কালার ইনসাইড

আমাদের একজন চঞ্চল চৌধুরী আছেন


প্রকাশ: 01/06/2023


Thumbnail

সময়ের নন্দিত অভিনেতা চঞ্চল চৌধুর। তিনি একজন অভিনেতা, যাকে দেখে অন্যরা মেপে নিতে পারেন অভিনয়ের পরিধি, সীমারেখা। কখনো তিনি সোনাই হয়ে দর্শকদের বুকে প্রচণ্ড এক হাহাকার বইয়ে দেন, আবার কখনো আয়না কিংবা মিসির আলি হয়ে ছড়িয়ে দেন রহস্যের জাল।

আজ (১ জুন) সেই সোনাই, আয়না কিংবা পর্দার মিসির আলি চঞ্চল চৌধুরীর জন্মদিন। ১৯৭৪ সালের ১ জুন পাবনার সুজানগর উপজেলার কামারহাট গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। খুব সাধারণ একটি পরিবারে জন্ম ও বেড়ে ওঠা। কিন্তু ভেতরে গান-বাজনা ও অভিনয়ের প্রতি আকর্ষণ চঞ্চলকে তাড়িত করেছে সংস্কৃতির দুনিয়ায়।

নিজের এলাকা থেকে প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং রাজবাড়ি সরকারি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করে ঢাকায় আসেন চঞ্চল চৌধুরী। ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগে। এখান থেকেই শুরু হয় চঞ্চলের স্বপ্নময় জীবনের পথচলা।

১৯৯৬ সালে বরেণ্য অভিনেতা ও নির্মাতা মামুনুর রশীদের আরণ্যক নাট্যদলে যোগ দেন চঞ্চল। সেখানে ‘কালো দৈত্য’ নাটক দিয়ে তার অভিনয় জীবনের সূচনা হয়। এরপর আরণ্যকের হয়ে ‘সংক্রান্তি’, ‘রাঢ়াঙ’, ‘শত্রুগণ’ ইত্যাদি মঞ্চ নাটকে অভিনয় করে নিজেকে ঝালিয়ে নেন।

বছর চারেক মঞ্চনাটক করার পর ২০০০ সালে টিভি নাটকে ডাক আসে চঞ্চল চৌধুরীর। ফরিদুর রহমান নির্মিত ‘গ্রাস’ চঞ্চল অভিনীত প্রথম টিভি নাটক। তবে তিনি আলোচনায় আসেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত ‘তালপাতার সেপাই’ নাটকে অভিনয় করে। এরপর থেকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে।

চঞ্চল চৌধুরী মূলত গ্রামীণ প্রেক্ষাপটে নির্মিত নাটকে অভিনয়ের জন্যই বেশি জনপ্রিয়। কমেডি ধাঁচের নাটকে তিনি একজন সফলতম অভিনেতা। এছাড়া ভার্সেটাইল অভিনেতা হিসেবে তিনি সব ধরনের নাটকেই দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন।

২০০৬ সালে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় চঞ্চল চৌধুরীর। তৌকীর আহমেদের পরিচালনায় তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র হচ্ছে ‘রূপকথার গল্প’। তবে চঞ্চল ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়তা ও সাফল্য পান গিয়াসউদ্দিন সেলিম পরিচালিত ‘মনপুরা’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে। ট্র্যাজেডি ঘরানার সেই চলচ্চিত্র দেশের ইতিহাসে অন্যতম সফল চলচ্চিত্র হিসেবে স্বীকৃত।

এরপর মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘টেলিভিশন’, কলকাতার গৌতম ঘোষ পরিচালিত ‘মনের মানুষ’, অমিতাভ রেজা চৌধুরীর ‘আয়নাবাজি’ ও অনম বিশ্বাসের ‘দেবী’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন চঞ্চল চৌধুরী। প্রতিটি চলচ্চিত্রেই তার অভিনয় বেশ প্রশংসিত হয়।

চঞ্চল চৌধুরী ২০১০ সালে ‘মনপুরা’ এবং ২০১৬ সালে ‘আয়নাবাজি’ চলচ্চিত্রের জন্য সেরা অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়া তিনি তিনবার মেরিল প্রথম আলো পুরস্কার লাভ করেন। ব্যক্তিগত জীবনে চঞ্চল চৌধুরী বিবাহিত ও এক সন্তানের বাবা। তার স্ত্রীর নাম সান্ত্বনা সাহা।

বড় পর্দা, ছোট পর্দার পাশাপাশি চঞ্চল এখন সমান তালে ব্যস্ত আছে ওটিটির কাজ নিয়েও। সম্প্রতি এই তারকা ব্যস্ত আছেন সম্প্রতি অংশ নিয়েছেন সৃজিত মুখার্জির নির্মাণে মৃণাল সেনের বায়োপিক ‘পদাতিক’ নিয়ে। 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭