বীর মুক্তিযোদ্ধা ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুর প্রায় ১৩ ঘণ্টা পরে শোক বার্তা দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। এ বীর মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুতে শোক বার্তা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হওয়ায় এ নিয়ে সমালোচনা করেছেন অনেকেই।
মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) রাত ১০টা ৪০ মিনিটে মারা যান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তার মৃত্যুর সংবাদে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, সাংস্কৃতিক কর্মী ও শুভানুধ্যায়ীরা তাৎক্ষণিক হাসপাতালে ছুটে যান। শোকবার্তায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ দেশের বিভিন্ন মন্ত্রী ও অনেক রাজনীতিবিদরা।
এ ক্ষেত্রে কেবল ব্যতিক্রম ছিল বিএনপি। বুধবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে দলটির সহ দপ্তর সম্পাদক মনির হোসেন স্বাক্ষরিত এক বার্তায় দলটির পক্ষ থেকে প্রায় ১৩ ঘণ্টা পরে শোকবার্তা পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর জন্ম ১৯৪১ সালের ২৭ ডিসেম্বর ডিসেম্বরে, চট্টগ্রামের রাউজানে। সে হিসেবে ৮১ বছর ৩ মাস ১৫ দিন বয়সে ইন্তেকাল করলেন দেশের খ্যাতনামা এই জনস্বাস্থ্যবিদ। মুক্তিযুদ্ধের সময় অক্সফোর্ড থেকে নিজের পড়াশোনা শেষ করে ভারতে এসে স্থাপন করেন বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল। স্বাধীনতার পর গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করে জনগণকে কম মূল্যে চিকিৎসা দেয়ার কাজ করেন।
১৯৮২ সালে জাতীয় ওষুধ নীতি প্রণয়নে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য। বিগত কয়েক বছর ধরে সক্রিয় রয়েছেন রাজনৈতিকভাবেও। যদিও এ বছরে এসে রাজনৈতিকভাবে খানিকটা নিষ্ক্রিয় হয়ে যান জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
মৃত্যুকালে জাফরুল্লাহ চৌধুরী স্ত্রী শিরিন পি হক, কন্যা বৃষ্টি আন্না চৌধুরী, ছেলে বারিশ হাসান চৌধুরীসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজনসহ অসংখ্য অনুরাগী ও ভক্ত রেখে গেছেন।