ইনসাইড বাংলাদেশ

যুক্তরাষ্ট্র নিয়ে অস্বস্তি: নির্বাচনের আগে ভারত-চীনকে পাশে নিতে চায় আওয়ামী লীগ


প্রকাশ: 27/05/2023


Thumbnail

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি নিয়ে আওয়ামী লীগ কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করেছে। তারা বলছে, এই ভিসা নীতির ফলে যারা অগণতান্ত্রিক নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আওয়ামী লীগের আনুষ্ঠানিক অবস্থান যাই থাকুক না কেন, আওয়ামী লীগের কেউ কেউ মনে করছেন, এই ভিসা নীতি ঘোষণা করা হয়েছে সরকারের ওপর একটি চাপের কৌশল হিসেবে। আগামী নির্বাচনে যেন কোনো পক্ষপাতিত্বপূর্ণ আচরণ না করা হয় বা ভুয়া ভোট প্রদানের মাধ্যমে কারচুপির একটি ফলাফল ঘোষণা না করা হয়, সেই প্রক্রিয়াকে বন্ধ করার জন্য- এই ভিসা নীতি একটি সতর্কবার্তা হিসেবে ব্যবহার করা হবে। 

কিন্তু কূটনীতিকরা বলছেন, এই ভিসা নীতি আসলে আওয়ামী লীগ-বিএনপি সবাইকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনুগত করারই কৌশল। এর মধ্য দিয়ে সবগুলো রাজনৈতিক দলই যুক্তরাষ্ট্রের অনুগত থাকবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের আদেশ-নির্দেশনা শুনতে বাধ্য হবে- এমন একটি কৌশলগত অবস্থান থেকেই নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। 

ভিসা নীতি ঘোষণার পরপরই আওয়ামী লীগ-বিএনপি এবং জাতীয় পার্টির নেতৃবৃন্দ মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এর ফলে ধারণা করা হচ্ছে, আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আরও প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করবে। যেটি ৭৫’র পর থেকে ২০০৮ পর্যন্ত বাংলাদেশের রাজনীতিতে বারবার দৃশ্যমান ছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ যুক্তরাষ্ট্রের এই ভিসানীতি বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অতি আগ্রহের ব্যাপারে কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের অস্বস্তির মধ্যেই বাংলাদেশ, ভারত এবং চীনের সঙ্গে নির্বাচনের আগে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার নীতি গ্রহণ করেছে। উল্লেখ্য যে, আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধিদল সাম্প্রতিক সময়ে চীন সফরে গেছেন। আজ চীনের ভাইস মিনিস্টারের সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আনুষ্ঠানিক বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়াও চীনের ভাইস মিনিস্টার সুন ওয়েইডং খুব শীঘ্রই প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন বলেও জানা গেছে। 

বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধিদল খুব শীগ্রই ভারত সফরে যাচ্ছে। এছাড়াও সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর করার কথা রয়েছে। ভারত বাংলাদেশের প্রধান প্রতিবেশী এবং প্রভাবশালী দেশ। অন্যদিকে চীন বাংলাদেশের প্রধান অংশীদার। দুটি দেশের সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন করে মার্কিন চাপ সামলাতে চায় সরকার। সেই কৌশলই অবলম্বন করছে সরকার। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নির্ভরতা কমিয়ে মধ্যপ্রাচ্য এবং চীনের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের কৌশল গ্রহণ করা হয়েছে। এর একটি প্রধান লক্ষ্য হলো, যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব বলয় থেকে বাংলাদেশকে বের করে নিয়ে আসা। এখন দেখার বিষয় সেটি কতটুকু সফল হয়। 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭