ইনসাইড বাংলাদেশ

প্রথম আলোর অপকর্মের ফিরিস্তি


প্রকাশ: 01/04/2023


Thumbnail

২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে স্বাধীনতাকে কটাক্ষ করে একটি অসত্য প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে প্রথম আলো। এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর 'টক অব দ্য কান্ট্রি' এখন প্রথম আলো। প্রথম আলোর ওই প্রতিবেদনকে অনেকে উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে অ্যাখ্যায়িত করছেন। যদিও প্রথম আলো সেটি অস্বীকার করছে এবং একটি সংশোধনী দিয়েছে। কিন্তু এ ধরনের অপকর্ম প্রথম আলোর নতুন কিছু নয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই পত্রিকাটি বিভিন্ন সময় মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে এ ধরনের খবর প্রকাশ করে আসছে।

১৯৯৮ সালের ৪ নভেম্বর প্রথম প্রকাশিত হয় প্রথম আলো। প্রকাশিত হওয়ার পর একের পর এক ভুল এবং অসত্য খবর প্রকাশ করে আলোচনায় আসে প্রথম আলো। সেই ধারাবাহিকতায় এবার একটি শিশুর উদ্ধৃতি দিয়ে দিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে প্রথম আলো। প্রকাশিত ওই প্রতিবেদন স্বাধীনতার চেতনায় আঘাত করা সামিল বলে অনেকে অভিযোগ তুলেছে। এর আগে পত্রিকাটির বিরুদ্ধে অনুভতিতে আঘাত হানার অভিযোগ উঠেছিল। এর মধ্যে আছে;

মালিবাগে আওয়ামী লীগের মিছিলে অস্ত্রধারী: ১৯৯৯ সালে দৈনিক প্রথম আলো প্রতিবেদন প্রকাশ করে যে মালিবাগে আওয়ামী লীগের মিছিলে এক অস্ত্রধারী অংশ নিয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে প্রমাণিত হয় যে আওয়ামী লীগের ওই মিছিলে কেউ অস্ত্রধারী ছিল না। একজন ফটোগ্রাফারের কারসাজিতে ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল প্রথম আলো।

আওয়ামী লীগের পোস্টার বিকৃতি: ২০০১ সালে নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের একটি পোস্টার বিকৃতি করে প্রথম আলো। 

বিরাজনীতিকরণ প্রক্রিয়া: ২০০৭ সালে এক-এগোরা সরকার ক্ষমতায় আসার আগে প্রথম আলো বিরাজনীতিকরণ শুরু করেছিল। পত্রিকাটি ধারাবাহিক ভাবে রাজনীতিবিদের চরিত্র হনন, মিথ্যা, কুৎসিত এবং বানোয়াট খবর প্রকাশ করতে থাকে। এরপর এক-এগোরা সরকার ক্ষমতায় আসলে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান ১১ জুন, ২০০৭ সালে নিজের নামে সম্পাদকীয় লিখেছিলেন দুই নেত্রীকে সরে দাঁড়াতে হবে। এ সময় আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে একাধিক চাঁদাবাজি এবং অন্যান্য মামলা করা হয়েছিল। আর এই মামলা হওয়ার পেছনে প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টার পত্রিকার ভূমিকা ছিল অনেক বেশি। কারণ পত্রিকা দুটি একের পর এক মিথ্যা প্রতিবেদন প্রকাশ করতে থাকে এবং প্রতিটি প্রতিবেদনই ছিল অসত্য।

কার্টুন বিতর্ক: ২০০৭ সালে হজরত মুহাম্মদ সা: কে কটাক্ষ করে কার্টুন প্রকাশ করেছিল প্রথম আলো। কিন্তু এ কার্টুন প্রকাশের দায় প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান না নিয়ে একজন কার্টুনিস্ট এবং একজন প্রতিবেদকের ওপর দেয়া হয়। পরে ওই কার্টুনিস্টকে কারাবরণ করতে হয়। মতিউর রহমান বেঁচে যান।

পদ্মা সেতু নিয়ে বিভ্রান্তকর প্রতিবেদন: ২০১১ সালে প্রথম আলো প্রতিবেদন প্রকাশ করে যে বাংলাদেশে পদ্মা সেতু হচ্ছে না। কিন্তু পদ্মা সেতু এখন বাস্তব। এটি আর কোনো স্বপ্ন নয়। দক্ষিণাঞ্চল মানুষের ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে দিতে শুরু করছে এই পদ্মা সেতু। এছাড়া প্রথম আলো একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল যে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হয়ে যাবে। কিন্তু বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হয়নি বরং অর্থনীতিতে বাংলাদেশ অনেকাংশে এগিয়ে গেছে।

ব্যাংকিং খাতে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা: গত ২৪ নভেম্বর ইসলামী ব্যাংকে ‘ভয়ংকর নভেম্বর’ শিরোনামে একটি প্রতিবদন প্রকাশ করে প্রথম আলো। এরপর ধারাবাহিক ভাবে আরও একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল পত্রিকাটি। ব্যাংকিং খাতে এক ধরনের অস্থিরতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যেই প্রথম আলো এ সমস্ত প্রতিবেদন করা হয়েছিল। প্রতিটি প্রতিবেদনে প্রথম আলো প্রমাণ করার চেষ্টা করেছিল দেশের ব্যাংকিং খাত ভালো না। ইসলামী ব্যাংক ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ইসলামী ব্যাংক ধ্বংস হয়নি।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭