ইনসাইড গ্রাউন্ড

শেষের নাটকীয়তার পর সুপার ওভারে জয় লঙ্কানদের


প্রকাশ: 02/04/2023


Thumbnail

পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে নিউ জিল্যান্ড সফর করছে শ্রীলঙ্কা। টেস্ট ও ওয়ানডে- দুটি সিরিজেই কিউইদের কাছে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা পেয়েছে লঙ্কানরা। তবে সেই দলটিই টি-টোয়েন্টি সিরিজের যাত্রা শুরু করলো জয় দিয়ে। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে মুখোমুখি হয়েছিলো দুই দল। ম্যাচটিতে শেষের নাটকীয়তার পর সুপার ওভারে জয় পেয়েছে শ্রীলঙ্কা। তাতে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেলো সফরকারিরা।

আইপিএলের কারণে মূল দলের বেশ কয়েক জনকে ছাড়াই টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে হচ্ছে নিউ জিল্যান্ডকে। অভিষেক হয়েছে ব্যাটসম্যান চ্যাড বাওয়েস ও পেসার হেনরি শিপলির। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই পাথুম নিসাঙ্কার উইকেট হারায় লঙ্কানরা। তবে কুশল মেন্ডিস ও কুশল পেরেরার পাল্টা আক্রমণে দ্রুত গতিতে রান তুলতে থাকে সফরকারিরা। কিন্তু ম্যাচের চতুর্থ ওভারে মেন্ডিসকে ফিরিয়ে লাগাম টানার চেষ্টা করেন হেনরি শিপলি। 

পাওয়ার প্লের শেষ এভারে বোলিংয়ে এসেই ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাকে ফেরান জিমি নিশাম। চতুর্থ উইকেটে জুটি গড়ে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন কুসাল পেরেরা ও চারিথ আশালঙ্কা। তাদের ৬৮ বলে ১০৩ রানের জুটিতে বড় সংগ্রহের দিকে এগোতে থাকে শ্রীলঙ্কা। দলীয় ১৬৮ রানে আশালঙ্কা আউট হলে ভাঙে তাদের জুটি। ৪১ বলে ২ চার ও ৬ ছক্কায় ৬৭ রানের ইনিংস খেলেন আশালঙ্কা। ক্রিজে এসেই বিদায় নেন অধিনায়ক দাসুন শানাকা। তবে শেষদিকে পেরেরা ও হাসারাঙ্গার ব্যাটে ভর করে ৫ উইকেটে ১৯৬ রান তোলে শ্রীলঙ্কা। ৪৫ বলে ৫৩ করে অপরাজিত থাকেন পেরেরা।

ছোট মাঠ আর ব্যাটিং উইকেটে এই রান খুব নিরাপদ নয়। তবে প্রথম দুই ওভারে দুই ওপেনারের উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় নিউ জিল্যান্ড। তবে তৃতীয় উইকেটে ৬৩ রানের জুটি গড়ে দলের বিপর্যয় সামাল দেন দেড় বছর পর টি-টোয়েন্টি খেলতে নামা ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক টম ল্যাথাম। অষ্টম ওভারে প্রমোদ মাদুসনের শিকার হয়ে ২৭ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। তবে দলকে কক্ষপথে রাখেন ড্যারিল মিচেল। লাথামের পর মার্ক চ্যাপম্যানকে নিয়ে গড়েন ৬৬ রানের জুটি।

তবে এরপর আবার ধাক্কা খায় কিউইরা। পরপর দুই ওভারে দুই সেট ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে চ্যাপম্যান ও মিচেলকে হারায় স্বাগতিকরা। চ্যাপম্যান ফেরেন ৩৩ রানে আর ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৬৬ রান আসে মিচেলের ব্যাট থেকে। জিমি নিশানও ইনিংস লম্বা করতে পারেন নি। পরে রাচিন রবীন্দ্রর কল্যাণে লড়াই চালাতে থাকে কিউইরা। শেষ বলে জয়ের জন্য তাদের দরকার ছিলো ৬ রানের। দাসুন শানাকার শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ টাই করেন ইশ সোধি।

সুপার ওভারে মহেশ থিকসানার দারুণ বোলিংয়ে ৮ রান তোলে নিউ জিল্যান্ড। পরে অ্যাডাম মিলনের করা ওভার থেকে একটি করে চার ও ছয়ে লঙ্কানদের জয় নিশ্চিত করেন আশালঙ্কা। ব্যাট হাতে দুর্দান্ত পারফর্ম্যান্সের কারণে ম্যাচ সেরার পুরষ্কারও উঠেছে তার হাতে। বুধবার ডানেডিনে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের পরের ম্যাচ।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭