এডিটর’স মাইন্ড

গাজীপুরে আওয়ামী লীগের স্বস্তি-অস্বস্তি


প্রকাশ: 29/05/2023


Thumbnail

গাজীপুর সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ হেরে গেছে। কিন্তু এ নির্বাচনে হেরেও জিতেছে ক্ষমতাসীন দলটি। এ নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে আওয়ামী লীগ একদিকে যেমন উৎসব করতে পারে, ঠিক তেমনি এ নির্বাচন আগামী নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগকে সতর্কবার্তা দিল। গত ২৫ মে অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপি অংশ নেয়নি। নির্দলীয় নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করছে দলটি। এ আন্দোলনের কৌশল হিসেবে সব নির্বাচন থেকে নিজেদের গুটিয়ে রাখছে বিএনপি। আগে বিএনপির জনপ্রিয় নেতারা স্থানীয় প্রভাব ও জনপ্রিয়তা ধরে রাখার স্বার্থে স্বতন্ত্রভাবে প্রার্থী হতেন। কিন্তু এবারের নির্বাচনে সে ব্যাপারেও কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে বিএনপি। ওয়ার্ড কাউন্সিলর হিসেবে যারা প্রার্থী হয়েছেন, তাদেরও আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির রাজনৈতিক কৌশল খুবই সোজাসাপ্টা। দলটির নীতিনির্ধারকরা মনে করছেন, বিএনপি ভোট বর্জন করলেই নির্বাচন নিরুত্তাপ হবে। জনগণ ভোটকেন্দ্রে যাবে না। ফলে নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা পাবে না। কয়েকটি নির্বাচনে বিএনপির কৌশল কাজে লেগেছে। চট্টগ্রামের একটি উপনির্বাচনে ভোট পড়েছে ১৪ শতাংশের মতো। বিএনপি ছাড়া বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্ভব নয়—এটি প্রমাণের জন্যই বিএনপি ভোট থেকে দূরে। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো বলছে, বাংলাদেশে আগামী নির্বাচন হতে হবে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক। যুক্তরাষ্ট্র ‘অংশগ্রহণমূলক’ নির্বাচন বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। যদিও তারা বিএনপির ‘নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক’ সরকারের দাবিকে সমর্থন জানায়নি। কিন্তু আকারে ইঙ্গিতে তারা বুঝিয়ে দিয়েছে, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের শর্তপূরণের জন্য প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ জরুরি। বিএনপি কূটনীতিকদের বোঝাতে চাইছে, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হয় উত্তাপহীন, জনগণ সেই নির্বাচনে অংশ নেয় না, প্রশাসন এবং ক্ষমতাসীন দল মিলে নির্বাচনের নামে প্রহসন করে। জাতীয় নির্বাচনের আগে এরকম উত্তেজনাহীন নির্বাচন যত হবে, তত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি জোরালো হবে। কিন্তু গাজীপুরে বিএনপির কৌশল ভুল প্রমাণিত হয়েছে। বিএনপি ছাড়াও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ, উৎসবমুখর, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন যে করা যায়, গাজীপুর তার প্রমাণ। এটি আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের জন্য স্বস্তির। এর ফলে বিএনপি ছাড়াই আওয়ামী লীগ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পথে এগোতে পারবে। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি গত এক বছর ধরেই জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন নিয়ে কথা বলছেন। তিনি বারবার বলছেন, নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ। যুক্তরাজ্যের মতো নির্বাচন হবে বাংলাদেশে—এমন বক্তব্য তিনি একাধিক সাক্ষাৎকারে বলেছেন। শেখ হাসিনা এটিও বলেছেন, জনগণ ভোট দিলে সরকার গঠন করব। আর ভোট না দিলে ক্ষমতা ছেড়ে দেব। এটি যে কথার কথা নয়, গাজীপুর সিটি নির্বাচন তার প্রমাণ। এ নির্বাচনে পর্দার আড়ালে অনেক নাটক হয়েছে। অতি উৎসাহীরা নানাভাবে প্রশাসন দিয়ে নির্বাচন প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছে। কেউ কেউ জোর করে আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে জিতিয়ে দেওয়ার ফর্মুলা নিয়েও দৌড়াদৌড়ি করেছে। কিন্তু শেখ হাসিনা অর্বাচীনদের এ প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছেন। এমনকি কোনো কোনো নেতাকে আওয়ামী লীগ সভাপতি সতর্ক করে দিয়েছেন। সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, কারচুপির চেষ্টা করলে তিনি কাউকে ছাড়বেন না। ফলে গাজীপুর নির্বাচনে কোনো কেলেঙ্কারি হয়নি। শেখ হাসিনা নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করার সুযোগ দেননি। গাজীপুর সিটি নির্বাচনের ধারায় যদি বাকি চারটি নির্বাচন হয়, তাহলে ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের’ দাবি মুখ থুবড়ে পড়বে। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সম্ভব বলা যৌক্তিক হবে। গাজীপুর নির্বাচন প্রমাণ করেছে, একটি প্রতিযোগিতাপূর্ণ নির্বাচনের একমাত্র ফ্যাক্টর বিএনপির অংশগ্রহণ নয়। বিএনপি ছাড়াও যে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব, গাজীপুর তার বিজ্ঞাপন। জাতীয় নির্বাচনের আগে এই নির্বাচন আওয়ামী লীগের জন্য বিশাল স্বস্তির। এ নির্বাচনের আগের দিনই যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করে। অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের অন্তরায় সৃষ্টিকারীদের যুক্তরাষ্ট্র ভিসা দেবে না বলে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেয়। এরকম সতর্কবার্তার পর প্রথম পরীক্ষায় আওয়ামী লীগ সরকার খুব ভালোমতোই পাস করেছে। নির্বাচন নিয়ে চাপ বিএনপির কাঁধে তুলে দিতে গাজীপুর নির্বাচনে বড় ভূমিকা রেখেছে। তাই প্রার্থীর জয়-পরাজয়ের চেয়ে এ নির্বাচন সরকারের জন্য একটি বড় বিজয়। গাজীপুর হেরেও জিতেছে আওয়ামী লীগ।

গাজীপুরের নির্বাচন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মহলে আওয়ামী লীগের গ্রহণযোগ্যতা, বিশ্বাসযোগ্যতা ও আস্থা বাড়াবে। কিন্তু নানা কারণে এ নির্বাচন আওয়ামী লীগের জন্য অস্বস্তির। এ নির্বাচন আওয়ামী লীগের জন্য সতর্কবার্তা। গাজীপুর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অন্তর্কলহ এবং বিভক্তির ভয়ংকর রূপ প্রকাশিত হয়েছে। আওয়ামী লীগই যে আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিপক্ষ, তা প্রমাণ হয়েছে গাজীপুরে। গাজীপুরে আওয়ামী লীগ এবার মনোনয়ন দেয় দলের প্রবীণ নেতা আজমত উল্লাকে। ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েছিলেন জাহাঙ্গীর আলম। জাহাঙ্গীর গাজীপুরে জনপ্রিয়। আওয়ামী লীগের তরুণরা তাকে পছন্দ করে। সবচেয়ে বড় কথা, সাধারণ জনগণের মধ্যে জাহাঙ্গীরের গ্রহণযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা রয়েছে। মনোনয়নের ক্ষেত্রে এ বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু মনোনয়ন বোর্ডের সভায় এ বাস্তবতাগুলো উঠে আসেনি। জনমতের বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা, দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি ও আওয়ামী লীগ সভাপতিকে ভুল তথ্য দিয়েছেন। জাহাঙ্গীর আলমকে ‘কোণঠাসা’ করতে গিয়ে প্রভাবশালী নেতারা আওয়ামী লীগকে ঝুঁকিতে ফেলেছেন। আজমত উল্লাকে মনোনয়ন আরও সুন্দর এবং শালীনভাবে দেওয়া যেত। যেমনটি করা হয়েছিল নারায়ণগঞ্জের ক্ষেত্রে। সেখানে আওয়ামী লীগের দুই প্রতিপক্ষ নেতাকে গণভবনে ডেকে পাঠিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। দুজনের সঙ্গে কথা বলে একটি সমঝোতা করে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছিল। গাজীপুরে তেমনটি করা হলো না কেন? ২০১৪ সাল থেকে আওয়ামী লীগের কারও কারও মধ্যে অহংকার এবং অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস বিপজ্জনক পর্যায়ে চলে গেছে। আওয়ামী লীগের কেউ কেউ মনে করেন, দল যাকে ইচ্ছা মনোনয়ন দেবে। প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাকে প্রভাব খাটিয়ে জিতিয়ে আনবে। গাজীপুরেও সেই প্রবণতা দেখা গিয়েছিল। রাজনীতি হুমকি, ধমকের বিষয় নয়। একটি সমঝোতার কৌশল। এ চিরন্তন সত্যটা আওয়ামী লীগ ভুলেই গিয়েছিল। জাহাঙ্গীর এবং তার মা যখন স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেন, তখন আওয়ামী লীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা ‘দমন নীতি’ কৌশল গ্রহণ করেছিলেন। ভয় দেখিয়ে, প্রভাব খাটিয়ে রাজনীতিতে জয়ী হওয়া যায় না। জাহাঙ্গীরের (এবং তার মা) বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা ভুল কৌশল প্রয়োগ করেছেন। ভোটের আগে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা, দুদকে তলব, তার কর্মীদের ওপর পেশিশক্তি প্রয়োগ—সবই জনগণের মধ্যে জায়েদা খাতুনের পক্ষে এক ধরনের সহানুভূতি তৈরি করেছে। আওয়ামী লীগের তরুণ কর্মীরা এটা পছন্দ করেননি। ভোটের দিন দেখা গেছে, নৌকার কার্ড গলায় ঝুলিয়ে তারা ঘড়ি মার্কায় ভোট দিয়েছেন। আওয়ামী লীগে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে সব নেতাই প্রশাসনের ওপর নির্ভরশীল ছিলেন। জনগণকে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করেননি। আওয়ামী লীগের প্রার্থী এবং তার পরামর্শকরা গাজীপুরে আওয়ামী লীগ কর্মীদের নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন। তার ফলও ভালো হয়নি। রাজনৈতিক দলের কর্মীরা কারও ক্রীতদাস নয়। অন্যদিকে জাহাঙ্গীর তার মাকে নিয়ে সাধারণ ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গেছেন। কান্নাকাটি করেছেন। ভোটারদের সহানুভূতি আদায় করেছেন। যেটি আওয়ামী লীগের আদি নির্বাচন কৌশল। ভোটে জয়ী হওয়ার জন্য আজমত উল্লা ভোটার নয়, নানা শক্তির ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। জাহাঙ্গীরের সমর্থদের গ্রেপ্তার, কাউকে কাউকে হুমকি দিতেও শোনা গেছে। জাহাঙ্গীরের সমর্থকদের ভোটকেন্দ্রে যেতে দেওয়া হবে না। এমন পরিকল্পনার নিপুণ বাস্তবায়নে ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন ঢাকা থেকে আসা কিছু নেতা। তারা বিশ্বাসও করেননি, শেষ পর্যন্ত নির্বাচন এরকম অভাবনীয় নিরপেক্ষ হবে। ভোটের স্বাভাবিক সহজ কৌশলকে আওয়ামী লীগ পাত্তা দেয়নি। অন্যদিকে জাহাঙ্গীর বুঝিয়ে দিয়েছেন, নির্বাচনের অঙ্ক তিনি ভালোই বোঝেন। জাহাঙ্গীর তার মায়ের পক্ষে আওয়ামী লীগবিরোধী ভোটকে একাট্টা করেছেন। নীরব সমর্থদের সংগঠিত করেছেন। নিরপেক্ষ ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে নিয়ে যেতে পেরেছেন। গাজীপুরের নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত প্রশাসন নিরপেক্ষ ছিল। নির্বাচন কমিশন অস্তিত্ব রক্ষার জন্য সবকিছু উজাড় করে কাজ করেছে। ফলে গাজীপুরে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিপর্যয় হয়েছে।

জাতীয় নির্বাচনের আগে গাজীপুর থেকে আওয়ামী লীগ কি শিক্ষা নেবে? ২৫ মের নির্বাচন আওয়ামী লীগের জন্য সবচেয়ে বড় শিক্ষা হলো প্রার্থী বাছাই। প্রার্থী যদি যথাযথ না হয়, জনপ্রিয় না হয়, তাহলে ভরাডুবি অনিবার্য। জাতীয় নির্বাচনের বাকি ছয় মাস। এখনো ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের হাতে সময় আছে। এখন যারা জনবিচ্ছিন্ন সংসদ সদস্য, দলের বাইরে সাধারণ জনগণের সঙ্গে যারা সম্পর্কহীন, তাদের বাদ দেওয়ার এখনই সময়। গাজীপুর শেখাল, জনবিচ্ছিন্ন, বিতর্কিত প্রার্থী দিয়ে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়া যাবে না। এ নির্বাচনের দ্বিতীয় শিক্ষা হলো—তৃণমূলের শক্তিতে বেড়ে ওঠা রাজনৈতিক দলটিকে প্রশাসননির্ভরতা কমাতে হবে। আগামী ভোটে প্রশাসন আর পুলিশ দিয়ে পার করা যাবে না। জনগণের মধ্য থেকে জন্ম নেওয়া আওয়ামী লীগকে জনগণের কাছে যেতে হবে। ভোটাররাই রাজনৈতিক দলের আসল শক্তি। নতুন মার্কিন নীতিমালার পর অতি আওয়ামী লীগার হয়ে ওঠা প্রশাসনের লোকজন যে আওয়ামী লীগের পক্ষে কোনো ঝুঁকি নেবেন না, তার অনুধাবন করতে হবে দলের প্রার্থীদের। এ উপলব্ধি যত দ্রুত হয়, ততই তাদের জন্য মঙ্গল।

২০০৮-এর নির্বাচনের পর বিপুলসংখ্যক তরুণ ভোটার হয়েছেন। এমন প্রার্থী দিতে হবে যাতে তরুণরা আকৃষ্ট হন। ভোট একটি রাজনৈতিক বিজ্ঞান। এখানে গণিত গুরুত্বপূর্ণ। ভোটের হিসাব ঠিকঠাক মতো করেই প্রার্থী চূড়ান্ত করতে হবে আওয়ামী লীগকে।

আগামী নির্বাচন হতে পারে প্রধানমন্ত্রীর শেষ নির্বাচন। একটি অসাধারণ, অনবদ্য এবং অনন্য নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ শেখ হাসিনা। এ ব্যাপারে তিনি কোনো আপস করবেন না। একবিন্দুও ছাড় দেবেন না। গাজীপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতি সেটি ভালোভাবেই বুঝিয়ে দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের ভেতরে থাকা চাটুকার, সুবিধাভোগী, মতলববাজরা কি সেই বার্তাটা পেয়েছেন? না পেয়ে থাকলে সামনে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়া দলটির জন্য কঠিন সময় অপেক্ষা করছে।

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত
poriprekkhit@yahoo.com



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭