প্রকাশ: 28/05/2023
ত্বকের
প্রধান সমস্যাগুলো সাধারণত ধুলা-বালি, দূষণ,
বাইরের খাবার খাওয়া, পানি কম পান
করা থেকে দেখা দেয়।
তবে ত্বকের সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয়
সূর্যের প্রচণ্ড তাপ ও আলো
থেকে। সুর্যকে নিয়ন্ত্রণ করা না
গেলেও খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তাই ত্বক ভালো রাখতে সেদিকেই বেশি মনযোগ দেওয়া
প্রয়োজন। কিন্তু আপনি জানলে অবাক হবেন যে, এমন কিছু খাবার আমরা নিয়মিত খাই যেগুলো সূর্যের
তাপ ও আলো থেকেও ত্বকের বেশি ক্ষতি করে।
আম
মধু মাসে আম
ছাড়া ভাবাই যায় না। তবে এই সময়ে অতিরিক্ত আম খাওয়া ত্বকের জন্য ক্ষতিকর।
চেন্নাইয়ের
‘অ্যাপোলো স্পেক্ট্রা হসপিটাল’য়ের ত্বক বিশেষজ্ঞ ডা. সুভাষিণী মোহন হেলদিশটস ডটকম’য়ে
প্রকাশিত বলেন, “অতিরিক্ত আম খাওয়া হরমোনের মাত্রা বাড়িয়ে ‘সিবাম’ উৎপাদন বৃদ্ধি করে।
এটা ত্বককে তৈলাক্ত করে লোমকূপ আটকে ফেলে। ফলে দেখা দেয় ব্রণ ও ব্রেক আউট। এছাড়াও ব্রণ
প্রবণ ত্বকের অধিকারীরা আমের মতো বাড়তি শর্করা-জাতীয় ফল খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করে ব্রণের
মাত্রা কমিয়ে আনতে পারেন।”
ভাজাপোড়া
বাইরের খাবার
মানেই তা হবে তেল-মশলাদার। এই ধরনের খাবার স্বাদের যত্ন নিলেও ত্বকের জন্য একেবারেই
উপকারী নয়। তেল চপচপে খাবার খেলে স্বাভাবিক ভাবেই ব্রন হয়। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, বেশি
ভাজাপোড়া খেলে এমনিতেই ত্বকের ক্যানসার হওয়ারও আশঙ্কা থাকে।
মিষ্টি
চিনি ত্বকের
জন্য একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। মিষ্টিজাতীয় খাবার খেলে যেমন ওজন বেড়ে যায়, তেমন ত্বকেও
এর প্রভাব পড়ে। মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা ব্রনের সমস্যা ডেকে আনে। তাই ব্রনের ঝুঁকি এড়াতে
মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা যেন নিয়ন্ত্রণ করা যায়, সেদিকে খেয়াল রাখুন।
উচ্চ কার্বোহাইড্রেট-জাতীয়
খাদ্যাভ্যাস
উচ্চ কার্বোহাইড্রেট
সমৃদ্ধ খাবার বিশেষত, প্রক্রিয়াজাত ‘কার্ব’ যেমন- সাদা রুটি, পাস্তা ও চিনি দেওয়া নাস্তা
দ্রুত রক্তের শর্করার মাত্রা বাড়ায়। ফলে দেহে ইন্সুলিন উৎপাদন বাড়ে (আইজিএফ ১)।
এটা হরমোনের
ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করে ত্বক তৈলাক্ত করে ফেলে। আর ব্রণের সৃষ্টি করে।
ডা মোহন বলেন,
“কম কার্বোহাইড্রেইট সমৃদ্ধ খাবার সাধারণত উচ্চ প্রোটিন ও আঁশহীন হয়। এটা অতিরক্তি
গ্লাইকেইশনের উৎপাদন কমিয়ে দেহ ও ত্বকের ওপর নেতিবাচক ভূমিকা রাখে। ফলে বার্ধক্যের
ছাপ দ্রুত পড়ে।”
কম আঁশবহুল
খাবার
কম আঁশ বহুল
খাবার যেমন- প্রক্রিয়াজাত খাবার, মিষ্টি পানীয়- রক্তের শর্করা বাড়ায় এবং অন্ত্রের অণুজীবকে
বিব্রত করে। ফলে প্রদাহ ও ব্রণ দেখা দেয়।
ডা মোহন বলেন, “উচ্চ আঁশ ধরনের খাবার যেমন- পাতাবহুল শাক, সবজি, ফল ও বাদাম হজমে উন্নত করে। রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। আর ব্রণ কমাতে সহায়তা করে।
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭