লিভিং ইনসাইড

কীভাবে বুঝবো টাইপ ২ ডায়াবেটিস হয়েছে?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 24/02/2018


Thumbnail

রক্তে চিনির পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে যাওয়াই হলো ডায়াবেটিস বা হাইপারগ্লাইসোমিয়া। আর সাধারণ ডায়াবেটিসকে বলা হয় টাইপ ২ ডায়াবেটিস। এই ডায়াবেটিসে শরীরে ইনসুলিন স্বাভাবিকভাবে কাজ করে না। প্রথমে শরীরের যকৃত বেশি পরিমাণে ইনসুলিন তৈরি করে এর প্রতিরোধ করে। তবে একসময় তা আর পেরে ওঠে না। টাইপ ২ ডায়াবেটিস হলে শরীরে কিছু লক্ষণ দেখা যায়। এই লক্ষণগুলোর কথা জানা থাকলে চিকিৎসা নিতে সহজ হয়। আজ তাই জানাবো টাইপ ২ ডায়াবেটিসের কিছু লক্ষণ:

ঘন ঘন বাথরুম চাপা
অনেক টাইপ ২ ডায়াবেটিসের রোগীদেরই ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ অনুভব করতে দেখা যায়। আর এ কারণে অনেকেরই ব্যক্তিগত জীবনে বেশ সমস্যা হয়। এর মূল কারণ রক্তে অতিরিক্ত শর্করা জমা হওয়া। এ শর্করা দূর করার জন্য কিডনিকে বাড়তি কাজ করতে হয়। আর এজন্য বাড়তি প্রস্রাবের বেগ আসে। তবে এক্ষেত্রে পানি কম পান করলে সমস্যা আরও বাড়বে। তাই পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে।

সাধারণ সময়ের তুলনায় বেশি তৃষ্ণাবোধ
টাইপ ২ ডায়াবেটিসের একটি লক্ষণ হলো তৃষ্ণাবোধ হওয়া। আপনি প্রচুর পরিমাণে পানি পান করলেও কিছুক্ষণ পর পর আপনার তৃষ্ণাবোধ হবে। এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, এ তৃষ্ণাবোধটি আপনার প্রকৃত তৃষ্ণা নয়। মস্তিষ্ক থেকে তৃষ্ণার এ অনুভূতিটি তৈরি হচ্ছে। আর এর পেছনে গ্লুকোজের ভারসাম্যহীনতা দায়ী।

ওজন কমে যাওয়া
বহু মানুষেরই টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার কারণে দেহের ওজন মারাত্মক কমে যায়। আর এ ওজন কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে ইনসুলিনের ভারসাম্যহীনতা অনেকাংশে দায়ী। মূলত দুই কারণে ওজন কমে। প্রথমত, প্রস্রাবের সাথে শরীরের পানি আর অন্যান্য উপাদান বেরিয়ে যাওয়া। দ্বিতীয়ত, প্রস্রাবের কিলোজুল কমে যাওয়া এবং রক্ত থেকে নতুন কিলোজুল শোষণক্ষমতা কমে যাওয়া।

শরীর কাঁপবে এবং ক্ষুধা বেড়ে যাবে
টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ফলে শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা ঠিক থাকে না। এই অবস্থায় উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কার্বোহাইড্রেট খাবার খেলে ইনসুলিনের মাত্রা বেড়ে যায়। এবং গ্লুকোজ শরীর থেকে কমতে শুরু করে।

দুর্বলতা ও বিভ্রান্তি
অনেকেই টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার কারণে দুর্বলতায় ভোগেন। এটি শরীরকে মারাত্মক দুর্বল করে দেয়। এ কারণে অনেকের মস্তিষ্কে বিভ্রান্তিও তৈরি হয়। এতে চিন্তাভাবনায় অচলাবস্থা তৈরি হয়।

চোখ জ্বলা ও ঝাপসা হয়ে যাওয়া
আপনার রক্তের শর্করার মাত্রা যখন বেশি থাকবে তখন চোখ জ্বালাপোড়া করতে পারে। আর এতে কোনো একটি স্থানে দৃষ্টি নিবদ্ধ করতেও সমস্যা হতে পারে। এ সমস্যা বাড়তে থাকলে অনেকের চোখের স্থায়ী ক্ষতিও হতে পারে। দৃষ্টিশক্তিতে পরিবর্তন ও ঝাপসা দেখা।


সূত্র: রিডার্স ডাইজেস্ট

বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/জেডএ



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭