ডেঙ্গু প্রতিরোধে দক্ষিণ সিটিতে গণ লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি আগামীকাল

ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে আগামীকাল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) ৭৫টি ওয়ার্ডেই গণ লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করা হবে। আগামীকাল বুধবার (৩১ মে) সকাল ১১টা হতে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সময়ে একযোগে করপোরেশনের সকল ওয়ার্ডেই এই কর্মসূচি পালন করা হবে বলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। 

মঙ্গলবার (৩০ মে) দক্ষিণ সিটির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কর্মসূচিতে দক্ষিণ সিটির কাউন্সিলরগণ নিজ নিজ ওয়ার্ডে এই গণ লিফলেট বিতরণ কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস আগামীকাল সকালে সবুজবাগ এলাকার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে গণ লিফলেট বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন। 

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এ কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে দক্ষিণ সিটির প্রতিটি ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলরদের প্রত্যেকের কাছে ১ হাজার করে লিফলেট সরবরাহ করা হয়েছে। এছাড়াও প্রতিটি অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের অনুকূলেও আরও ১ হাজার করে লিফলেট বিতরণের জন্য সরবরাহ করা হয়েছে।

এদিকে আজ দক্ষিণ সিটির ৬টি ওয়ার্ডে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন অঞ্চল-৫ এর ৭, ৪৯, ৫২ ও ৫৩ নম্বর ওয়ার্ড এবং অঞ্চল-৯ এর ৬২ ও ৬৩ নম্বর ওয়ার্ডে এসব অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ১৩ জন করে মশককর্মী সকালে লার্ভিসাইডিং এবং ১৩ জন করে মশককর্মী বিকালে এডাল্টিসাইডিং কার্যক্রমে অংশ নেন। চিরুনি অভিযানের মাধ্যমে এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংসের লক্ষ্যে ৬টি ওয়ার্ডের মোট ৪০৫টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করা হয়। অভিযানে মোট ২২টি বাড়ি ও স্থাপনার ভেতরে ও সীমানার অভ্যন্তরে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। অভিযানকালে অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন সরকার, সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলরবৃন্দ এবং সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। 

বিশেষ চিরুনি অভিযানকালে এসব বাড়ি ও স্থাপনা এবং সংলগ্ন এলাকায় প্রয়োজন অনুযায়ী লার্ভিসাইডিং ও এডাল্টিসাইডিং করা হয়। আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এসব ওয়ার্ডে বিশেষ চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হবে। 

উল্লেখ্য যে, এ বছরের পহেলা জানুয়ারি থেকে গত ২৯ মে পর্যন্ত সারাদেশের মোট ১ হাজার ৮৪৩ জন ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকায় রোগীর সংখ্যা ৩২০ জন। শতকরা হিসেবে যা ১৭.৩৬ শতাংশ।