এডিটর’স মাইন্ড

আমলাদের লাগাম টেনে ধরার এখনই সময়


প্রকাশ: 02/04/2023


Thumbnail

গত বুধবার (২৯ মার্চ) বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ একটি গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছেন। বিচারপতি ফারাহ মাহাবুব এবং বিচারপতি আহমেদ সোহেলের যৌথ বেঞ্চ উপজেলায় ছোট আমলাদের রাজত্বের অবসান ঘটিয়েছেন। হাইকোর্টের রায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) উপজেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ঘোষণা সংক্রান্ত আইনের বিধান অবৈধ এবং সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হয়েছে। এই রায়ের মাধ্যমে শীর্ষপর্যায় থেকে তৃণমূল পর্যন্ত আমলাতন্ত্রের সর্বগ্রাসী কর্তৃত্বে একটি জবাবদিহির তাগিদ দেওয়া হলো। এই রায় সবার জন্যই একটি শিক্ষা। এই রায় আমলাদের লাগাম টেনে ধরার একটি সুযোগ সৃষ্টি করেছে। গত ৪ বছরে ‘আমলাতন্ত্র’ গণতন্ত্র এবং সুশাসনের জন্য এক বড় হুমকি হিসেবেই সামনে এসেছে। আমলাদের একটি বড় অংশ এখন কাউকেই মানে না। কোনো কিছুর তোয়াক্কা করে না। সচিব থেকে মাঠ প্রশাসন—সর্বত্র এখন তাদের রাজত্ব। জনপ্রতিনিধিদের কোণঠাসা করে সব জায়গায় প্রশাসনের কর্তারাই এখন ছড়ি ঘুরাচ্ছেন। তারা সরকারপ্রধানের অভিপ্রায়ে এবং আকাঙ্ক্ষাকেও উপেক্ষা করছে। একটি উদাহরণ দেওয়া যাক। দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী কিছুদিন ধরেই কৃচ্ছ্রতা নীতি অনুসরণ করছেন। সরকারি কাজে ব্যয় হ্রাস, বাহুল্য পরিত্যাগের আহ্বান জানাচ্ছেন সরকারপ্রধান। এরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী এবার গণভবনে সব ধরনের ইফতার অনুষ্ঠান বাতিল করেন। শুধু তাই নয়, তিনি আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদেরও ইফতার পার্টি না করার নির্দেশনা দেন। তার এই নির্দেশনা পালন করছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। শেখ হাসিনা শুধু আওয়ামী লীগের সভাপতি নন, তিনি প্রধানমন্ত্রীও বটে। তাই এরকম কোনো নির্দেশনা যখন তিনি দেন (যাকেই দিন না কেন) তা প্রতিপালন করা সরকারি কর্মকর্তাদের দায়িত্ব। প্রধানমন্ত্রীর এ আহ্বানে পুলিশ প্রশাসন, কৃষিবিদসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ সাড়া দিয়েছে। তারা তাদের নির্ধারিত ইফতার পার্টি বাতিল করে, সেই টাকা দিয়ে গরিব মানুষকে সহায়তা করছে। ব্যতিক্রম শুধু একটি গোষ্ঠী। আমলারা। আমলা বা প্রশাসন ক্যাডারের নিজস্ব একটি সংগঠন আছে। সংগঠনটির নাম ‘বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন’। প্রধানমন্ত্রীর আকাঙ্ক্ষা সবাইকে ধারণ করলেও আমলাদের সংগঠন মহাসমারোহে অফিসার্স ক্লাবে তাদের ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে। ২৭ মার্চ ‘মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৩ উপলক্ষে আলোচনা সভা, দোয়া ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে আমলাদের সংগঠন। অবশ্য আমলারা প্রতিটি কাজেই অদ্ভুত ফাঁক রাখে। নিজেদের পক্ষে কিছু যুক্তিও রাখে। যেমন এই ইফতার পার্টি নিয়ে তারা অকপটে বলবে, আমরা তো মহান স্বাধীনতা দিবস নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলাম। রোজার মধ্যে এই আলোচনা, তাই ইফতারের ব্যবস্থা। একরম অজুহাত দাঁড় করিয়ে তাদের কাজকে বৈধতা দেওয়ার ক্ষমতা আমলাদের বিরল প্রতিভার প্রমাণ। এই প্রতিভার কারণেই তারা এখন বাড়বাড়ন্ত। ইতিহাস বলে আমলারা সব সরকারের আমলে, সব সময়ই ক্ষমতাবান ছিলেন; কিন্তু ২০১৮ সালের পর থেকে আমলাদের কর্তৃত্ব, ক্ষমতার দাপট দৃষ্টিকটু পর্যায়ে চলে গেছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ এবং বিতর্কিত করেন কতিপয় আমলা। প্রথমে মনে করা হয়েছিল, আওয়ামী ভক্ত এই আমলারা গভীর প্রেম থেকেই ২০১৮-এর নির্বাচনে অতি মনোযোগী হয়েছিলেন; কিন্তু এখন যখন নির্বাচন নিয়ে এক ধরনের শঙ্কা এবং অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে, তখন মনে হতেই পারে ২০১৮ সালের নির্বাচনকে বিতর্কিত করা ছিল আমলাদের সুগভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। ওই নির্বাচনে বিএনপি এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দল কোনো শর্ত ছাড়াই অংশগ্রহণে রাজি হয়। ভারত বা যুক্তরাজ্যের মতো গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির চর্চা, দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের ধারা সৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়। নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। এই সংলাপের পর শুরু হয় ভোটের লড়াই। ২০১৮-এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয় ছিল নানা কারণে অনিবার্য। এই নির্বাচনে বিএনপি ছিল নেতৃত্বহীন, এলোমেলো তাদের প্রধান দুই নেতাই নির্বাচনে অংশগ্রহণের অযোগ্য ছিলেন। অসংগঠিত এবং এলোমেলো বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল অস্তিত্ব রক্ষার জন্য। ওই নির্বাচনে বিএনপি সম্মানজনক কিছু আসন নিয়ে বিরোধী দলে বসতে চেয়েছিল। পৃথিবীর সবচেয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন হলেও ২০১৮-এর নির্বাচনের ফলাফল ২০০৮ সালের মতো হতো; কিন্তু আমলারা সব ভন্ডুল করে দিল। ২০১৮ সালের নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার সব দায় অতি উৎসাহী চাটুকার কিছু সরকারি কর্মকর্তার। সুষ্ঠু নির্বাচন বানচাল করে আমলাতন্ত্র এক ঢিলে অনেক পাখি শিকার করে। এই নির্বাচনের পর তারা ক্ষমতাসীন দলের ঘাড়ে আরও শক্ত করে চেপে বসে। তারাই আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় এনেছে, এটা বুঝিয়ে ক্ষমতার কেন্দ্র দখল করে নেয়। ২০১৮-এর নির্বাচনের পর আস্তে আস্তে আমলারা রাজনীতিবিদদের কোণঠাসা করা শুরু করেন। একসময় জনপ্রতিনিধি এবং সংসদ সদস্যরা হয়ে ওঠেন অলংকার, ক্ষমতাহীন। সব ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হয় আমলাদের হাতে। উপজেলা, জেলা এবং সচিবালয়ের কর্তৃত্ব নেন আমলারা। ২০২০ সালে করোনা শুরু হলে জেলার দায়িত্ব দেওয়া হয় সচিবদের। ফলে জেলায় অপাঙক্তেয় হয়ে পড়েন এমপিরা। একই ধারাবাহিকতায় উপজেলায় কোণঠাসা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা আরও ক্ষমতাশূন্য হন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা হয়ে ওঠেন উপজেলার রাজা। তাদের ক্ষমতার দাপটে কোথাও কোথাও জনগণ অস্থির হয়ে ওঠে। এক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা যে ভাষায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন, তা শুনে যে কোনো সাধারণ নাগরিকের আঁতকে ওঠার কথা। একজন সরকারি কর্মকর্তা কীভাবে এত নোংরা, অশ্লীল এবং কুৎসিত ভাষায় কথা বলতে পারেন—তা ভেবে হতবাক দেশবাসী। শুধু এই ইউএনও নয়, দেশের বিভিন্ন স্থানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের অসদাচারণ, ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি এবং অনভিপ্রেত কাণ্ড ঘটনোটা এখন স্বাভাবিক ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। এদের কোনো জবাবদিহি নেই। এরকম একজন পুঁচকে আমলা অপকর্ম করলে তার সর্বোচ্চ শাস্তি হলো বদলি অথবা সাময়িক ওএসডি। মাঠপর্যায়ে সবচেয়ে নিচের ধাপের সরকারি কর্মকর্তারা এত বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন যে, একজন সংসদ সদস্য তাদের ‘উপজেলার সবচেয়ে বড় মাস্তান’ হিসেবেও অভিহিত করতে দ্বিধাবোধ করেননি। এই যদি হয় ইউএনওদের অবস্থা তাহলে জেলায় প্রশাসনের কর্মকর্তাদের অবস্থা কী—তা সহজে অনুমেয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা টেলিফোনে সাংবাদিকদের অশ্লীল ভাষায় গালি দেন; কিন্তু জেলার কর্তার মুখ না হাত চলে। এক ডিসি সাংবাদিককে রাতের বেলা পিটিয়ে দিলেন। এই পেটানো নিয়ে হৈচৈ হলো কিছুদিন। ডিসিকে প্রত্যাহার করা হলো। ‘এই দুষ্টু এমন করে না’ গোছের তিরস্কারসূচক শাস্তিও দেওয়া হলো বটে; কিন্তু ওমা, একদিন জানলাম মহামান্য রাষ্ট্রপতি ওই শাস্তিও মাফ করে দিয়েছেন। ডিসিরা জেলায় বেপরোয়া। তাদের কেউ কেউ জনগণকে স্রেফ প্রজা এবং ক্রীতদাস মনে করে। যার বড় প্রমাণ পাওয়া গেল রংপুরে। জেলা প্রশাসকদের হাতে জেলার জনগণ শুধু নয়, স্থানীয় সংসদ সদস্যরাও জিম্মি। সেদিন একজন এমপির সঙ্গে কথা হচ্ছিল।

তিনি জানালেন, ডিসি এখন কোনো ব্যাপারেই তার পরামর্শ নেয় না। সব জায়গায় হয়তো একরম পরিস্থিতি না। তবে জেলায় জেলায় প্রশাসনের খবরদারি যে বাড়ছে না, অস্বীকার করার কোনো কারণ নেই। মাঠ প্রশাসনে যখন এই অবস্থা তখন ঢাকার সচিবালয়ে কী অবস্থা, তা সহজেই অনুমেয়। কান পাতলেই শোনা যায় অনেক মন্ত্রণালয়ে সচিবরাই সবকিছু করেন। মন্ত্রীরা টেলিভিশনে সিদ্ধান্ত দেখেন। কদিন আগেও পাঁচ ক্ষমতাবান আমলা দেশ চালাচ্ছেন বলে কানাঘুষা শোনা যেত। প্রশাসনের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদে থাকা ব্যক্তির অসীম ক্ষমতার কথা শুনতাম। এখন সে পরিস্থিতি পাল্টেছে বটে; কিন্তু ক্ষমতা আমলাদের কাছেই রয়ে গেছে। এই প্রচণ্ড ক্ষমতাবান আমলারা এখন আবার জবাবদিহিহীন। বিচারের ঊর্ধ্বে। এমনকি তাদের দুর্নীতিরও বিচার করা যাবে না। রংপুরের ডিসি যেমন স্যার ডাক না শুনে ক্ষুব্ধ হয়ে শিশুতোষ বালখিল্যতা করলেন। ঠিক একই সময়ে বগুড়ার একজন বিচারক একইভাবে ক্ষমতার দাপট দেখান। ওই বিচারকের বিচারিক ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে; কিন্তু রংপুরের ডিসির কিছুই হয়নি। শুধু রংপুরের ডিসি কেন, ফৌজদারি অপরাধ করার পরও কুড়িগ্রামের ডিসির কিছু হয়নি। নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পরও জামালপুরের ডিসির কিছু হয়নি। এই তালিকা অনেক দীর্ঘ। এখন ধরেই নেওয়া হয়েছে আমলারা বিচারের ঊর্ধ্বে। তারা স্পর্শের বাইরে। এদের ক্ষমতার দাপট কোন পর্যায়ে পৌঁছেছে, তা বোঝা যাবে নওগাঁয় র‌্যাব হেফাজতে সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুর ঘটনা গভীরভাবে বিশ্লেষণ করলে। এ ঘটনায় র‌্যাবকে নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে। র‌্যাবের ১১ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে; কিন্তু এ ঘটনার নাটেরগুরু একজন মধ্যস্তরের আমলা। তিনি ধরাছোঁয়ার বাইরে। একজন প্রতারণার মামলায় অভিযুক্ত যুগ্ম সচিব এই ঘটনার আসল হোতা। তিনিই জেসমিনের বিরুদ্ধে র‌্যাবকে উসকে দিয়েছিলেন। যুগ্ম সচিবের ‘ক্ষমতা’ দেখিয়েছিলেন। কারণ, দেশের রাজা তো আমলারাই। আমি নিশ্চিত এ ঘটনার তদন্ত হবে; কিন্তু ওই যুগ্ম সচিবের কিছুই হবে না। কারণ, ‘দায়মুক্তি’র নিরাপদ বেষ্টনীতে ঢাকা আমলাতন্ত্র। আমলাদের দুর্নীতির বিচারের পথও রুদ্ধ করা হয়েছে।

২০১৮ সালের নির্বাচনের পর ক্ষমতাবান হয়ে ওঠা আমলারা, তাদের জন্য আইন পরিবর্তন করেন। আগে দুর্নীতির অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হলে দুর্নীতি দমন কমিশন যে কোনো ব্যক্তিকে আটক করতে পারত। এখন আমলাদের গ্রেপ্তারের আগে সরকারের অনুমতি লাগে। হাইকোর্টে এই আইনকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল। আদালত এই আইনকে অবৈধ ঘোষণা করেন; কিন্তু এখন এর বিরুদ্ধে আপিল করা হয়েছে। এই রায়ও স্থগিত আছে। ফলে তাদের দুর্নীতির বিচারের পথও এখন বন্ধ। সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বার্ষিক সম্পদের হিসাব দেওয়ার বিধান রয়েছে। সম্প্রতি সরকার নতুন করে এই বিধানের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। সরকারি কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব দিতে বলে; কিন্তু আমলারা সরকারি এ নির্দেশনাও মানেন না। সরকার এখন পর্যন্ত সব আমলার কাছে তাদের সম্পদের হিসাবটুকু পর্যন্ত আদায় করতে পারেনি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী দুই বছর আগে বলেছিলেন, কানাডার বেগমপাড়ায় যারা বাড়ি বানিয়েছেন, তাদের বেশিরভাগই আমলা; কিন্তু অর্থ পাচারের অভিযোগে ওই আমলাদের বিচার তো দূরের কথা, তাদের তালিকাটা পর্যন্ত প্রকাশ হয়নি। যেসব সরকারি কর্মকর্তারা একরম বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন, তারা কি আওয়ামী লীগের পক্ষে? মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে? একটু খোঁজ নিলেই দেখা যায়, এখন প্রচণ্ড ক্ষমতাবান এবং প্রভাশালী আমলারা খোলস পাল্টানো, ‘হঠাৎ আওয়ামী লীগ’। সুযোগ সন্ধানী, সুবিধাবাদী। স্বার্থ হাসিলের জন্য তারা তাদের অবস্থান পরিবর্তনে এতটুকু সময় নেবে না।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে নানা ষড়যন্ত্রের কথা শুনি। আমলারা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোন ভূমিকায় অবতীর্ণ হবেন? প্রতিটি নির্বাচনে তাদের নিজস্ব এজেন্ডা থাকে। এবার তাদের এজেন্ডা কী? এটি জানা যেমন জরুরি, তেমরি জরুরি তাদের লাগাম টেনে ধরা। এ ক্ষেত্রে হাইকোর্টে উপজেলা পরিষদ সংক্রান্ত রায় একটি মাইলফলক। গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে গেলে জনপ্রতিনিধিদের ক্ষমতায়ন করতে হবে। না হলে ২০১৮ সালের মতো আমলারা নির্বাচনে তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করবে। আবার গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠাবে। অতীতে আমলারা এমনটিই করেছেন।

লেখক: নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত

poriprekkhit@yahoo.com


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭