ইনসাইড বাংলাদেশ

মানুষের ক্ষতি আল্লাহ সহ্য করবেন না: প্রধানমন্ত্রী


প্রকাশ: 18/04/2023


Thumbnail

অগ্নিসন্ত্রাস, মার্কেটে আগুন ও নানাভাবে যারা মানুষের ক্ষতি করে, তাদের আল্লাহ সহ্য করবেন না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) গণভবনে জিয়াউর রহমানের সময়ে নিহত সামরিক সদস্যদের পরিবার, বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলনে আহত এবং নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এ কথা জানান প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, কয়েকদিন ধরে হঠাৎ করে আগুনের ঘটনা বেড়ে গেল। আমার মনে সন্দেহ হচ্ছে, এটাও নাশকতা কি না। যারা জীবন্ত মানুষকে গাড়িতে আগুন দিয়ে, বাসে আগুন দিয়ে, রিকশায় আগুন দিয়ে পোড়াতে পারে, এরা মানুষের ক্ষতি করাটাই জানে। ঈদের সময় মানুষ ব্যবসা বাণিজ্য করবে, হয়ত সেই পথটাও বন্ধ করে দিতে চেয়েছিল। আমার মনে হয়, এখানেও একটা ঘটনা আছে। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, একদিন শুনলাম আমার কেউ নেই। আমরা দুইটা বোন বিদেশে এতিম হয়ে গেলাম। কী বর্বরভাবে আমার মা, বাবা, তিন ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। আমি বাংলাদেশে ফেরার পর থেকে আপনাদের (বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাসে নিহত ব্যক্তিবর্গের পরিবার) খোঁজ নিচ্ছিলাম। অনেককেই হত্যা করা হয়েছে।  আমাদের গ্রামের লুৎফরকে ফিরে পেয়েছিলাম, তার ছেলে-মেয়েদের আমি দেখতাম। তারপর থেকে অনেক চেষ্টা করেছিলাম অন্যদের নাম জোগাড় করতে। স্বাভাবিকভাবে শুরুতে নামগুলো পাওয়া খুব কঠিন ছিল। পরে ধীরে ধীরে সেই নামগুলো খুঁজে বের করতে পেরেছি।  

তিনি আরও বলেন, ১৫ আগস্টের পর থেকে বারবার সেনাবাহিনীর মুক্তিযোদ্ধা অফিসারদের হত্যা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের অগণিত নেতাকর্মীদের হত্যা করেছে তারা। আমি যখন বিরোধী দলে ছিলাম এমন দিন ছিল না যে লাশ টানতে হয়নি? এরপরও কী করে মানুষ তাদের পাশে থাকে এটা আমি বুঝে উঠতে পারি না।

সরকারপ্রধান বলেন, দিনের পর দিন ফাঁসির যে কাহিনি এগুলো আমরা বিদেশে থেকেই শুনতাম। যেখানে কেন্দ্রীয় কারাগার নেতাদের হত্যা করা হলো। কোনো অপরাধ নেই, জানেও না তাদের কী অপরাধ ছিল। ধরে নিয়ে ফাঁসি দেওয়া হয়। পাকিস্তান হানাদার বাহিনী যেভাবে বর্বরতা করেছিল, বিএনপি জামায়াতও সেই একইভাবে বর্বরতা করেছে। জিয়াউর রহমান তো হাসতে হাসতে মানুষের ফাঁসির রায় লিখত। কোনো বিচার ছিল না। ফাঁসির রায় দেওয়া হয়ে গেছে, আর বিচার হয়েছে পরে। কী জুলুম, কী অত্যাচার, কী অন্যায়। ৩৫ বছর লেগেছে আমার বাবা-মার হত্যার বিচার করতে।

তিনি বলেন, অনেক বিচারক বিব্রত বোধ করে রায় দিতেন। যেখানে এতগুলো মানুষ হত্যা করল সেখানে বিচারকরাও রায় দিতে লজ্জা বোধ করেন, এটাও আমাকে দেখতে হয়েছে। এজন্য আমি আপনাদের কষ্ট বুঝি কারণ আমিও একই রকম কষ্ট পেয়েছি।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭