ইনসাইড থট

আগুনের লেলিহান শিখায় মানুষের স্বপ্ন ছাই


প্রকাশ: 04/04/2023


Thumbnail

৪ এপ্রিল ২০২৩ স্মরণকালের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে রাজধানীর বঙ্গবাজারসহ গুলিস্তানের বেশ কয়েকটি মার্কেট ভস্মিভূত হলো। সকাল ৬টা ১০ মিনিটের দিকে বঙ্গবাজারের দোতলা থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। ঘটনাস্থলে আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিস, সেনা, নৌ, বিমান বাহিনী, র‌্যাব-বিজিবিসহ স্থানীয় লোকজনের প্রাণান্ত প্রচেষ্টা সফল হয়েছে।আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে অনেক স্থাপনা, নিঃশেষ হয়েছে মানুষের স্বপ্ন।ঈদ মৌসুমে সবকিছু হারিয়ে নিঃস্ব হাজার হাজার ব্যবসায়ী এখন নিয়তির কাছে নিজেকে সঁপে হাহাকার করছে।কিন্তু রাজধানীর বুকে প্রায়শ ঘটে যাওয়া এ ধরনের দুর্যোগ মোকাবেলায় আগাম সতর্কতার কথা বারবার বলা হলেও মানুষের অবহেলায় আগুনের ভয়াবহতা ঠেকানো যাচ্ছে না। এক্ষেত্রে সিটি করপোরেশন তাদের দায় এড়াতে পারে না। কারণ কেবল ট্যাক্স সংগ্রহ নয় শহরের সামগ্রিক নিরাপত্তা বিধান করা তাদের মূল দায়িত্ব।

বঙ্গবাজারের ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা মনে করিয়ে দিচ্ছে ২০২১ সালের এপ্রিলে পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় আবাসিক ভবনের রাসায়নিক গুদামে আগুন লেগে মৃত মানুষ আর ধ্বংস হওয়া সম্পদের কথা।সেসময় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছিল দশজনে, আহত হয়েছিল অন্তত ৫০ জন। সম্পত্তি বিনষ্টের হিসাব ছিল বিপুল। কিন্তু আমাদের প্রশ্ন হলো- ‘আবাসিক ভবনের রাসায়নিক গুদামে আগুন’ লাগার ওই ঘটনা নতুন নয় অথচ রাসায়নিক গুদাম সরিয়ে ফেলার ব্যবস্থাগুলো এত ধীর ছিল কেন? ২০১০ সাল থেকে একাধিক ঘটনা ঘটেছে, যা আমাদের জাতীয় জীবনে দুর্যোগ হিসেবে গণ্য হয়েছে, আশ্চর্য হলো সরকারের আন্তরিকতা থাকলেও জনগণের সচেতনতার অভাব ভয়ঙ্কর। আগের ঘটনাগুলো এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে।

২০১০ সালের ৩ জুন নিমতলী ট্র্যাজেডির ঘটনা ছিল আতঙ্ক জাগানিয়া। এই অগ্নিট্র্যাজেডি ছিল আকস্মিক, কোনো ষড়যন্ত্রের ফল নয়; মানুষ সেখানে যেন নিয়তি তাড়িত; অগ্নিদহনে তার সংকট ও যাতনার শেষ ছিল না। আমরা জানি প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী ভারতে বেদের তিনটি প্রধান দেবতাদের মধ্যে একটি হলো ‘অগ্নি’। তার উপস্থিতি পৃথিবীতে আগুনের মতো, বায়ুমণ্ডলে বজ্রের এবং আকাশে সূর্যের মতো। গ্রিক দেবতা প্রমিথিউস স্বর্গ থেকে আগুন চুরি করে এনে মরণশীল মানুষের হাতে তুলে দিয়েছিল। আগুন চুরি করায় দেবরাজ জিউস তাকে শাস্তি দিয়েছিল। পৃথিবীর আদিম মানুষ যেমন আগুন ছাড়া ছিল অসহায় তেমনি বর্তমানে আগুন ছাড়া বেঁচে থাকা কঠিন। কিন্তু মানুষ তার নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যর্থ হলে আগুন হয়ে ওঠে সর্বভুক, হুতাশনে পরিব্যাপ্ত হতে পারে সর্বময়। নিমতলীর ঘটনায় আগুন পাবক হয়ে সবকিছু পবিত্র করেনি বরং অনলশিখায় ছারখার করেছে মানুষের স্বপ্ন। সেদিন ওই অগ্নিকাণ্ডে সব মিলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ১২৪। ওই দুর্ঘটনায় সম্পদের আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ছিল ১ কোটি ৬৮ লাখ ৫৫ হাজার টাকা, এটা সম্পদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ। নিমতলীর ঘটনা স্মরণে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিট ও বাংলাদেশ সোসাইটি ফর বার্ন ইনজুরিস দিনটিকে ‘অগ্নিসচেতনতা দিবস’ হিসেবে পালন করে থাকে।

বঙ্গবাজারের অগ্নিরহস্যের  ঘটনা উদঘাটিত হবে জানি তবে, ২০১০ সালের ৩ জুন জনবসতির পাশে স্থাপিত একটি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার বিস্ফোরিত হলে সেখান থেকে আশপাশের বাড়িগুলোতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আশপাশের দোকানগুলোতে থাকা রাসায়নিক দ্রব্যাদি ও দাহ্য পদার্থের সংস্পর্শে আগুন আরো বিস্তৃত হয়, দ্রুত গ্রাস করে সবকিছু। এছাড়া আক্রান্ত এলাকাটি ঘনবসতিপূর্ণ হওয়ায় অগ্নিনির্বাপক কর্মীদের ওই এলাকায় যেতে ও কাজ করতে বাধার সম্মুখীন হতে হয়, যা দ্রুত অগ্নিনির্বাপণ বাধাগ্রস্ত করে। এছাড়া পুরান ঢাকা এলাকার সংকীর্ণ অলিগলি দিয়ে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ও অগ্নিনির্বাপক গাড়ি প্রবেশ করাতেও যথেষ্ট বেগ পেতে হয়। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অগ্নিকাণ্ডের যথাযথ কারণ উদঘাটনের জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন। তিনি সেই সঙ্গে ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ও নিহতদের পরিবারবর্গের প্রতি তার গভীর সমবেদনা জানান। তার সরকার ৫ জুন, ২০১০ সারাদেশে রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করে। তবে ১৩ বছর পরও নিমতলীর ট্র্যাজেডি পিছু ছাড়েনি হতভাগা মানুষদের। এখনো অনেক দগ্ধ, আহত মানুষের আর্তনাদ শোনা যায়।

নিমতলী অগ্নিকাণ্ডের পর এবং ২০১৩-১৫ সালব্যাপী বিএনপি-জামায়াতের পেট্রল বোমায় জর্জরিত মানুষের জন্য চিকিৎসা ছিল চ্যালেঞ্জিং। এজন্য ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন ‘বার্ন ইনস্টিটিউটে’র। ২০১৮ সালে রাজধানীর চাঁনখারপুলে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ৫০০ শয্যার ‘জাতীয় শেখ হাসিনা বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে’র উদ্বোধন হয়। বিশ্বের সর্ববৃহৎ ও অত্যাধুনিক এ বার্ন হাসপাতালটি উদ্বোধনের ফলে হাজার হাজার পোড়া রোগীর সুচিকিৎসার দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। আকাশছোঁয়া এ ভবনটি তিনটি ব্লকে ভাগ করা হয়েছে। একদিকে রয়েছে বার্ন ইউনিট, অন্যদিকে প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট আর অন্য ব্লকটিতে করা হয়েছে অ্যাকাডেমিক ভবন। দেশে প্রথমবারের মতো কোনো সরকারি হাসপাতালে হেলিপ্যাড সুবিধাও রাখা হয়েছে।

২০১৯ সালের ২৮ মার্চ রাজধানীর বনানীতে এফ আর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডে ২৬ জন নিহত ও ১৩০ জন আহত হয়েছে। তার আগে ২০ ফেব্রুয়ারি (২০১৯) ঢাকার চকবাজার এলাকায় আগুনের থাবা নিবিয়ে দিয়েছে মানুষের জীবন আর ধ্বংস হয়েছে কোটি টাকার সম্পদ। ওই ঘটনায় নিহতের সংখ্যা সত্তরের উপরে। এজন্য ২০১৯ সালের ১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে পরপর কয়েকটি অগ্নিদুর্ঘটনার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে অগ্নিদুর্ঘটনা এড়াতে বেশ কিছু নির্দেশনা দেন। সেগুলো হলো- ফায়ার সার্ভিসের ক্লিয়ারেন্স নিয়ে সুউচ্চ ভবন নির্মাণ করতে হবে এবং অগ্নিদুর্ঘটনা এড়ানোর পরামর্শগুলো মানা হচ্ছে কিনা সেগুলোর নিয়মিত মনিটরিং করতে হবে। ভবনগুলোর অগ্নিনিরোধক সিস্টেম বা ক্লিয়ারেন্স প্রতি বছর নবায়ন করতে হবে। আবাসিক ও বাণিজ্যিক সব ভবনের ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে। বিল্ডিং কোড অনুসরণ করে ভবন নির্মাণ করতে হবে এবং এর কোনো ব্যত্যয় সহ্য করা হবে না। বিভিন্ন ভবন বা প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত ফায়ার ড্রিল করতে হবে এবং এ বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে। অগ্নিকাণ্ডের সময় ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণের কোনো উপায় আছে কিনা তা খুঁজে বের করতে হবে। কারণ আগুনে পোড়ার চেয়ে ধোঁয়ার কারণেই বেশি নিহতের ঘটনা ঘটে। রাজধানীতে প্রায়ই পানির অভাবে আগুন ঠিকমতো নেভানো যায় না। এজন্যই আগুনের কথা মাথায় রেখে রাজধানীতে পর্যাপ্ত জলাশয় ও জলাধার তৈরি করতে হবে। রাজধানীর আশপাশের লেকগুলো সংরক্ষণ করতে হবে। অগ্নিকাণ্ড বা অন্যান্য দুর্ঘটনায় ২৩তলা পর্যন্ত পৌঁছানোর উপযোগী লেডার/লম্বা সিঁড়ি তিনটি আছে ফায়ার সার্ভিসের। এর সংখ্যা বাড়াতে হবে। বাসাবাড়ি, অফিস বা বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ করতে হবে চারপাশে দরজা-জানালাসহ এবং শত ভাগ ফায়ার এক্সিট নিশ্চিত করতে হবে। বৈদ্যুতিক দরজা পরিত্যাগ করে অন্য দরজা লাগাতে হবে, যাতে বিদ্যুৎ না থাকলে বা দুর্ঘটনার সময় তা খোলা যায়। ভবনের চারপাশে জাল লাগানো সিস্টেম থাকতে হবে। কেউ যাতে ওপর থেকে পড়ে মারা না যায় সেজন্য এই ব্যবস্থা রাখতে হবে। হাসপাতাল ও স্কুলে অবশ্যই বারান্দা রাখতে হবে, যেন কোনো দুর্ঘটনার সময় মানুষ আশ্রয় নিতে পারে। ইন্টেরিয়র ডিজাইনাররা জায়গা বাঁচাতে ভবনের ভেতর সব জায়গা বন্ধ করে ডিজাইন করে। এ রকম কোনো ডিজাইন করা যাবে না। মানুষ যেন অবাধে যাতায়াত করতে পারে সেই ব্যবস্থা রাখতে হবে। দুর্ঘটনার সময় মানুষ যাতে লিফট ব্যবহার না করে সেজন্য সচেতনতা বাড়াতে হবে। যে কোনো ভবনে আসা-যাওয়ার জন্য একাধিক দরজা রাখতে হবে। ভবনে প্রবেশের একটা দরজার সিস্টেম পরিহার করতে হবে।

অপরদিকে নিমতলী ট্র্যাজেডির জন্য গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধের জন্য ১৭ দফা সুপারিশ করা হয়েছিল; তার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর এসব নির্দেশনার মিল-অমিল উভয়ই রয়েছে। ১৭ দফার উল্লেখযোগ্য দিক হলো- জরুরি ভিত্তিতে আবাসিক এলাকা থেকে গুদাম বা কারখানা সরিয়ে নেয়া, অনুমোদনহীন কারখানার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া, রাসায়নিক দ্রব্যের মজুত, বাজারজাতকরণ এবং বিক্রির জন্য লাইসেন্স দেয়ার ক্ষেত্রে প্রক্রিয়া জোরদার করা, ‘অগ্নিপ্রতিরোধ ও নির্বাপণ আইন ২০০৩’ ও ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড অনুযায়ী ভবন নির্মাণ নিশ্চিত করা, আবাসিক এলাকায় রাসায়নিক বা বিস্ফোরক দ্রব্যের মজুত বা বিপণনের বিরুদ্ধে জনমত গঠন, আবাসিক এলাকায় রাসায়নিক দ্রব্য বা বিস্ফোরক জাতীয় পদার্থ মজুতকরণ বা বিপণন কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা প্রভৃতি। এর মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য চাহিদা অনুযায়ী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বিভাগের অবকাঠামো বাড়ানো হলেও এখনো এই সেক্টরটি অত্যাধুনিকভাবে গড়ে ওঠেনি বলেই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাগুলো অনুসরণ করা জরুরি। অবশ্য প্রধানমন্ত্রীর ওই গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা প্রকাশের পর একাধিক টিম রাজধানীর প্রতিটি ভবন পরিদর্শন করেছেন। ভবনগুলোতে অগ্নিদুর্ঘটনা এড়াতে নিরাপত্তামূলক পর্যাপ্ত ব্যবস্থা আছে কিনা তা তারা দেখছেন এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনাও দিচ্ছেন। অন্যদিকে পুরান ঢাকার আবাসিক এলাকা থেকে অবৈধ রাসায়নিক পণ্যের গুদাম সরিয়ে নেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে এবং নজরদারি বেড়েছে। তবু ৬ এপ্রিল ঘটল পুরান ঢাকায় অগ্নিকাণ্ড।

বঙ্গবাজারে ভয়াবহ আগুন লাগার ঘটনাকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দায়কে নিজেদের দায়িত্ব মনে করে নিমতলী, চকবাজার, আরমানিটোলায় আবাসিক ভবনের রাসায়নিক গুদামের আগুন এবং গার্মেন্টস কিংবা অন্য কোনো টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড যেন না ঘটে সেজন্য জনগণের মধ্যে জোর সচেতনতামূলক প্রচার-অভিযান চালাতে হবে, পাশাপাশি সমগ্র সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের (সিটি করপোরেশন, ওয়াসা এবং অন্যান্য) ভেতর সমন্বয় থাকতে হবে। অন্যদিকে দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধেও নিতে হবে কঠোর আইনি ব্যবস্থা- তাহলেই অগ্নিকাণ্ডের ট্র্যাজিক ঘটনাগুলো চিরতরে বন্ধ করা সম্ভব হবে।

লেখক : ড. মিল্টন বিশ্বাস,  অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান, বাংলা বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, বিশিষ্ট লেখক, কবি, কলামিস্ট, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য, সম্প্রীতি বাংলাদেশ। 

email-drmiltonbiswas1971@gmail.com


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭