ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইঞ্জেকশন দিয়ে ধীরে ধীরে হত্যা করা হবে ইমরান খানকে?


প্রকাশ: 11/05/2023


Thumbnail

পাকিস্তানজুড়ে চলছে রাজনৈতিক অস্থিরতা। দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানে মঙ্গলবার ইসলামাবাদ হাইকোর্টের সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয়। এরপরই উত্তাল হয়ে পড়ে গোটা দেশ। কেননা, তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এর সমর্থকরা দেশটির রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করছে।

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বর্তমান ঠিকানা আপাতত জেলই! আল কাদির জমি দুর্নীতি মামলায় মঙ্গলবার ইসলামাবাদ আদালত চত্বর থেকে গ্রেফতার হন ইমরান খান। বুধবার দীর্ঘক্ষণ টালবাহানার পরে তাঁকে আদালতে পেশ করা হয়। আদালতের তরফে আপাতত আটদিনের জন্য ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি ব্যুরোর হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।

জানা গিয়েছে, ন্যাবের তরফে আল কাদির মামলায় ইমরান খানকে জেরা করার জন্য  ১০ দিনের হেফাজত চাওয়া হয়েছিল। তবে আদালত আটদিনের হেফাজত দিয়েছে। আগামী ১৭ মে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। অন্য়দিকে সূত্রের খবর, ইমরান খান আদালতে দাবি করেছেন, জেলে তাঁকে শারীরিক অত্যাচারের শিকার হতে হচ্ছে।     

এদিকে, এরই মধ্যে আট দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে ইমরান খানকে। গ্রেফতারের পর হেফাজতে থাকাকালীন শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন—বুধবার আদালতকে এমন অভিযোগ জানিয়েছিলেন ইমরান খান। কিন্তু তারপরও প্রাক্তন তাকে আট দিন হেফজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন পাকিস্তানের আদালত।

তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত ইমরানকে মঙ্গলবার গ্রেফতার করার পরই রাতারাতি এক অজানা জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। বুধবার তাকে আদালতে পেশ করার নিয়ম থাকলেও প্রকাশ্যে আনা হয়নি ইমরানকে। তার জন্য বিশেষ রুদ্ধদ্বার আদালত বসেছিল পাকিস্তান পুলিশের সদর দফতরেই। 

দুর্নীতি থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার, একাধিক মামলায় অভিযুক্ত ইমরান খান। মঙ্গলবার ইসলামাবাদ আদালতে একটি মামলার শুনানিতে হাজিরা দিতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকেই ন্যাব তাঁকে গ্রেফতার করে। অভিযোগ, ইমরান খানকে আগে একাধিকবার সমন পাঠানো হলেও, তিনি হাজিরা দেননি। তদন্তের স্বার্থেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

এদিকে, গ্রেফতারির পরই কার্যত ‘হাওয়ায় উবে যান’ ইমরান। তাঁকে গ্রেফতার করে কোথায় রাখা হয়েছে, সে সম্পর্কে কোনও তথ্য ছিল না। পরে বুধবার জানা যায়, ইসলামাবাদ কিংবা রাওয়ালপিন্ডিতে ন্যাবের সদর দফতরে রাখা হয়েছে ইমরান খানকে। অশান্তি এড়াতে গতকাল পুলিশের সদর দফতরেই বিশেষ আদালত বসানো হয়।

স্থানীয় সংবাদ সংস্থার খবরে জানা গেছে, আদালতে শুনানির সময় ইমরান খান বিচারককে জানান, হেফাজতে থাকাকালীন ২৪ ঘণ্টায় তার উপর অমানবিক অত্যাচার করা হয়েছে। এমনকি, ওয়াশরুমের প্রয়োজন পড়লেও তাকে যেতে দেওয়া হয়নি।

এ সময় তিনি বলেন, “আমি আমার চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলতে চাই।”

ইমরান খান বলেন, “মাকসুদ চাপরাসি (একজন পিয়ন) এর সাথে যা ঘটেছে তা আমার সাথে ঘটুক তা আমি চাই না। এরপর তিনি রমজান সুগার মিলস মামলায় জড়িত একজনের কথাও আদালতের কাছে তুলে ধরেন, যিনি গত বছর সংযুক্ত আরব আমিরাতে মারা যান।”

আদালতের কাছে অভিযোগ করে ইমরান খান বলেন, তারা হেফাজতে থাকাকালীন ইঞ্জেকশন দেয়, যা ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়। এরপরই আদালত এ বিষয়ে রায় সংরক্ষণ করেন এবং আগামী ১৭ মে আবার ইমরান খানের বক্তব্য শোনার জন্য দিন ধার্য করেন।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭