প্রকাশ: 30/03/2023
দেশের একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আমরা সকলেই চাইব যে আইন সবার জন্য সমান থাকবে। কিন্তু খুব অবাক লাগে যখন দেখি একই অপরাধে একজন কারাগারে এবং আরেকজন স্বাধীনভাবে বাহিরের হাওয়া বাতাস খাচ্ছে। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে মিথ্যা এবং বানোয়াট প্রতিবেদন প্রকাশের পর প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হলে গতকাল বুধবার তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং আজ বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। শুধু শামসুজ্জামান নয়। প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধেও বুধবার মধ্যরাতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে। তাহলে প্রশ্ন হল, শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলার পর তাকে গ্রেফতার করা হলে মতিউর রহমানকে কেন এখনও গ্রেফতার করা হয়নি? এর কারণ কি?
প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান ছিলেন এক-এগারোর ষড়যন্ত্রকারী এবং এখনও তিনি দেশের বিরুদ্ধে যে নিয়মিত ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছেন আরেকটি বড় উদাহরণ হল ২৬ মার্চের সেই প্রতিবেদন। ভাবতে অবাক লাগে যে, যেখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের স্বাধীনতা এনে দিলেন এবং তার কন্যা দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেই স্বাধীন বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের এক রোল মডেল, তারপরও দেশের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে এমন ষড়যন্ত্র করার পরও ষড়যন্ত্রকারীরা কিভাবে এখনও জেলের বাইরে। এটা শুধু আমি না, দেশের সাধারণ জনগণও জানতে চায়। সুতরাং অবিলম্বে তাকে আইনে সপর্দ করা হোক। পরবর্তিতে তিনি যদি বেইল পাওয়ার যোগ্য হন, তিনি বেইল পাবেন। বিচার তার নিজস্ব গতিতে চলবে। কিন্তু যদি এই তওবা সম্পাদককে অবিলম্বে জেলে না নেওয়া হয়, তাহলে এ দেশের মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তিরা জয়ী হয়ে যাবে।
আজ দার্শনিক শেখ হাসিনা শুধু একজন ব্যক্তি নন, শুধু একটি দলের প্রধান নন কিংবা শুধুমাত্র দেশের প্রধানমন্ত্রী নন, একসময় যেমন বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ বোঝাত এখন শেখ হাসিনা মানেই বাংলাদেশ। মতিউর রহমানের মত দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে যদি কঠিন হস্তে দমন না করা হয় তাহলে তারা একের পর ষড়যন্ত্র করেই যাবে। এর আগেও নানা রকম মিথ্যা এবং ষড়যন্ত্রমূলক সংবাদ প্রকাশ করে প্রথম আলো। যার জন্য আগে তওবা করতে হয়েছে প্রথম আলোর সম্পাদককে। ‘বারে বারে ঘুঘু তুমি খেয়ে যাও ধান’, কবিতার এই বাক্যের মত বার বার তওবা করে পার পেয়ে যাচ্ছে তারা। এই তওবা করাই তাদের ভাষা। এভাবেই যদি তারা বারবার ছাড় পেয়ে যায় তাহলে দেশের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যাবে।
প্রথম আলোর সম্পাদক, যিনি তওবা সম্পাদক হিসেবেই বেশি পরিচিত এবং বাংলাদেশকে যেহেতু তারা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে চ্যালেঞ্জ করেছে তাদেরকে অতি শীঘ্রই বিচারের আওতায় আনতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। এটা ১৯৭৫ সাল না, এটা ২০২৩ সাল। বিদেশীদের দিয়ে কিছু মন্তব্য করালাম আর হয়ে গেল, এত সহজ নয়। চুনোপুঁটিকে ধরে রাঘব বোয়ালকে ছেড়ে দিবেন, এটা এখন আর সম্ভব নয়। এবার রাঘব বোয়ালকেই ধরতে হবে।
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭