মনে আছে সেই দিনটির কথা? ইতিহাস গড়ে নারী সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় ট্রফি নিয়ে ছাদখোলা বাসে উদযাপন করেছিল নারী ফুটবলাররা। সেই দিন নারী ফুটবল দলের সাথে উল্লাসে মেতে উঠেছিল পুরো দেশবাসী।
সাফ জয়ী হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী ৫ লাখ টাকার অনুদান দেয়। প্রথম আলো তার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ১কোটি ২০ লাখ টাকা তুলে দেয় বাফুফে সভাপতি গাজী সালাউদ্দিনের হাতে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড চ্যাম্পিয়ন মেয়েদের জন্য ৫০ লাখ টাকা ও তমা গ্রুপের পক্ষ থেকে বাফুফের সহ-সভাপতি আতিউর রহমান মানিক ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা করে। এরপর বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদীর স্ত্রী শারমিন সালাম ৫০ লাখ টাকা দেওয়ার কথা বলেন। এছাড়াও বাফুফেকে আর্থিক অনুদান দেওয়ার কথা বলেছেন অনেকেই।
অনুদানের সেই টাকা কি পেয়েছে বাফুফে? নাকি ঘোষণার পর সংস্থাগুলোর সাথে যোগাযোগ করেনি বাফুফে এমন প্রশ্ন রয়েই যায়। এত অনুদান পেয়েও বাফুফের ফুটবল উন্নয়ন এখন প্রশ্নবিদ্ধ।
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের সাফ জেতার পর এবার তাদের লক্ষ্য অলিম্পিকে। আগামী ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে অনুষ্ঠিত হবে অলিম্পিক গেমস। সেখানে থাকবে নারীদের ফুটবল খেলাও। তবে তার আগে দলগুলোকে কয়েক ধাপে বাছাই পর্ব খেলে নিতে হবে। বাছাই পর্বের প্রথম ধাপে মিয়ানমারে ইরান, মালদ্বীপ ও স্বাগতিক মিয়ানমারের সাথে খেলার কথা ছিল। খেলার জন্য নিবন্ধনও করেছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। তবে খেলা শুরু হওয়ার আগে মত ঘুরিয়ে নিলো বাফুফে। আর্থিক সংকটের কারণ দেখিয়ে বাছাইয়ে খেলবে না বাংলাদেশ। এমনটিই জানিয়েছেন বাফুফের কর্মকর্তা আবু নাইম সোহাগ।
সোহাগ বলেন, ‘আমরা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কাছে অর্থিক বরাদ্দ চাই। আমরা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ এবং ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলে বুঝতে পারি কোনো পজিটিভ ফিডব্যাক পাচ্ছিলাম না। বাফুফে মিয়ানমারে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
সরাসরি সংবাদ মাধ্যমকে না বলে তিনি ভিডিও বার্তায় এই খবর পাঠিয়েছেন। সংবাদ মাধ্যমের ধারণা সাধারণ সম্পাদক এই ইস্যুতে নানা প্রশ্নের মুখোমুখি হবে বলেই নাকি নিজেকে এড়িয়ে গেছেন। দূর থেকে একটা ভিডিও বার্তা পাঠিয়ে আর কারো ফোনও ধরেননি। এতেই জল আরও ঘোলা হয়।
এখন সবার একটাই প্রশ্ন, মিয়ানমারে বাছাইপর্বে দল না পাঠানোর কারণ আসলেই কি আর্থিক সংকট নাকি রাফুফের আর্থিক ব্যবস্থাপনার সমস্যা?