ইনসাইড বাংলাদেশ

অক্টোবরে নির্বাচনকালীন সরকার: বড় চমক আসছে


প্রকাশ: 01/05/2023


Thumbnail

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছে সরকার। নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে মাঠ প্রশাসন যেমন ঢেলে সাজানো হচ্ছে তেমনি নির্বাচনকালীন সরকারের একটি রূপ পরিকল্পনাও তৈরি করা হচ্ছে। আগামী অক্টোবর নাগাদ নির্বাচনকালীন সরকার কার্যক্রম শুরু করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এই সরকারের পরিধি ছোট করা হবে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। ১০ থেকে ২০ সদস্যের মন্ত্রিসভা রুটিন কাজ করবে নির্বাচনকালীন সময়। এই মন্ত্রিসভায় আওয়ামী লীগের বাইরেও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সদস্যদেরকেও অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে আওয়ামী লীগের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে জানিয়েছে। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, সম্প্রতিক পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে বাংলাদেশ আগামী নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে এবং নির্বাচন যেন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় সেজন্য নির্বাচন কমিশনকে পর্যাপ্ত ক্ষমতা দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছে। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নির্বাচন হবে সংবিধান সম্মতভাবে। তবে নির্বাচনের সময় সরকারের কার্যক্রম সীমিত রাখা হবে। সরকার কোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে না। নির্বাচনকালীন সরকারের রূপ কাঠামো সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিতে পারেন বলেও বিভিন্ন দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, আগামী বাজেট অধিবেশন বা তারপরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি নির্বাচনকালীন সরকারের আনুষ্ঠানিক রূপরেখা ঘোষণা করতে পারেন। সংসদে যে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলো অবস্থান করছে সেই সমস্ত দলগুলো থেকে প্রতিনিধিদেরকে নির্বাচনকালীন সরকারে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। তবে বিএনপি যদি নির্বাচন বর্জন করে তাহলে এই নির্বাচনকালীন সরকারে তাদের জায়গা হবেনা। নির্বাচনকালীন সরকারে নিরপেক্ষ উপদেষ্টামন্ডলী রাখার বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। সবকিছু নির্ভর করছে বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে কি করে না তার উপর। 

একাধিক সূত্র বলেছে যে সরকার দুটি বিকল্প নিয়ে এগুচ্ছে। প্রথমত আন্তর্জাতিক মহল বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদি বিএনপিকে নির্বাচনে রাজি করাতে পারে এবং বিএনপি যদি নির্বাচনে আসে তাহলে নির্বাচনকালীন সরকারের রূপ কাঠামো একরকম হবে। আর যদি বিএনপি নির্বাচনে না আসে তাহলে পরে নির্বাচনকালীন সরকারের রূপ কাঠামো অন্যরকম হবে। বিএনপি যদি নির্বাচনে আসে তাহলে নির্বাচনকালীন সরকারে বিএনপিকে অর্ন্তভূক্তি করা হতে পারে। বিএনপির একজন কিংবা একাধিক সদস্য নির্বাচনকালীন সরকারে অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা হিসেবে কয়েকজন নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে রাখা হতে পারে। নির্বাচনকালীন সরকারে বিএনপি ছাড়াও জাতীয় পার্টি, ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ সহ সংসদে যে সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে তাদেরকে অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে। আর যদি বিএনপি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্তে অনড় থাকে তাহলে সেক্ষেত্রে নির্বাচনকালীন সরকার হবে শুধুমাত্র জাতীয় সংসদে যে সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে তাদের দিয়ে। এখানে কোন উপদেষ্টামন্ডলী গঠন করা হবে না।

সরকার আগামী নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করুক বা না করুক একটি অংশগ্রহণমূলক প্রতিদ্বন্দ্বতাপূর্ণ এবং অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে চায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ব্যাপারে বারবার দলের নেতাকর্মী ও প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে। নির্বাচনে কোনো রকম অনিয়ম বা হস্তক্ষেপ প্রশ্রয় দেওয়া হবে না বলেও প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন সময়ে বলেছেন। আর সে কারণেই অক্টোবর নির্বাচনকালীন সরকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই নির্বাচনকালীন সরকারে কারা থাকেন, কারা থাকবেন না সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেবেন বলে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সূত্রগুলো জানিয়েছে।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭