ইনসাইড গ্রাউন্ড

ধোনির পথ অনুসরণ করতে চায় বিসিবি!


প্রকাশ: 19/05/2023


Thumbnail

ভারতের কিংবদন্তি ক্রিকেটার মহেন্দ্র সিং ধোনির দেখানো পথ অনুসরন করতে চায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

আসন্ন ওয়ানডে বিশ্বকাপের স্কোয়াডে অন্তর্ভুক্তিতে বিবেচনায় নেয়া হচ্ছে ক্রিকেটারদের ফিল্ডিং অ্যাবিলিটি। ব্যাটিং-বোলিং ভালো করলেও, ফিল্ডিং এবং ফিটনেসে সমস্যা থাকলে সে ক্রিকেটারকে নিয়ে আগ্রহী নয় বিসিবি। প্রয়োজনে অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদেরকেও ছেঁটে ফেলা হবে বলে সাফ জানিয়ে দিলেন বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন।

ভারতীয় ক্রিকেটের আজকের উন্নয়নের পিছনে সব থেকে বড় অবদানের কথা আসলে অনেকে সৌরভ গাঙ্গুলীর নাম বললেও, এর মূল কারিগর হলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। তিনি অধিনায়ক হিসেবে জিতেছেন সবগুলো আইসিসি টুর্নামেন্টের শিরোপা। শুধু তা-ই নয়, তার হাত ধরেই শুরু হয় আজকের সফল অজেয় ভারতের পথ চলা। ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ায় জয়ের দেখা না পেলেও কোহলির জন্য ফিল্ড প্রস্তুত করে গিয়েছেলিন ধোনি।

তাদের আজকের এই যাত্রা খুব সহজ ছিল না। ২০১১ বিশ্বকাপ জয়ের পর, যখন পুরো ভারত শচীন-শেবাগ-গম্ভীরদের বন্দনায় মত্ত, ঠিক তখনই সমস্ত আবেগকে অনেকটা ছুড়ে ফেলে দেন মাহি। ২০১২ অস্ট্রেলিয়া সফরের আগে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশ্যে ঘোষণা করেন, শচীন-শেবাগ-গম্ভীরকে একসঙ্গে স্কোয়াডে রাখতে চান না তিনি। চারদিক থেকে শুরু হয় সমালোচনা। ধোনির অধিনায়কত্ব, ক্ষমতার অপব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয় তখনকার ভারতীয় গণমাধ্যমে।

কিন্তু কোনো কিছুতেই টলানো যায়নি ধোনিকে। ভারতীয় ক্রিকেটের ভবিষ্যতের প্রশ্নে, সেদিন কোনো আপোষ করেননি মাহি।  

সেদিন যদি ধোনির কথা না মেনে নিতো বিসিসিআই, তাহলে কি আজকের ভারত হতো? আর যদি হতো, তবে এতটা দ্রুত সময়ে নয়। বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে আলোচনায় ধোনির প্রশংসা করার মূল কারণটাই হচ্ছে এই ফিল্ডিং ইস্যু। ফিল্ডিং নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেটে এখনো অনেক কাজ করার আছে।

অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরেই কয়েক ক্রিকেটারের ফিটনেস এবং ফিল্ডিং অ্যাবিলিটি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিসিবির ভিতরে।   

চার বছর পর আরেকটা বিশ্বকাপ যখন দুয়ারে কড়া নাড়ছে, আবারও স্কোয়াড গঠন নিয়ে চলছে নানামুখী আলোচনা। স্বাভাবিকভাবেই সেখানে অংশ নিয়েছেন দেশের ক্রিকেটের অভিভাবক নাজমুল হাসান পাপনও। শুরুতে সাংবাদিকদের নিয়ে কিছুটা টিপ্পনী কাটলেও তার কথাতেই পরিষ্কার, এবার ভিন্নভাবে ভাবছে বাংলাদেশ। অভিজ্ঞতার মূল্য দিলেও, ফিটনেস এবং ক্রিকেটারদের ফিল্ডিং অ্যাবিলিটি প্রাধান্য পাবে সবার ওপরে। 

বৃহস্পতিবার (১৮ মে) গণমাধ্যমকে পাপন বলেন, ‘১৫ জনের দল কিংবা সেরা একাদশ নিয়ে আমি কিছু জানি না। অপশন যদি বেশি থাকে তাহলে কেউ খেলবে, কেউ খেলবে না। আমি ইচ্ছে করলে ১২-১৩ জনকে তো খেলাতে পারব না। ১১ জনকেই খেলতে হবে। ব্যাটিং বিবেচনায় আফিফ, মাহমুদউল্লাহ দুজনকেই খেলানো যেতে পারে। আমি অভিজ্ঞ না তবে মনে করি, যে কাউকে খেলানো যাবে। যদি অলরাউন্ডার চাই, আফিফ আছে, মোসাদ্দেক আছে এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সেও বল করে দিতে পারবে। রিয়াদ ভালো বল করে, আমি দেখেছি, ঘরোয়া ক্রিকেটেও ও ভালো। পার্থক্যটা ফিল্ডিংয়ে। আপনি যদি বিশ্বকাপে ভালো ফিল্ডিংও চান, তাহলে আফিফ অনেক ওপরে। মোসাদ্দেকও রিয়াদের চেয়ে অনেক ভালো হতে পারে।’

ভারত সেদিন শচীন-শেবাগের মতো ক্রিকেটারকে বিদায় বলে দেয়ার কারণেই, আজকের চেহারা পেয়েছে। বাংলাদেশেরও প্রয়োজন এরকমই এক নতুন শুরুর।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭