ইনসাইড বাংলাদেশ

নিজের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টায় একুশে পত্রিকার সম্পাদক আজাদ


প্রকাশ: 30/04/2023


Thumbnail

অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার নামে বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তির নামে প্রতিবেদন প্রকাশ করে থাকে চট্ট্রগাম ভিত্তিক ‘একুশে পত্রিকা’। যা অসত্য এবং বিভ্রান্তিকর। ব্যক্তি ইমেজ ক্ষুন্ন করতেই দূরবিসন্ধি উদ্দেশ্যে পত্রিকার এ ধরনের কাজ করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ সমস্ত করে একটা ভয়ের সংস্কৃতি কায়েম করতে চায় বলে অভিযোগ একাধিক রাজনীতিবিদের। কিন্তু কেন এই ভয়ের সংস্কৃতি?

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, একুশে পত্রিকার সম্পাদক আজাদ তালুকদার এর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা রয়েছে এবং ওই হত্যা মামলায় তিনি প্রধান আসামী। জানা যায়, মো: মাহফুজ নামে এক ছেলে একুশে পত্রিকা অফিসে পিয়নের কাজ করতো। ঘটনাটি ২০০৫ সালের। তৎকালীন অফিসের ঠিকানা; ২০৮ লুসাই ভবন (৪র্থ তলা), ৫ সি.ডি.এ. বাণিজ্যিক এলাকা, মোমিন রোড়, থানা-কোতোয়ালী। ১৬.৯.২০০৫ সাল আনুমানিক রাত ১০.০০টার সময় মো: মাহফুজ তার কর্মস্থল থেকে তার গ্রামের বাড়িতে যায় এবং একদিন পর ১৮.৯.২০০৫ তারিখে কর্মস্থলে ফিরে আসে। ওই রাতে মাহফুজের পিতা মো: সামশুল আলম জানতে পারেন তার ছেলে দুর্ঘটনায় জখম হয়েছে। খবর পেয়ে মো: সামশুল আলম রাতেই চট্টগ্রাম আসেন এবং জানতে পারেন তার ছেলে লুসাই ভবনের চতুর্থ তলা থেকে লাফ দিয়ে নিচে পড়ে মারা গেছে। কিন্তু সে সময়কার স্থানীয় পত্র-পত্রিকা ঘেটে দেখলে দেখা যায় যে, আজাদ তালুকদারের লাফিতেই মাহফুজ নিচে পড়ে যায় এবং জখম হয়ে মারা যায়।

তৎকালীন বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে জানা যায়, বকেয়া বেতন চাইতে এসে প্রাণ হারায় মাহফুজ। আজাদ তালুকদার বকেয়া পাওয়া না দিয়ে পিটিয়ে পিটিয়ে ছাদে তুলে লাথি মেরে ফেলে দিয়ে মাহফুজকে হত্যা করেন। তৎকালীন সময়ে ঘটনাস্থলে প্রত্যক্ষদর্শী অনেকে গণমাধ্যমের কাছে সেদিনে ঘটনাটি ব্যাখ্যা করেন এবং গণমাধ্যমে সে বিষয়টি উঠে আসে। তবে আজাদের ভাষ্য হলো তিনি মাহফুজকে কোন ধরনের আঘাত করেননি। মাহফুজ বিনা অনুমতিতে গ্রামের বাড়িতে যাওয়ায় তাকে বকা দিয়েছেন। মাহফুজ রাগ করে চাকরি করবে না বেরিয়ে যায় এবং চতুর্থ তলা থেকে পড়ে গিয়ে গুরুত্ব জখম হয়ে মারা যায়। তবে আজাদ তালুকদারের এ মন্তব্যের সঙ্গে একমত নন মাহফুজের পিতা। 

এদিকে, আজাদ তালুকদার তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা ধামাচাপা দিতেই রাজনীতিবিদদের নামে অসত্য প্রতিবেদন প্রকাশ করে একটি প্রভাব তৈরি করার চেষ্টা করছেন কিনা সেটি নিয়ে প্রশ্ন রাখেন স্থানীয় কয়েকজন রাজনীতিবিদ।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭