ভয়ে দেশ ছেড়ে আমেরিকায় পাড়ি দেন। কিছুদিন ওই ব্যবসায়ির সাথে একই বাসায় থেকেছিলেন তাসনিয়া। পরবর্তীতে বিবাহিত ওই ব্যবসায়ির বিরুদ্ধে গর্ভপাতের অভিযোগে মামলা করার হুমকি দিয়ে মোটা অংকের টাকা দাবি করেন। নেগোসিয়েশনের নামে কিছু দিন সময় ক্ষেপন করে ওই ব্যবসায়ি আমেরিকায় পাড়ি দেন বলে তার ঘনিষ্ট বন্ধু জানিয়েছেন। 

এক ব্যবসায়ির স্ত্রী গণমাধ্যমে প্রমান পাঠিয়ে জানিয়েছেন, তার স্বামীর সাথে তাসনিয়া অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। পরেবর্তীতে পারবিবারিক চাপে তাকে ছাড়তে রাজী হন ঐ ব্যবসায়ি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাসনিয়া তার কাছে মোটা অংকের টাকা চায়। অন্যথায় মিডিয়ার কাছে ঐ ব্যবসায়ির পরিচয় প্রকাশ করার হুমকি দেয়। 

এদিকে এর সব অভিযোগর বিষয়ে  তাসনিয়ার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। 


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭