ইনসাইড গ্রাউন্ড

কঠিন পরীক্ষার মুখে বাংলাদেশ, আলোচনায় সাকিবের বোলিং


প্রকাশ: 07/04/2023


Thumbnail

সাদা পোশাকের ক্রিকেটে বাংলাদেশের চেহারা এখনো মলিন। নানা কারণে এখনো টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশ পায়ের নিচের মাটি খুঁজে পায়নি। এইসব পুরনো আলোচনা হলেও, মাঠের ক্রিকেটের নানা ঘটনায় বারবার তা ফিরে আসে। মিরপুরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টটিতে আবারো আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে বাংলাদেশের 'টেস্ট দর্শন ও কৌশল'।

কাগজে-কলমে ও শক্তিমত্তায় আইরিশদের থেকে অনেক এগিয়ে বাংলাদেশ। নিজেদের ইতিহাসের কেবল চতুর্থ টেস্ট ম্যাচ খেলছে আয়ারল্যান্ড। আর বাংলাদেশ সেখানে খেলছে নিজেদের ১৩৭তম টেস্ট। চলমান টেস্টের প্রথম দুই দিন আধিপত্য দেখিয়েছে স্বাগতিকরাই। প্রথম ইনিংসে আয়ারল্যান্ডকে ২১৪ রানে অলআউট হওয়ার পর মুশফিকুর রহমানের সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশ লিড নেয় ১৫৫ রানের। দ্বিতীয় দিনের শেষ সেশনে আয়ারল্যান্ডের ৪ উইকেট তুলে নিয়ে বড় জয়ের স্বপ্ন দেখছিলো সাকিব আল হাসানের দল। কিন্তু তৃতীয় দিন শেষ সেই স্বপ্ন ফিকে তো হয়েছেই, সামনে কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে বাংলাদেশকে। কারণ, এরই মধ্যে ১৩১ রানের লিড নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করবে আয়ারল্যান্ড। মিরপুরে চতুর্থ ইনিংসে দেড়শো রান তাড়া করে জয়ের উদাহারণ মাত্র ২টি। যা অবশ্যই চিন্তার কারণ হয়ে দাড়িয়েছে বাংলাদেশের জন্য।

মিরপুরের টেস্টের প্রথম দুই দিনে ২৪টি উইকেটের পতন হয়েছিলো। প্রথম দিন আয়ারল্যান্ড অলআউট হওয়ার পর ব্যাট করতে নেমে ২ উইকেট হারিয়েছিলো বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দিন বাংলাদেশের ৮ টি আয়ারল্যান্ড হারায় ৪ উইকেট। কিন্তু তৃতীয় দিনে তিন সেশন মিলিয়ে মাত্র ৪টি উইকেট নিতে পেরেছে তাইজুল-ইবাদতরা। এদিন লাইন-লেংথ ধরে রাখতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে স্বাগতিক বোলারদের। উল্টো ইনিংস হারের শঙ্কা উতরে ভাল কিছুর প্রত্যাশা এনে দিয়েছে আইরিশদের। চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনটা তাই বেশ গুরুত্বপূর্ণ দুই দলের জন্যই।

তবে চলমান টেস্টে সাকিব আল হাসানের বোলিং না করা নিয়ে বেশ আলোচনা চলছে ক্রিকেটাঙ্গনে। বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে বল করেছে ৭৭.২ ওভার। সেখানে সাকিব আল হাসান বল করেছেন মাত্র ৩ ওভার। ইনিংসের প্রথম ৬৫ ওভার বলই হাতে নেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক। যদিও সে ইনিংসে তাইজুল-মিরাজ-ইবাদতরা নিয়মিত বিরতিতে উইকেট এনে দিচ্ছিলো দলকে। কিন্তু আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই বল হাতে নিয়ে ২টি উইকেটও তুলে নিয়েছিলেন। দ্বিতীয় দিন শেষ সেশনে বাংলাদেশের ১৭ ওভারের মধ্যে ৭ ওভার বোলিং করেছেন সাকিব। আর তৃতীয় দিনে পুরো ৯০ ওভারের মধ্যে সাকিব হাত ঘুরিয়েছেন মাত্র ৬ ওভার। সেটাও আবার ৪টি আলাদা আলাদা স্পেলে। যা বেশ কয়েকটি প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে।

সাকিবের ফিটনেস নিয়ে কি কোন জটিলতা রয়েছে, নাকি এটি পরিকল্পনার অংশ? ম্যাচশেষে সংবাদ সম্মলনে অবশ্য বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড জানিয়েছেন, ফিটনেস নিয়ে কোন ঝামেলা নেই সাকিবের। ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট একটি বড় অংশ এটিকে চলমান আইপিএল খেলতে না পারার কারণে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে দেখছেন। আবার অনেকে এটিকে পরিকল্পনার জায়গাতেও ফেলছেন। সংবাদ সম্মলনে তেমন কথা জানিয়েছিলেন তাইজুল ইসলাম। কিন্তু উত্তর যাই হোক না কেন, প্রতিপক্ষ যখন বড় জুটি গড়ে স্কোরবোর্ড সমৃদ্ধ করছে-তখনো বোলিংয়ে নিজে দ্বায়িত্ব না নেওয়ায় সমালোচনা শুনতেই হচ্ছে সাকিবকে। কারণ তার মতো ক্রিকেটারের কাছে প্রত্যাশাও তো অনেক উঁচুতে, তার উপর তিনি হন দলের অধিনায়ক- তাহলে সমালোচনাটা স্বাভাবিক নয় কি!



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭