বিয়ের প্রমাণের বিষয়টি পাশ কাটিয়ে গেলেন বুবলী

ফের টক অব দ্য কান্ট্রিতে পরিণত হয়েছে শাকিব খান ও শবনম বুবলীর ব্যক্তিগত জীবনের লড়াই। একজন প্রশ্ন ছুড়ছেন তো আরেকজন তার পাল্টা জবাব দিচ্ছেন। কেউ যেন কাউকে ছাড় দিচ্ছেন না।

বুবলীর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগ এনেছেন শাকিব খান। দেশের একটি গণমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিয়ে এমন বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন এই নায়ক।

এদিকে শাকিব খান সংবাদমাধমটির কাছে বলেন, সবাই জানে আমার ও অপুর বিয়ের কথা, অথচ সে জানে না, এটি চরম মিথ্যা ছাড়া আর কি হতে পারে। এ নিয়ে তখন তো অপু তাকে গালাগালও করেছে। একজন লোকের বিয়ে করা বউ থাকার পর কী সে আরেকটি বিয়ে করতে পারে। বুবলী তো নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য আমাকে শুধু সাইনবোর্ড হিসেবে ব্যবহার করছে। এখনো সে নিজেকে আমার স্ত্রী পরিচয় দিয়ে নিজের স্বার্থ উদ্ধারের অপচেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। আবারও বলছি, সে প্রমাণ করে দিক সে আমার স্ত্রী। বুবলী এখন আমার স্ত্রী নয়, এ কথা আমি আর কতবার বলব।

তাহলে আপনাদের ডিভোর্স হয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে শাকিব খান বলেন, সেটা সে-ই বলুক। সে যখন এখনো নিজেকে আমার স্ত্রী দাবি করছে, তাহলে সে-ই প্রমাণ করে দিক বিষয়টি।

পাশাপাশি শাকিব খান আরও অভিযোগ করে বলেন, বুবলীর গাড়ি-বাড়ি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়ক শাকিব খান।

তিনি প্রশ্ন করেন, হঠাৎ করে একইসঙ্গে সাড়ে ৩ কোটি টাকার ফ্ল্যাট এবং ৫৬ লাখ টাকার গাড়ির মালিক কীভাবে হলেন বুবলী? এবার শাকিবের সেই প্রশ্নের জবাব দিলেন চিত্রনায়িকা বুবলী।

এদিকে শাকিব খানের এমন প্রশ্নের পর বুবলী  তাৎক্ষনিক মুখ না খুললেও পরে সংবাদমাধ্যমে দেওয়া আরেক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন, দেখুন আমি দীর্ঘদিন ধরেই ফিল্ম করছি, তার আগে নিউজ পড়েছি, অনেক কালচারাল প্রোগ্রাম করি, বিভিন্ন ওপেনিং শো করি, বিজ্ঞাপন করি, এত বছর সম্মানের সঙ্গে কাজ করে আমার নিজ সামর্থ্য আর পরিবারের সহযোগিতা নিয়ে যতটুকু থাকার ঠিক ততটুকুই আছে।

এদিকে শাকিব খানের গাড়ি-বাড়ির বিষয়ে অভিযোগ নিয়ে  বুবলী বলেন, আমার গাড়ির কথা তিনি বলছেন, সেটা ব্যাংক লোন নিয়ে কেনা হয়েছে। সব লোনের কাগজ-পত্র আমার কাছে আছে। যে শোরুম থেকে নেওয়া হয়েছে সেই শোরুম তিনি নিজেও চিনেন। আমার বাসার কথা তিনি বলেছেন যেটাতে আমি আম্মু, আব্বু, শেহজাদ, আমার ছোট ভাইসহ পরিবার নিয়ে থাকি। এই বাসা আমার নামেও না, কারণ এটাও লোন নিয়ে করা।

ফ্ল্যাট, গাড়ি সব কিছুর যথাযথ ব্যাখ্যা দিলেও বুবলী বিয়ের প্রমাণের বিষয়টি পাশ কাটিয়ে যান। এনিয়ে একটি কথাও তিনি বলেননি।

এমন গুরুতর অভিযোগের ভিত্তিতে বুবলীর সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।