প্রকাশ: 02/05/2023
ঠিকাদারের
সঙ্গে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের
আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত আরও একটি অডিও
ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে।
শুক্রবার
(২৮ এপ্রিল) ‘সাথী খাতুন’ নামের
একটি ফেসবুক আইডি থেকে ভারপ্রাপ্ত
রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী
হাসানের কণ্ঠ সদৃশ ৪৫
সেকেন্ডের একটি ফোনালাপ পোস্ট
করা হয়।
এর আগে গত ১৪ই
মার্চ একই আইডি থেকে
দুই মিনিট ৫০ সেকেন্ডের একটি
অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়। অডিওগুলোতে ঠিকাদারের
সঙ্গে রেজিস্ট্রারের আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে কথা বলতে শোনা
গেছে।
২৮ এপ্রিল 'সাথি খাতুন' নামে
ফেসবুক আইডি থেকে ভাইরাল
হওয়া অডিওর ক্যাপশনে লেখা হয়, "৫৩৭
কোটি টাকার মেগা প্রকল্পের হরিলুট।
ঠিকাদার উঠেন ভিসির বাংলোয়!
কি জামাই আদর? পিএন্ডডি হাজি
সাহেব চেক দিচ্ছেন ঠিকাদারী
কাজের। দেন দরবার দর
কষাকষি। তোমাররাও থাক আমার টাও
থাক মাঝামাঝি ৫ লাখ। ভাগাভাগি
কোন্ নিরাপদ স্থানে? প্রিয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পবিত্র জায়গায় স্বয়ং ভিসির বাংলোয়।"
অডিওতে
রেজিস্ট্রারকে বলতে শোনা যায়,
"এখন একটা চেক নিয়ে
যান। দেওয়ার কথা ছিল ৬
লাখ এখন ৪ লাখ
দেন। এক কাজ করেন
৫ লাখ দেন। আমার
কথাও থাক আপনার কথাও
থাক।"
অডিওতে
ঠিকাদারকে বলতে শোনা যায়,
"কুষ্টিয়ার যেকোন জায়গা থেকে নিতে হবে।
আমার উপর বিশ্বাস রাখতে
পারেন। আমি অনেক ইউনিভার্সিটিতে
কাজ করেছি। টাকা একবারে নিয়েন।"
এদিকে
গত ১৪ মার্চ একই
আইডি থেকে দুই মিনিট
৫০ সেকেন্ডের আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত একটি অডিও পোস্ট
করা হয়। পরে ১৫
মার্চ অডিওটি ‘নিজের না’ বলে দাবি
করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার
এইচ এম আলী হাসান।
জিডিতে
তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকল্প পরিচালক পদে থাকা অবস্থায়
বিভিন্ন ঠিকাদারদের সাথে প্রকল্প সুষ্ঠুভাবে
বাস্তবায়নের স্বার্থে নির্মাণকাজে জড়িত লোকের সাথে
আমাকে কথা বলতে হয়েছে।
কিন্তু ভাইরাল হওয়া অডিওটির মত
এ ধরনের কোনো আর্থিক লেনদেনের
আলাপ প্রকল্প পরিচালক এবং পরিকল্পনা ও
উন্নয়ন বিভাগে থাকা অবস্থায় হয়নি।'
এরপর
অডিও ফাঁসের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে গত ১৯ মার্চ
তদন্ত কমিটি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
রেজিস্ট্রারের কন্ঠ সাদৃশ্য অডিও
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে উল্লেখ
করে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক সাইফুল
ইসলামকে আহ্বায়ক করে ৪ সদস্যের
একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটিতে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব
হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মিয়া রাসিদুজ্জামান
ও শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. তপন কুমার
জোদ্দারকে সদস্য হিসেবে রাখা হয়। এছাড়া
কমিটিতে উপ-রেজিস্ট্রার (শিক্ষা)
আলীবদ্দীন খান সচিবের দায়িত্ব
পালন করবেন বলে জানানো হয়।
তদন্ত
কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম বলেন, আমাদেরকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছি। কার্যক্রম
চলমান রয়েছে।
এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ এম আলী
হাসান বলেন, অডিওটি সম্পূর্ণ ভূয়া। বোঝাই যাচ্ছে সুপার ইডিট করা। আমার
সঙ্গে এসবের কোন সম্পৃক্ততা নেই।
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭