প্রকাশ: 14/05/2023
বাঙালি
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ
মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে
প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যাপক অগ্রগতির মাধ্যমে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু কন্যার দূরদর্শী রাষ্ট্রপরিচালনায় বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু, স্বাক্ষরতার
হার, খাদ্য উৎপাদন, দারিদ্র্য হ্রাস, শিক্ষা,
নারীর ক্ষমতায়ন, দুর্যোগ প্রশমনসহ আর্থসামাজিক খাতে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। মাথাপিছু আয় হয়েছে অন্যান্য
আঞ্চলিক প্রতিবেশীর চেয়ে অনেক বেশি।
বিচ্ছিন্নতাবাদী, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে
জিরো টলারেন্স নীতির কারণে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এক বলিষ্ঠ নেতৃত্ব
হিসেবে পরিচিত।
বিশ্বের
প্রভাবশালী দেশের সরকারপ্রধান এবং আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান
ও সংস্থাপ্রধানরা বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনার প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক সফরকালে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেছেন, ‘বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক উন্নয়নশীল দেশ এবং একটি
আকর্ষণীয় বিনিয়োগ গন্তব্য। অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা ও বিনিয়োগ পরিবেশের
উন্নতি দুই দেশের মধ্যে
অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করবে।’
২০১২
সালে পদ্মা সেতু প্রকল্পের ঋণ
নিয়ে ভিত্তিহীন ও কথিত অভিযোগের
প্রেক্ষাপটে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশের বড় ধরনের টানাপোড়েন
সৃষ্টি হলেও, জাপান সফর শেষে বিশ্বব্যাংক
গ্রুপের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাসের বিশেষ আমন্ত্রণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ-বিশ্বব্যাংকের উন্নয়ন অংশীদারত্বের ৫০ বছর উদযাপন
অনুষ্ঠানে যোগদান করেছেন। এছাড়া এখন বিশ্বব্যাংক মনে
করে পৃথিবীর অনেক দেশই দারিদ্র্য
বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের
সঙ্গে অভিযোজনের বিষয়ে বাংলাদেশের উদ্ভাবনী ব্যবস্থাপনা অনুসরণ করতে পারে।
গত ২৯ এপ্রিল শনিবার, যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে, ওয়াশিংটনের রিজ-কার্লটন হোটেলে
বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকালে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেছেন, ‘সব
বাধাবিপত্তি মোকাবিলা করে দেশকে সমৃদ্ধির
পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে বাংলাদেশের
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো
নেতৃত্ব প্রয়োজন। বাংলাদেশ বিশ্বে একটি রোলমডেল। শেখ
হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে দেশটি বিভিন্ন ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন অর্জন করেছে। তার গতিশীল নেতৃত্ব
কভিড-১৯-এর পরও
বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে স্থিতিশীল রেখেছে। ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়ন, সুসংযোগ স্থাপন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায়
বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।’
বাংলাদেশের
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণেই করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন
যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট বৈশ্বিক মন্দাকালেও বাংলাদেশে দারিদ্র্য ও অতিদারিদ্রের হার
কমেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ‘খানা আয় ও
ব্যয় জরিপ-২০২২‘ এর
তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে অতিদরিদ্রের হার ৫.৬
শতাংশ, যা ২০১৬ সালে
ছিল ১২.৯ শতাংশ।
‘কোভিড-১৯ এর কারনে
সারা বিশ্বে খাদ্য সংকটে সাড়ে তিন কোটি
মানুষ মারা যাবে‘ বিশ্ব
খাদ্য সংস্থার এই ভবিষ্যতবাণী থাকা
সত্ত্বেও শেখ হাসিনার সঠিক
নির্দেশনায় বাংলাদেশে কৃষিবিদ, কৃষিবিজ্ঞানী, কৃষক
ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় কৃষিতে অভাবনীয় সাফল্যের কারণে বাংলাদেশে উৎপাদিত খাদ্যে আভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়েও উদ্বৃত্ত হয়েছে, যা বিদেশে রপ্তানি
করা হয়েছে। করোনা মহামারি পরবর্তী সংকট মোকাবিলায় সফলতার
কারনে জাতিসংঘ মহাসচিব কর্তৃক গঠিত গ্লোবাল ক্রাইসিস
রেসপন্স গ্রুপের ৬ রাষ্ট্র ও
সরকারপ্রধানের একজন হচ্ছেন বাংলাদেশের
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
চলমান
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দায়
বাংলাদেশে
অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে শেখ
হাসিনার সরকার কর্তৃক গৃহীত সময়োপযোগী সংস্কারের জন্য ‘ব্লুমবার্গ‘ কর্তৃক প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ লিডার বেটস আইএমএফ-ম্যান্ডেটেড
রিগর উইল পে অফ
ইন পোলস’ শিরোনামের নিবন্ধে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা
করেছে।
গত ৫ মে ২০২৩
শুক্রবার লন্ডন পল মলে কমনওয়েলথ
সেক্রেটারিয়েটের মার্লবোরো হাউসের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক কক্ষে বাংলাদেশের
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের মধ্যে
অনুষ্ঠিত বৈঠকে, বাংলাদেশের
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একজন
সফল অর্থনৈতিক নেতা হিসেবে অভিহিত
করে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেছেন,
‘আমি আপনাকে অনেক বছর ধরে
অনুসরণ করছি। আপনি আমাদের জন্য
অনুপ্রেরণা। আমার দুই মেয়ে
এবং স্ত্রী আপনার ভক্ত। আপনি আমার দুই
মেয়ের জন্যও অনেক বড় অনুপ্রেরণা।
আমি চাই আমার মেয়েরা
যেন আপনার মতো নেতা হন‘।
করোনা
মহামারি-পরবর্তী সময়ে ৬ শতাংশের
অধিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখার কথা
উল্লেখ করে রিটিশ প্রধানমন্ত্রী
ঋষি সুনাকও বাংলাদেশের
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উন্নয়নের
‘রোল মডেল’ হিসেবে অভিহিত করেন।এছাড়া রোহিঙ্গাদের আশ্রয় এবং ভূমিহীন ও
গৃহহীনদের সরকারি খরচে বাড়ি দেওয়া
এবং জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে শেখ হাসিনার সরকারের
গৌরবময় ভূমিকারও প্রশংসা করেছেন।
১০ লাখের বেশি মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত
রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার কারণে বৃটিশ সংবাদ মাধ্যম ইতিপূর্বে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে ‘মানবতার
মা‘ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে এবং জাতিসংঘের মহাসচিব
মন্তব্য করেছেন, ‘শেখ হাসিনার কাছে
অনেক কিছু শিক্ষনীয় রয়েছে‘।
২০২১
সালের ২২ মার্চ বাংলাদেশ
সফরে এসে নেপালের তৎকালীন
প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারি প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেছিলেন, ‘আপনি
বিশ্বের দারুণ এক অনুপ্রেরণাদায়ী নেতা।
আমি আপনার অনুরাগী।’
বাংলাদেশের
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন
দৃঢ় ব্যক্তিত্বের বিশ্বনেতা। জলবায়ুর পরিবর্তন, নিরাপদ অভিবাসন, আন্তর্জাতিক সংকট মোকাবিলা, বাংলাদেশে
অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা ও নারীর ক্ষমতায়নসহ
নানা বিষয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর শেখ হাসিনা।
জাতির
পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের
সুযোগ্য কন্যা, টানা তিনবার বাংলাদেশের
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ
বিশ্বনন্দিত নেত্রী, বিভিন্ন দেশের সরকারপ্রধান এবং আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান
ও সংস্থাপ্রধানদের অনুপ্রেরণা।
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭