ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরে প্রাকৃতিক দুর্যোগে লোকসানের শঙ্কায় তরমুজ ব্যবসায়ীরা


প্রকাশ: 01/04/2023


Thumbnail

প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে লোকসানের শঙ্কায় রয়েছেন লক্ষ্মীপুরের তরমুজ ব্যবসায়ীরা। প্রচন্ড গরমে প্রশান্তি পেতে আর রমযানকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে তরমুজ আমদানি করেন তরমুজ ব্যবসায়ীরা। বেচাকেনাও ছিলো বেশ ভালো। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে তরমুজে পচন ধরায় এবার লোকসান গুণতে হচ্ছে তাদের। এজন্য বৈরি আবহাওয়াকেই দুষছেন সংশ্লিষ্টরা।

জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য ও স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, লক্ষ্মীপুরে প্রায় ২৫০ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। লক্ষ্মীপুর সদরের কিছু এলাকা, কমলনগর ও রামগতি উপজেলায় তরমুজের চাষ বেশি হয়ে থাকে। এর মধ্যে শুধু সদর উপজেলা কুশাখালী ইউনিয়নের নলডগি, চর মটুয়া, পুকুরদিয়াসহ আশপাশ এলাকার প্রায় ১০০ হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ হয়েছে।

জানা যায়, এ মৌসুমে এ পেশায় জেলায় প্রায় ৩০ হাজার লোক জড়িত থাকেন। লক্ষ্মীপুরে উৎপাদিত তরমুজ এ জেলার চাহিদা মেটাতে না পারায় ভোলা, বরিশাল, কুমিল্লা, চাঁদপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে তরমুজ আমদানি করেন ব্যবসায়ীরা। জেলার সদর উপজেলার দত্তপাড়া, বশিকপুর, লাহারকান্দি, দালালবাজার, জকসিন, কমলনগর উপজেলার চরলরেঞ্জ, মতিরহাট, রামগতি উপজেলার বিবিরহাট, আলেকজান্ডার বাজারসহ জেলার বিভিন্ন শহরে ও গ্রামে রিকশা ও ভ্যানে ফেরি করে তরমুজ বিক্রি করেন এসব মৌসুমী ব্যবসায়ীরা। সারাদিন বেচাকেনা করে যা পান তা দিয়ে সংসার চলে তাদের। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে লোকসান গুণতে হচ্ছে এসব ব্যবসায়ীদের।

মৌসুমী তরমুজ ব্যবসায়ী কামরুল হোসেন জানান, পঞ্চাশ হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে তিনি এ মৌসুমে ব্যবসা শুরু করেন। চাহিদা বেশ ভালো থাকায় ভোলা থেকে তরমুজ কিনে এনেছেন তিনি। কয়েকদিনের হঠাৎ হঠাৎ বৃষ্টিতে বেচাকেনা গত এক সপ্তাহ থেকে কমে গেছে। অনেক তরমুজে পানি লেগে পচন লেগেছে। এতে লোকসানের শঙ্কায় রয়েছেন তিনি।


শহরের কয়েকজন তরমুজ ক্রেতা বললেন, আগে আকারভেদে যে তরমুজ কিনতে হতো ৫০০ টাকায় এখন তা ১০০ টাকায় কিনতে পারছেন। তবে আগের মতো সে স্বাদ নেই বললেই চলে বলে জানান কয়েকজন ক্রেতা।

পৌর শহরের বাগবাড়ি এলাকার তরমুজ ব্যবসায়ী মিন্টু জানান, রমযানের শুরুতে তরমুজ বিক্রি ভালো ছিলো। একেকটি তরমুজ আকারভেদে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হতো। এখন বৃষ্টির কারণে তরমুজে পচন ধরায় লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে তাকে। বাজারে ক্রেতারও তেমন আগ্রহ নেই সুস্বাদু এ তরমুজ কিনতে।

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের সবচেয়ে বড় ফলের আড়ত তালতলা ফল বিতানের মালিক আরিফ জানান, মৌসুমের শুরুতেই তরমুজের চাহিদা বেশ ভালো ছিলো। রমযানে ইফতারে তরমুজ লোভনীয় একটি পণ্য হিসেবে থাকলেও এমৌসুমে কয়েকদিনের বৃষ্টিতে এর চাহিদা কমে গেছে। বৃষ্টিতে পানি লেগে তরমুজে পচনও ধরতে শুরু করছে। ফলে লাভতো দূরের কথা চালান মিলাতে কষ্ট হচ্ছে বলে জানালেন এই ফল ব্যবসায়ী।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭