প্রকাশ: 27/05/2023
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে তিন দফা মারধরের ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার
(২৬ মে) দিবাগত রাতে
এসব ঘটনা ঘটে। রাত
২টার দিকে জোহা হলের
মধ্যে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয়
এক পক্ষ।
ছাত্রলীগ
ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার
জুম্মার নামাজ শেষে সালাম না
দেওয়াকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত
হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে জুম্মার নামাজ শেষে হল শাখা
ছাত্রলীগের আরমান খান নামের এক
কর্মী (মেসবাহুলের অনুসারী) সালাম না দিলে হুমকি
দেয় আমীর আলী হল
শাখার উপ-পরিবেশ বিষয়ক
সম্পাদক মাহফুজ আনাম (বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সদস্য
মুক্তাদির তরঙ্গের অনুসারী)। পরে এ
বিষয়ে মেজবাহুল জানতে চাইলে, মাহফুজ অভিযোগ করে তার ছেলে
আদবকায়দা জানে না। পরে
তাদের মধ্যে এ নিয়ে বাকবিতণ্ডা
হয়। তখন একপর্যায়ে মাহফুজকে
মারধর করে আরমান। এ
ঘটনায় মেজবাহকে দেখে নিবে বলে
হুমকি দিয়ে মাহফুজ স্থান
ত্যাগ করে।
এরপর
রাত সাড়ে ১১টার দিকে
মাহফুজের নেতৃত্বে রিয়াজ ও বর্ণ মিলে
রাজুকে মাদার বখশ হলের সামনে
মারধর করে। এরপর তারা
বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা হলের মধ্যে
প্রবেশ করে। পরবর্তীতে জোহা
হলের সামনে প্রায় ২ ঘন্টা অবস্থান
নেয়। এক পর্যায়ে দেশীয়
অস্ত্র নিয়ে জোহা হলের
ভিতরে প্রবেশ করে বর্তমান কমিটির
সহ-সভাপতি মেসবাহুল, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শাহিনুল ইসলাম সরকার (ডন), উপধর্মবিষয়ক সম্পাদক
তাওহীদ দুর্জয় ও সোহরাওয়ার্দী হলের
সভাপতি নিয়াজ মোর্শেদ।
পরে
রাত ৩টায় সমাধানের উদ্দেশ্যে
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
হলের সামনে দুই পক্ষ উপস্থিত
হলে আবার সংঘর্ষ বাধে।
এসময় মাহফুজকে মারধর করে সুজন চন্দ্রসহ
আরো কয়েক জন বলে
জানা যায়। পরে শাখা
ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া ও সাধারণ সম্পাদক
ফয়সাল আহমেদ রুনু ঘটনাস্থলে উপস্থিত
হয়ে সংঘর্ষ থামান এবং দুই পক্ষকে
নিয়ে সমাধানে বসেন।
বিশ্ববিদ্যালয়
শাখা ছাত্রলীগের সদস্য মুক্তাদির তরঙ্গ বলেন, ‘মাহফুজের সঙ্গে তার একটা বন্ধুর
ঝামেলা হয়েছে শুনেছি। এটির বেশি কিছু
জানি না।
হলে
মহড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে জোহা হল শাখা
ছাত্রলীগের সভাপতি চিরন্তন চন্দ বলেন, ‘গত
রাত ২ টার দিকে
মেসবাহুল, সরকার ডনসহ ৪০ জনের
মতো নেতাকর্মী হলে দেশীয় অস্ত্র
নিয়ে মহড়া দিয়েছে। তবে
এ সময় আমি হলের
বাইরে খেতে গিয়েছিলাম।
মারধরের
বিষয়ে জানতে চাইলে শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মেজবাহুল হক মেজবাহ বলেন,
‘মাহফুজ এক সময় আমার
রাজনীতি করতো। তাকে আমার পোলাপান
সালাম-কালাম দেয়নি বলে থ্রেট করেছে।
পরে আমি তাকে ডেকে
নিয়ে জিজ্ঞেস করি, কি হয়েছে।
সে বলে, আমার ছোট
ভাই না কি ম্যানার
জানে না। তারপর আমার
ছোটভাই আরমান তাকে বের করে
নিয়ে মারধর করে। পরে আমি
দু'জনকে বুঝিয়ে থামিয়ে
দেই। পরে মাহফুজ আমাকে
হুমকি দিয়ে দিয়ে চলে
যায়।
সার্বিক
বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি
গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘তেমন কিছুই হয়নি।
কয়েক জন নেতাকর্মীর মধ্যে
একটু মনোমালিন্য হয়েছিলো আমি ও সাধারণ
সম্পাদক তাদের ডেকে মিমাংসা করে
দিয়েছি।
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭