ইনসাইড টক

‘প্রথম আলোকে আইনের আওতায় আনা দরকার’


প্রকাশ: 09/04/2023


Thumbnail

‘যে দৈনিকটি দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে মেনে নিতে পারে না। স্বাধীন দেশে থেকে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে কটাক্ষ করে কথা বলে, এ ধরনের কোনো গণমাধ্যম এই দেশে থাকার দরকার নেই। এই সরকারের আমলেই প্রথম আলো পত্রিকাটির নিবন্ধন প্রকাশ পায়। তখন থেকেই পত্রিকাটি এই সরকারের বিরুদ্ধেই কাজ করা শুরু করেছে। এই সরকারের বিরুদ্ধে কাজ করা মানেই ধরে নিতে হবে, এই সরকারের পক্ষে না। আবার বিএনপিকেও সে মাইনাস করার চেষ্টা করেছে। প্রথম আলোর গতিবিধি প্রকাশ পাওয়াটা খুবই দুষ্কর ব্যাপার। আবার হযরত মুহাম্মদ (সা:)-কে নিয়ে কুটক্তি করেছে, সেটাও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সেটার জন্য আবার সরকার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার জন্য সরকারের কাছেও মাফ চায়নি, রাষ্ট্রের কাছেও মাফ চায়নি প্রথম আলো। এটা একটা দূরভিসন্ধি। তাদের হাত কতদূর লম্বা- তা সরকারকেই বের করতে হবে। আমরা চাই এরকম যেন না হয়। এরকম পত্রিকা আমরা চাই না।’- বলছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং অভিনয় শিল্পী আহসানুল হক মিনু।     

গত বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রথম আলো পত্রিকার নিবন্ধন বাতিল ও চক্রান্তকারীদের শাস্তি চেয়ে মানব-বন্ধন করেছে স্বাধীনতা-সচেতন নাগিরক সমাজ। এই মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রেখেছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং অভিনয় শিল্পী আহসানুল হক মিনু। গত ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব নিয়ে কটাক্ষ করে একজন শিশুর উদ্ধৃতি দিয়ে প্রথম আলো যে সংবাদ পরিবেশন করেছিল, তারই প্রতিবাদে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এই মানববন্ধন নিয়েই কথা হয় বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং অভিনয় শিল্পী আহসানুল হক মিনুর সঙ্গে। বাংলা ইনসাইডারের সাথে একান্ত আলাপকালে তিনি জানিয়েছেন দৈনিকটির স্বাধীনতা ও সরকার বিরোধী কর্মকাণ্ড এবং দৈনিকটির বিরুদ্ধে প্রতিবাদের কথা। পাঠকদের জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং অভিনয় শিল্পী আহসানুল হক মিনুর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের বিশেষ প্রতিনিধি আল মাসুদ নয়ন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা আহসানুল হক মিনু বলেন, যে দেশে থেকে দেশকে অমর্যাদা করবে, এটা আমরা চাই না। এরকম পত্রিকা আমরা চাই না, এরকম পত্রিকা আমাদের রাষ্ট্র যেন দ্রুত বাতিল করে- এটাই চাইব আমরা। কিছুদিন আগে একজন জঙ্গিকে এই পত্রিকা বীর বানিয়েছে। যে ব্যক্তিটি জঙ্গি ছিল, তাকে তারা বীর বানালো। এখন এদের ভাবমূর্তি বোঝা বড় মুশকিল। এরা কোন পথে চলছে, আমার ধারণা হয়, এদের হাতের সংখ্যা কতটুকু আছে, তা জানার দরকার নেই। কিন্তু সরকারকে সচেতন হতে হবে। সরকার যাতে এর হাতটাকে গুটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। সরকার যেন দেশের স্বার্থে এই সংবাদপত্র থাকবে কি না, তার নিশ্চয়তা সরকারকেই দিতে হবে। এই পত্রিকা আমরা চাই না। 

তিনি বলেন, আমরা যুদ্ধ করে দেশটা স্বাধীন করেছি। আমরা চাই সংবাদপত্র দেশের কথা বলবে, দেশের দুঃখ-কষ্টের কথা বলবে। দেশে কোনো অন্যায় হলে, সে কথা বলবে। কিন্তু দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব নিয়ে দেশবিরোধী কোনো কথা বলা যাবে না।        

আহসানুল হক মিনু বলেন, এই পত্রিকাটির উৎপত্তি কোথা থেকে? পাকিস্তানের একটি পত্রিকার সাথে যুক্ত হয়ে এই পত্রিকাটির উৎপত্তি। পাকিস্তানের ডন পত্রিকার অর্থ হচ্ছে ভোরের আলো। ডন অর্থ হচ্ছে ভোর, সুবহে সাদিক অর্থাৎ আধার কেটে যে আলোটা হয়, সেটা হচ্ছে ভোর। তার সাথে মিল রেখেই কিন্তু এই পত্রিকা প্রথম আলো। এদের সাথেও যুক্ত আছে এরা। আমার সোজাসুজি কথা, দেশের স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস- এসব জাতীয় দিবসগুলোকে বিকৃত করা চলবে না।

তিনি বলেন, শিশু আইনে একটা নিয়ম আছে, শিশুকে নিয়ে যা-তা কিছু করা যায় না। শিশু আইন আছে, শিশুকে নিয়ে কাজ করতে হলে শিশু আইন মেনেই সেটা করতে হবে। একজন শিশুকে দিয়ে দেশের বিরুদ্ধে কথা বলানোর চেষ্টা করা- এটা খুবই অন্যায়। সেই কাজটিই করেছে এই পত্রিকা। সেই ক্ষেত্রে আমি বলবো, এই পত্রিকার নিবন্ধন বাতিল করা উচিৎ। যারা এ ধরনের কাজ করে, এই কাজের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নিবে সরকার। কারণ এই পত্রিকার নিবন্ধন দিয়েছে রাষ্ট্র, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধেই যদি কাজ করে, তবে রাষ্ট্র সে বিষয়ে নিশ্চয়ই পদক্ষেপ নিবে। যে কারণে এর প্রকাশনাকে বাতিল করতে পারে। জার্মানিতে যেরকম একটি পত্রিকা জার্মানির বিরুদ্ধে কথা বলেছিল, সে পত্রিকার নিবন্ধন বাতিল করেছিল জার্মান সরকার। এরকম পদক্ষেপ নিতে হবে। সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে।                  

অভিনয় শিল্পী আহসানুল হক মিনু বলেন, প্রথম আলো বাইরে থেকে শিল্পীদের বিভিন্ন উন্নয়ন করছে দেখা গেলেও তারা শিল্পীদের অকল্যাণে কাজ করে। কল্যাণ কোরাইয়া নামের একজন অভিনয় শিল্পীর নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটানোর মূলে প্রথম আলো। এ কারণে কল্যাণ কোরাইয়ার বাবাও দুঃখে-কষ্টে, অপমানে মারা গেছেন।     

তিনি বলেন, কোনো রাজনৈতিক দলের হয়ে নয়, একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে, একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে এই সংবাদপত্রটিকে আইনের আওতায় আনা দরকার বলেই আমি মনে করি এবং এ দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭