শাকিব খান-বুবলীর সর্ম্পকে টানাপোড়ন যাচ্ছে বেশ অনেক দিন আগে থেকেই। যদি বুবলী বরাবরই দাবি করছেন তাঁর সঙ্গে শাকিব খানের সম্পর্ক ঠিকঠাক আছে। এবার হাটে হাড়ি ভেঙে দিয়েছেন শাকিব খান নিজেই। বিষয়টি খোলাসা করে তিনি বলে দিয়েছেন- বুবলীর সঙ্গে তার অধ্যায় পুরোপুরি শেষ। বিষয়টি নিয়ে শাকিব-বুবলী দুজনেই বিভিন্ন কথা গণমাধ্যমে বলছেন। আসলে দুই পক্ষের কে সত্য বলছেন এ নিয়ে এখনো নানা প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
ঈদের দিন লং ড্রাইভ
বুবলী: আমরা জাস্ট একটা সুন্দর ঈদ কাটালাম, শেহজাদ কে সহও একসাথে ঈদ কাটিয়েছি, গাড়িতে ঘুরেছি, গান শুনেছি, আপনার আপকামিং মুভির ঈদ নিয়ে গানও শোনালেন, আপনার জোকস শুনে হেসেছি, একসাথে খাবার খেয়েছি, আপনাকে খাইয়েও দিয়েছি, গল্প করেছি। শেহজাদ ছাড়াও কয়েকদিন আগেও আমরা এই ঈদ এবং ঈদ এর পরেও একসাথে থেকেছি , টাইম স্পেন্ড করেছি।
শাকিব: ঈদের দিন সে এসেছে। স্বাভাবিকভাবেই একসঙ্গে বাসার সবাই বসে খেয়েছি। তারপর শেহজাদকে নিয়ে গাড়িতে করে যখন বেড়াতে বের হচ্ছিলাম তখন বুবলীও গাড়িতে উঠে পড়ে এবং পেছনের সিটে বসে থাকে। তার রান্না করা বা তার হাতে কোনো খাবারই আমি খাইনি। আসলে সেদিন ঈদের সুযোগ নিয়ে সে আমার বাসায় এসেছিল। মিথ্যা বলে আবার আমাকে সাইনবোর্ড হিসেবে ব্যবহার করে নিজের স্বার্থ উদ্ধার করার জন্য এবং পরে সে ফেসবুকে মিথ্যা স্ট্যাটাস দিয়ে তাই করার চেষ্টা করেছে। ঈদের দিন বাসায় কেউ এলে তাকে তো আর বের করে দেয়া যায় না। অথচ এর আগে একবার তাকে ঘাড় ধরে বের করে দেয়া হয়েছিল।
চরিত্র
বুবলী: আপনাকে তো কোথাও কখনও অসম্মান করিনি বা অসম্মান করে কথা বলিনি বরং যেকোনো অবস্থায় আপনাকে সম্মান দিয়ে পাশে থেকে নানা ভাবে সাপোর্ট দিয়েছি আপনার সমসাময়িক এতো বিষয় থাকতে আপনি বিশেষ কিছু সাক্ষাৎকারে শুধু কিছুদিন পর পর আমাকে নিয়ে নিউজে খোঁচান কেনো? উদ্দেশ্য কী? আগে তো কখনও এরকম করতেন না?
শাকিব: সে আমাকে ইমোশনালি ব্ল্যাকমেইল করে সম্পর্ক, সন্তান, অর্থবিত্ত, নাম সবই করেছে। আমিও তাকে অন্ধ বিশ্বাস করেছিলাম। কিন্তু শেহজাদকে জন্ম দেয়ার পর আমেরিকা থেকে দেশে এসে সে নানা স্ক্যান্ডালে জড়িয়ে পড়ল। নানা জনের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তুলল। যা মিডিয়াসহ সবাই জানে। একই সঙ্গে সাড়ে ৩ কোটি টাকার ফ্ল্যাট এবং ৫৬ লাখ টাকার গাড়ির মালিক হলো, হঠাৎ করে এমন বিত্ত-বৈভবের মালিক হওয়া কীভাবে সম্ভব। কেউ যদি বিনা কারণে বিশ্বাসভঙ্গ করে বা বিশ্বাসঘাতকতা করে তাহলে তার সঙ্গে সম্পর্ক কীভাবে কনটিনিউ করা যায় আপনারাই বলুন।
সিদ্ধান্ত নেয়া
বুবলী: অনেকটা সময় পার হয়ে গিয়েছে নিজের জীবন টাকে গোছান সেটা যেভাবেই আপনার ভালো লাগে, আমি কখনোই আপনাকে কোনো ব্যাপারে ফোর্স করিনি, সব সিদ্ধান্ত দিন শেষে আপনারই ছিলো।
শাকিব: আমাকে সাইনবোর্ড হিসেবে ব্যবহার করার জন্য এটিও তার একটি পাতা ফাঁদ ছিল। তার সঙ্গে সম্পর্কের পর এক দিনের জন্যও সে আমাদের বাসায় থাকেনি। আমার বাসার কারও সঙ্গে তার কথাও হয়নি। আগে পরিচয়ও ছিল না। সে জোর করে আমার বাসায় এসে সিন ক্রিয়েট করার চেষ্টা করে।
বিয়ে ও স্ত্রী
বুবলী: আমি আপনার স্ত্রী(এখনোও আপনার সাথে আমার ডিভোর্স হয়নি)।
শাকিব: বুবলী তো নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য আমাকে শুধু সাইনবোর্ড হিসেবে ব্যবহার করছে। এখনো সে নিজেকে আমার স্ত্রী পরিচয় দিয়ে নিজের স্বার্থ উদ্ধারের অপচেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। আবারও বলছি, সে প্রমাণ করে দিক সে আমার স্ত্রী। বুবলী এখন আমার স্ত্রী নয়, এ কথা আমি আর কতবার বলব।