কালার ইনসাইড

নিপুণের প্রতিহিংসার শিকার হচ্ছেন জায়েদ খান!


প্রকাশ: 01/04/2023


Thumbnail

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি নিয়ে আলোচনা যেনো থামছেই না। নির্বাচন থেকে শুরু হয়া একটি পদ নিয়ে এখনো চলছে মামলা। আর এই মামলা চলমান অবস্থাতেই সুচরিতা ও রুবেলের সদস্যপদ বাতিল করেছে সমিতি। পাশাপাশি  এবার জায়েদ খানের সদস্যপদ স্থগিত হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। আগামী রোববার সমিতির মিটিং থেকে এ সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে শিল্পী সমিতি সূত্রে জানা গেছে। 

সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক সাইমন সাদিক আগামী রোববার বিকেল ৪টায় জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 
           
এ দিকে সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ আক্তারের স্বাক্ষর করা একটি চিঠিতে জানা যায়, জায়েদ খান বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেল ও গণমাধ্যমে সাধারণ সম্পাদক নিপুণের বিরুদ্ধে মানহানিকর বক্তব্য প্রদান করছেন। শিল্পী সমিতি মনে করে এতে সমিতির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। 

চিঠির বিষয়ে জানতে চাইলে জায়েদ খান বলেন, কারণ দর্শানোর চিঠিতে বলা হয়েছে, ৭ এর ক ধারা মোতাবেক আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ধারাটি এমন যে সংগঠনের উদ্দেশ্য পরিপন্থী ও বিরোধী কার্যক্রম করলে সদস্যপদ স্থগিত করা হবে। কিন্তু এটা পুরোপুরি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদটি নিয়ে মামলা এখনো বিচারাধীন। হাইকোর্ট আমাকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে রায় দিয়েছে। এর বিরুদ্ধে নিপুণ আপিল করেছে, যে আপিলটি গ্রহণ করে শুনানির জন্য রাখা হয়েছে। সেই বিচারাধীন পদ নিয়ে নিজেকে কীভাবে সাধারণ সম্পাদক দাবি করে তিনি আমাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন।

তিনি আরও বলেন,  নির্বাচনের বিষয়টি এখনও কোর্টে চলমান। এখনও সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে চূড়ান্ত রায় হয়নি। সেখানে নিপুণ আক্তার কীভাবে চিঠি পাঠায়? আমি ভারতে ছিলাম, তখন আমাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে যাতে আমি উত্তর না দিতে পারি। তারা শুরু থেকেই আমার সঙ্গে অন্যায় করে আসছে।

বিষয়গুলো পরিকল্পনা করে করা হচ্ছে উল্লেখ করে জায়েদ খান  বলেন, একের পর এক ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে তারা। তার আরেকটি উদাহারণ হলো- কমিটির সহ-সভাপতি ডিপজল ভাই চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর আছেন। এমন সময় তারা সমিতির জরুরি সভা ডেকেছে।

জায়েদ খান দাবি করেন, জোর করে সাধারণ সম্পদকের দায়িত্ব নেওয়া নিপুণের গঠনমূলক সমালোচনা করেছি বলেই তিনি আমার সমদ্যপদ বাতিলের পায়তারা করছেন।’

এদিকে, ২০২১-২০২৩ মেয়াদে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সুচরিতা কার্যনিবাহী সদস্য আর রুবেল সহ-সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরে কার্যনিবাহী কমিটির পরপর ৩ মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করেননি এমনকি সমিতির উন্নয়নমূলক কোনো কাজে দেখা যায়নি বলে তাদের সদস্যপদ স্থগিত করে শিল্পী সমিতি।

এ বিষয়ে জায়েদ খান বলেন, রুবেল সাহেব ও সুচরিতা ম্যাডামের সঙ্গেও অন্যায় হয়েছে। আদালত যখন সাধারণ সম্পাদক পদে স্থিতাবস্থার রায় দিয়েছে, তখন তারা কেউই সমিতির মিটিংয়ে যায়নি। তখন তাদের কারণ দর্শানোর চিঠি দেওয়া হয়। কিন্তু ইলিয়াস কাঞ্চন সাহেব তো সমিতির সভাপতি হিসেবে তাদের চিঠি দিতে পারেন না। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী চিঠি দিতে পারেন সাধারণ সম্পাদক অথবা সহ-সাধারণ সম্পাদক। কিন্তু তা হয়নি, এ বিষয়ে সুচরিতা ম্যাডাম ও রুবেল সাহেব ব্যাখ্যা চাইলেও জবাব মেলেনি। উল্টো তাদের সদস্যপদ স্থগিত করে দেওয়া হয়।

যদিও জায়েদ খানের এসব অভিযোগ নিয়ে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন ও সাধারণ সম্পাদক নিপুণ আক্তারের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। 

এদিকে সমিতির এমন কার্যক্রমে অনেকেই মনে করছেন নিপুণ প্রতিহিংসার শিকার হয়েই এমন কাজগুলো করছে। তারা বলছেন একবছর পার হলেও বর্তমান কমিটির দেয়া ইশতেহারের বেশী ভাবি পূরণ হয়নি। আর এরমাঝেই তারা এইসব কর্মকান্ড নিয়ে ব্যস্ত যা কিনা চলচ্চিত্রের জ্ন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাড়াচ্ছে। 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭